নিজস্ব প্রতিবেদক
১৫ মার্চ ২০২২, ০৯:২০ এএম
প্রায় দুই বছর পর চেনা রূপে ফিরেছে দেশের সব শিক্ষাঙ্গন। এখন থেকে প্রাক- প্রাথমিক থেকে মাধ্যমিক সব পর্যায়ে পুরোদমে শ্রেণি কার্যক্রম চলবে। মঙ্গলবার সকাল থেকেই শিক্ষক-শিক্ষার্থী-অভিভকদের মধ্যে এ নিয়ে আলাদা উৎসাহ দেখা গেছে।
রাজধানীর বিভিন্ন বাস স্টেশনে সকালে শিক্ষার্থীদের ভীর দেখা গেছে। সবাই ক্লাসের উদ্দেশ্যে বের হয়েছেন। স্কুল-কলেজ প্রাঙ্গনে শিক্ষার্থীদের সাথে তাদের অভিভাবদেরও দেখা গেছে। দুই বছর পর সহপাঠিদের কাছে পেয়ে শিক্ষার্থীদের চোখেমুখে ছিল উচ্ছ্বাস, খুশির ঝিলিক।
২০২০ সালের ১৭ মার্চ দেশে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব শুরুর পর দুই দফায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করা হয়। প্রথম দফায় প্রায় দেড় বছর বন্ধ থাকার পর গত বছরের ১২ সেপ্টেম্বর থেকে ধীরে ধীরে খুলতে শুরু করে শিক্ষাঙ্গনের দুয়ার।
সশরীরে ক্লাস শুরু হয় মাধ্যমিক স্কুলে। এরপর কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে। সবার পর সশরীরে ক্লাস শুরু হয় প্রাথমিকে। করোনার তৃতীয় ঢেউয়ে দ্বিতীয় দফায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সশরীরে ক্লাস বন্ধ করে দেয়া হয় গত ২১ জানুয়ারি। এ দফায় শিক্ষাঙ্গনে সশরীরে ক্লাস বন্ধ থাকে এক মাস।
২২ ফেব্রুয়ারি ষষ্ঠ থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত শিক্ষাঙ্গনগুলো আবার প্রাণচঞ্চল হয়ে ওঠে। আর ২ মার্চ থেকে শুরু হয় প্রাথমিকে সশরীরে ক্লাস। টানা দুই বছর বন্ধের পর ১৫ মার্চ থেকে প্রাক-প্রাথমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের সশরীরে ক্লাস শুরুর ঘোষণা দেয় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার পর সপ্তাহে প্রতিদিন ক্লাস করছিলেন এসএসসি পরীক্ষার্থী ও দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা। তবে তাদের সব বিষয়ের ক্লাস হচ্ছিল না। এসএসসি পরীক্ষার্থীদের চারটি ও দশম শ্রেণিতে তিনটি বিষয়ে ক্লাস হচ্ছিল। এ ছাড়া অষ্টম ও নবম শ্রেণিতে সপ্তাহে দুই দিন তিন বিষয়ে এবং ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণিতে এক দিন তিন বিষয়ের ক্লাস চালু ছিল।
একই সঙ্গে প্রাথমিকেও শুধু পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা সপ্তাহে ছয় দিন ক্লাসে আসছিল। আর তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থীরা সপ্তাহে দুই দিন ক্লাসে অংশ নেয়। অন্যান্য শ্রেণির শিক্ষার্থীরা সপ্তাহে এক দিন ক্লাসে অংশ নেয়।
একেবি