পিয়াস সরকার
১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০৯:২৯ এএম
এবারের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় পাস করেছেন ১০ লাখ ৬৭ হাজার ৩৭৭ জন শিক্ষার্থী। পাসের হার ৮৫ দশমিক ৯৫ শতাংশ। আর সর্বোচ্চ ফল জিপিএ-৫ পেয়েছেন এক লাখ ৭৬ হাজার ২৮২ জন। তবে জিপিএ-৫ ধারী অর্ধেকের বেশি শিক্ষার্থী পছন্দের বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়া থেকে বঞ্চিত হবেন। সবার উচ্চশিক্ষায় আসন মিললেও সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল কলেজ ও প্রকৌশল বিদ্যা মিলিয়ে ভর্তির সুযোগ পাবেন ৮০ হাজারের মতো শিক্ষার্থী। যদিও উচ্চশিক্ষায় সুযোগ মিলবে পাস করা সব শিক্ষার্থীর।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন কলেজগুলোয় আসন রয়েছে পাঁচ লাখের বেশি। পাশাপাশি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের আসন সংখ্যার হিসাবে উচ্চশিক্ষায় ভর্তির সুযোগ পাবেন সবাই। সব মিলিয়ে দেশে উচ্চশিক্ষায় আসন রয়েছে প্রায় ১৩ লাখ।
আবার জিপিএ-৫ না পেয়েও অনেক শিক্ষার্থী মেধার জোরে আদায় করে নেবেন এসব পছন্দের প্রতিষ্ঠানের সিট। সে হিসেবে ভর্তির লড়াই প্রকট হবে শিক্ষার্থীদের মাঝে। ধারণা করা যায়, প্রতিবছরের মতো কয়েক হাজার শিক্ষার্থী পাড়ি জমাবেন দেশের বাইরে উচ্চশিক্ষার জন্য।
বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) তথ্য অনুযায়ী, দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় আসন রয়েছে ৬০ হাজারের বেশি। পাশাপাশি মেডিকেল ও ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে আসন প্রায় ১৮ হাজার। সবমিলিয়ে ৫১টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে আসন প্রায় ৮০ হাজার। ৩৭টি সরকারি মেডিকেল কলেজে চার হাজার ৩৫০ এবং বেসরকারি ৭২টি মেডিকেল কলেজে ছয় হাজার ৪৮৯টি আসন রয়েছে।
এছাড়াও চারটি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে ৭২০, ছয়টি টেক্সটাইল কলেজে ৭২০, সরকারি ও বেসরকারি নার্সিং ও মিডওয়াইফারি প্রতিষ্ঠানে আসন আছে পাঁচ হাজার ৬০০। আর ১৪টি মেরিন অ্যান্ড অ্যারোনটিক্যাল কলেজে ৬৫৪টি আসন রয়েছে। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কলেজ, উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় ও ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ে আসন প্রায় সাড়ে পাঁচ লাখ। আর বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে আসন রয়েছে প্রায় এক লাখ ৮৪ হাজার।
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সদস্য ড. মুহাম্মদ আলমগীর ঢাকা মেইলকে বলেন, ‘প্রতিযোগিতা আছে। তবে দেশের উচ্চশিক্ষায় পর্যাপ্ত আসন রয়েছে। গত বছরের মতো এবছরও সংকট নেই, বরং ১৩ লাখ আসনের বিপরীতে কয়েক লাখ আসন ফাঁকা থাকবে।’
গত বুধবার (৮ ফেব্রুয়ারি) আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে ফল প্রকাশকালে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, শিক্ষার্থীরা ভালো ফল করছে বলেই জিপিএ-৫ পাচ্ছে। আমরাতো তাদের ফল কমিয়ে দেখাতে পারি না।
শিক্ষামন্ত্রী ভর্তি পরীক্ষার বিষয়ে বলেন, আমরা চাই একটাই ভর্তি পরীক্ষা হোক। তবে এ পদ্ধতিতে যতদিন যেতে না পারি সে পর্যন্ত গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষাকে আরও কীভাবে ভালো করা যায় সেদিকে নজর আমাদের।
দীপু মনি বলেন, এবারও গুচ্ছ পদ্ধতিতে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভর্তি পরীক্ষা হবে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে অনুরোধ করব- এইচএসসি যে সিলেবাসে পরীক্ষা হয়েছে সে সিলেবাসে ভর্তি পরীক্ষা নেওয়া হোক। একই বিষয়ে বারবার পরীক্ষা হওয়া উচিত না। যেমন ভর্তি পরীক্ষায় বাংলা, গণিত বা ইংরেজি বিষয়ে নির্দিষ্ট নম্বরে পরীক্ষা হওয়া উচিত। আমরা চাই একটাই পরীক্ষা হোক। যতদিন না হয় ততদিন চলমান গুচ্ছ পদ্ধতিতে পরীক্ষাটা আরও কীভাবে ভালো করা যায় তার জন্য কাজ করতে হবে।
পিএস/জেবি