নিজস্ব প্রতিবেদক
১১ জুন ২০২৩, ০৮:৩৯ পিএম
নতুন কারিকুলামের গুরুত্ব তুলে ধরে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, নতুন শিক্ষাক্রমের সক্রিয় শিখনে শিক্ষার্থীরা সৃজনশীলতা ও উদ্ভাবনী শক্তির বিকাশ দেখবে।
রোববার (১১ জুন) বিকেলে রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট মিলানায়তনে ‘বঙ্গবন্ধু সৃজনশীল মেধা অন্বেষণ-২০২৩’ প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরষ্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা জানান।
এর আগে সকালে ‘বঙ্গবন্ধু সৃজনশীল মেধা অন্বেষণ-২০২৩’ প্রতিযোগিতায় পাঁচটি গ্রুপে নির্বাচিত ১৫ জনকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পুরস্কার দেন। বিকালে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট মিলানায়তনে প্রতিযোগীতায় বিভাগীয় পর্যায়ের সেরা ১০ জনকে পুরস্কার দেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। এ সময় শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, নতুন শিক্ষাক্রমে শিক্ষার্থী বই মুখস্ত করবে না। সক্রিয় শিখনের মধ্যদিয়ে, প্রকল্পের মধ্যদিয়ে দক্ষতা গড়ে তুলবে। আগামী দিনটা প্রযুক্তির, প্রযুক্তি বিষয়ে শিখতেই হবে, শুধু শেখা নয়, উদ্ভাবন করতে হবে, সেখানে দক্ষ হতে হবে। অন্যরা প্রযুক্তি উদ্ভাবন করবে আর আমরা শুধু ব্যবহার করব? নিশ্চয় নয়, আমরাও প্রযুক্তির উদ্ভাবন করব। প্রযুক্তি উদ্ভাবন করতে হলে সারা দিন যদি মুখস্ত করতে হয়, আর পরীক্ষা দিতে হয় তাহলে এই উদ্ভাবনের চিন্তা কীভাবে মাথায় আসবে?
নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, আমরা অনেক রকম উদ্যোগ নিয়েছি, এতে শিক্ষক একটি বড় ভূমিকা পালন করতে হবে। শিক্ষক নিয়োগ ও প্রশিক্ষণের আমরা খুব জোর দিচ্ছি। ছোট বেলায় যে বিষয়ে ভালো শিক্ষক পেয়েছি সেটি আমরা ভালোবাসি, আর যে বিষয়টায় ভয় পাই, সে বিষয়ে ভালো শিক্ষক পাইনি। যার ডাক্তার হওয়ার ইচ্ছে নেই তাকে জোর করে ডাক্তারি পড়াবে, যার বিজ্ঞান পড়ার ইচ্ছে নেই তাকে বিজ্ঞান পড়াবে, এই মানসিকতা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। কার কোনদিকে প্রতিভা বেশি আছে, আগ্রহ বেশি আছে, পিতা-মাতা ও শিক্ষাকরা যদি সেই দিকে গুরুত্ব দেন তাহলে সৃজনশীলতা, উদ্ভাবনী শক্তির বিকাশ দেখব। যা, আমাদের লক্ষ্যে পৌঁছাতে সহায়তা করবে। যদি তা না করে শিক্ষার্থীদের চাপ দিতে থাকি, তালে মানসিক স্বাস্থ্যের অনেক ক্ষতি হবে। কখনও কখনও আত্মহননের পথও বেছে নিচ্ছে শিক্ষার্থীরা।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু সৃজনশীল মেধা অন্বেষণ-২০২৩’ প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া সকলেই মেধাবী। আমরা এই প্রতিযোগিতার মাধ্যমে মেধার অনুশীলনে উৎসাহিত করছি। এদের দেখে অন্য শিক্ষার্থীরাও যেন উৎসাহিত হয়।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন— কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. কামাল হোসেন, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদ।
ডব্লিউএইচ/এএস