বিনোদন ডেস্ক
২১ আগস্ট ২০২৩, ১০:২৫ এএম
প্রভাব খাটিয়ে নিজের স্বার্থ হাসিলের কারণে তোপের মুখে মাহিয়া মাহি। যে যেভাবে পারছেন তার এ ধরনের নৈতিকতা-বর্জিত কাজের প্রতিবাদ করছেন। বিষয়টি খোলাসা করে বলা যাক।
গেল ১৭ আগস্ট একরত্তি ছেলে ও স্বামী ক্ষমতাসীন দলের নেতা রাকিব সরকারসহ ২২ জন মিলে টাঙ্গুয়ার হাওরে ঘুরতে যান মাহি। সামাজিক মাধ্যমে নিজেই তথ্যটি জানিয়েছেন তিনি।
জানা যায়, হাওরে ঘোরার জন্য কোনো বোট বা নৌকা খালি ছিল না। কিন্তু নাছোড়বান্দা মাহির আবদারে তার স্বামী সুনামগঞ্জের সাবেক ছাত্রনেতা ও কেন্দ্রীয় যুবনেতা ফজলে রাব্বী স্মরণকে জানালে তিনি বোটের ব্যবস্থা করেন। যেটি কি না অন্যদের বুকিং করা ছিল। সাবেক ছাত্রনেতার প্রভাবে অন্যের বুকিং ক্যানসেল করে মাহিদের জন্য সরবরাহ করা হয় নৌকাটি।
ইনস্টাগ্রাম-ফেসবুকে মাহি লিখেছেন, ‘কোনোরকম পূর্ব প্রস্তুতি ছাড়াই আমরা হঠাৎ টাঙ্গুয়ার হাওর ভ্রমণের সিদ্ধান্ত নিই। কিন্তু হুট করে চাইলেই সেখানে বোট পাওয়া যায় না। ২০ তারিখের আগে কোনো বোট ফ্রি নেই। আমিও নাছোড়বান্দা, জামাইকে বলছি ১৭ তারিখে আমাকে নিয়ে যেতেই হবে। জামাই দিশা না পেয়ে ফোন করলেন সুনামগঞ্জের সাবেক ছাত্রনেতা ও কেন্দ্রীয় যুবনেতা ফজলে রাব্বী স্মরণ ভাইকে। তিনি অন্যজনের বুকিং ক্যানসেল করিয়ে ১৭ তারিখে আমাদের জন্য বোট রেডি করে দিলেন। বুঝতে পারলাম সুনামগঞ্জে তার বিশাল প্রভাব। ধন্যবাদ ফজলে রাব্বী স্মরণ ভাই। আপনি ছাড়া এই ট্রিপ ক্যানসেল হয়ে যেত।’
অন্যের বুকিং ক্যানসেল করে বোট নিয়ে ঘুরতে যাওয়ায় নেটিজেনরা ভালোভোবে নেননি। মন্তব্যের ঘরে নানা নেতিবাচক কথায় ভরে গেছে। আবদুল্লাহ আল রায়হান নামের একজন লিখেছেন, কী অদ্ভুত, ক্ষমতা দেখিয়ে অন্য জনের ট্রিপ ক্যানসেল করে দিলেন!
তারেক পারভেজ নামে একজন লিখেছেন, অন্যের অধিকার খর্ব করলেন আবার তা নির্লজ্জের মতো পোস্ট দিলেন। থু মারি আপনার ক্ষমতাকে।
সুনামগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মুসতাক আহমেদ পীর লিখেছেন, ক্ষমতা দেখাতে গিয়ে আমাদের দল এবং সংগঠনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার কোনো মানে হয় না। আপনাদের মতো মানুষের কারণে আমাদের দল এবং সংগঠন কলঙ্কিত হয়।
তবে যুবনেতা ফজলে রাব্বী স্মরণের এই ক্ষমতার প্রভাবকে ইতিবাচকভাবে দেখছেন তার অনুরাগীরা। তারা এই চিত্রনায়িকাকে পুনরায় টাঙ্গুয়ার হাওরে যাওয়ার আমন্ত্রণ জানান।