images

শিক্ষা

বঙ্গবন্ধু ও তার কন্যা ছাড়া কেউ প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণ করেননি

জেলা প্রতিনিধি

০১ এপ্রিল ২০২৩, ০৫:৫৮ পিএম

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং তাঁর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছাড়া কোনো সরকার এদেশের প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো জাতীয়করণ করেনি বলে দাবি করেছেন স্বাস্থ্যামন্ত্রী জাহিদ মালেক।

শনিবার (১ এপ্রিল) দুপুরে মনিকগঞ্জ সদর উপজেলার গড়পাড়া এলাকায় শুভ্র সেন্টারে সদর ও সাটুরিয়া উপজেলার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষাকদের সঙ্গে আলোচনা ও মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ১৯৭৩ সালে বঙ্গবন্ধু প্রাথমিক বিদ্যালয় সরকারিকরণ করেছিলেন। তারপরে ২০১৩ সাল থেকে সরকারিকরণ আবার শুরু করেন তারই কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

মন্ত্রী বলেন, শিক্ষার মাধ্যমে একটি পরিবার, এলাকা ও জাতি উন্নত হয়। দেশ এগিয়ে যায়। আজকে দেশে শিক্ষার হার ৮০% এর বেশি। স্বাধীনতার সময় এই হার ২০%ও ছিল না। সে কারণে আজকে বংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশ। স্বাধীনতার সময় বাংলাদেশকে আখায়িত করা হয়েছিল বটমলেস বাস্কেট। কারণ দেশ দরিদ্র, অবকাঠামো নেই, শিক্ষা ও চিকিৎসার ব্যবস্থা ভালো ছিল না। এমন অবস্থায় বঙ্গবন্ধু জাতির জনক বাংলাদেশটা পেয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধু সারা জীবন সংগ্রাম করেছিলেন যাতে এদেশের মানুষ পৃথিবীতে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারে। দেশের মানুষ শান্তিতে থাকতে পারে। তার জন্য শিক্ষার প্রতি গুরুত্ব দিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু। এরপরে আর কোনো সরকার প্রাথমিক বিদ্যালয় সরকারিকরণ করেনি। পরে তারই কন্যা ক্ষমতায় এসে ২০১৩ সালে আবার প্রাথমিক বিদ্যালয় সরকারিকরণ শুরু করেন।

এসময় মন্ত্রী ছেলেমেয়েদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার পাশাপাশি দেশের ইতিহাস জানানোর তাগিদ দিয়ে শিক্ষকদের উদ্দেশে বলেন, এই দেশের জাতির জনক কে? প্রধানমন্ত্রী কে? এই দেশ স্বাধীন করেছিল কে? পাক-বাহিনী এখানে কী করেছিল? রাজাকার-আলবদরেরা এই দেশে কী করেছিল? এগুলো শিক্ষার্থীদের চেনাতে হবে। আপনারা সমাজ যেভাবে গড়বেন সেভাবেই গড়ে উঠবে। কারণ পরবর্তীকালে এই ছেলেমেয়েরাই দেশ চালাবে, শিক্ষক হবে, রাজনৈতিক ব্যক্তি হবে, ডাক্তার-ইঞ্জিনিয়ার হবে, ব্যবসায়ী হবে, তারাই দেশ চালাবে। কাজেই আপনাদের ছোট থেকেই তাদের গড়ে তুলতে হবে।

অনুষ্ঠানে সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. ইসরাফিল হোসেনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আফসার উদ্দিন সরকারের সঞ্চালনায় আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সালাম, পৌরসভার মেয়র মো. রমজান আলী, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক সুলতানুল আজম খান আপেল, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সুদেব কুমার সাহা, সদর উপজেলার ইউএনও জৈতিশ্যর পাল, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি আরশেদ আলী বিশ্বাস, সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম জাহিদ প্রমুখ।

প্রতিনিধি/জেবি