images

শিক্ষা

ছবি তোলায় ঢাবি ছাত্রলীগ নেতার হাতে সাংবাদিক হেনস্তা

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক

১২ জুন ২০২৩, ০৪:৫৫ পিএম

রুম দখলকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের হাতাহাতি। এতে ঘটনাস্থলে সংবাদ সংগ্রহে এসে মুঠোফোন স্থিরচিত্র ধারণ করায় সাংবাদিকের জামার কলার ধরে টানাহেঁচড়া করে জোরপূর্বক মোবাইল ফোন থেকে ছবি ডিলেট করার অভিযোগ উঠেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) এক ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে।

গত রোববার (১২ জুন) মধ্যরাতে ঢাবি হাজী মুহম্মদ মুহসীন হলের ৬৩৬ নাম্বার রুমে এই ঘটনা ঘটে।

অভিযুক্ত শিক্ষার্থীর নাম শিবলী সাদিক। তিনি ঢাবির ২০১৯-২০ সেশনের শিক্ষা ও গবেষণা ইনিস্টিউটের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী এবং হাজী মুহম্মদ মুহসীন হলের আবাসিক ছাত্র। অভিযুক্ত শিবলী হল ছাত্রলীগের উপ নাট্য ও বিতর্ক সম্পাদক এবং বর্তমানের কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনানের অনুসারী হিসেবে পরিচিত।

ঘটনার বর্ণনা দিয়ে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী ইমাম-উল-জান্নাহ বলেন, রুম দখলকে কেন্দ্র করে হলের দুই গ্রুপের সদস্যের মাঝে হাতাহাতি হয়। ঘটনাস্থলে সাংবাদিক হিসেবে উপস্থিত হয়ে আমি আমার ফোনে কয়েকটা ছবি তুলে পাশে এক বন্ধুর রুমে ডুকে  গল্প করতে থাকি। কিছুক্ষণ পর শিবলী তারেকের নেতৃত্বে ১৫-২০ জন শিক্ষার্থী রুমে ডুকে আমার জামার কলার ধরে টানা হেঁচড়া করতে শুরু করে। তাঁরা জোরপূর্বক আমার মোবাইল ফোনে থাকা ছবি ডিলেট করায়। তবে পরবর্তীতে হলের বড় ভাইদের উপস্থিততে অভিযুক্ত ক্ষমা চেয়েছে বলেও জানান ভুক্তভোগী।

তবে অভিযোগ অস্বীকার করে অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা বলেন, অভিযোগ দেওয়া জান্নাহ আমার বন্ধু। রুম দখলকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের মাঝে কিছু সমস্যা হয়েছে। তবে এমন কিছুই ঘটেনি।

তবে এই বিষয়ে জানতে হল প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মাসুদুর রহমানকে একাধিকবার মুঠোফোন ফোন করা হলেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

এ প্রসঙ্গে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সেক্রেটারি শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান ঢাকা মেইলকে বলেন, আমি এ নামে আমার ক্যান্ডিডেট কাউকে চিনতে পারতেছি না। আমি নির্বাচনী প্রচারণার কাজে কয়েকদিন ধরে বরিশালে রয়েছি। আগামীকাল ঢাকায় ফিরে সে যে-ই হোক, একজন সাংবাদিকের কলার ধরে বাইরে বের করে হুমকি দেয়ার জন্য তাকে আমি অবশ্যই শাস্তির আওতায় নিয়ে আসবো।

প্রতিনিধি/এমএইচটি