নিজস্ব প্রতিবেদক
২২ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০:০৮ পিএম
বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বিবেচনায় বিশিষ্ট ব্যক্তিদের নিরাপত্তায় গানম্যান প্রদানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। সরকারের পক্ষ থেকে গানম্যানের প্রস্তাব পেয়েও তা প্রত্যাখ্যান করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) নির্বাচিত ভিপি আবু সাদেক কায়েম।
সোমবার (২২ ডিসেম্বর) রাতে তিনি নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে এমন সিদ্ধান্তের কথা জানান।
ডাকসু ভিপি তাঁর পোস্টে লেখেন, সম্প্রতি জুলাই বিপ্লবের ছাত্রনেতৃত্ব, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ ও মিডিয়া ব্যক্তিত্বের নিরাপত্তা নিশ্চিতে সরকার কর্তৃক গানম্যান প্রদানের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় সরকারের পক্ষ থেকে গানম্যান সংক্রান্ত বিষয়ে আমাকে অবহিত করা হয়। এই প্রস্তাব গ্রহণ না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
তিনি আরও বলেন, ছাত্র-জনতার সম্মিলিত প্রতিরোধের মাধ্যমে খুনি হাসিনার পতনের পর জনগণের আকাঙ্ক্ষা ছিল দেশের সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থায় একটি দৃশ্যমান ও ন্যায্য পরিবর্তন ঘটবে। কিন্তু বাস্তবে আমরা দেখছি, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কার্যকর ভূমিকার অভাব এবং বিভিন্ন দপ্তরে ফ্যাসিবাদী শক্তির প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ মদদে জননিরাপত্তা বারবার ব্যাহত হচ্ছে।
নিরাপত্তা বিষয়ে উদ্বেগের কথা জানিয়ে তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে কার্যকরভাবে সক্রিয় করে সন্ত্রাসীদের দৃষ্টান্তমূলক বিচারের আওতায় আনলে আজ নিরাপত্তা নিয়ে এত উদ্বেগ থাকত না। এই প্রেক্ষাপটে বরং প্রশ্ন করা প্রয়োজন, কেন সেই প্রত্যাশা এখনো পূরণ হয়নি।
আবু সাদেক কায়েম বলেন, একদিকে শীর্ষ সন্ত্রাসীরা জামিনে মুক্ত হয়ে প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াবে, তাদের হাতে ওসমান হাদিরা শহীদ হবেন, অথচ খুনিরা ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে যাবে। অন্যদিকে ব্যক্তিগত নিরাপত্তার জন্য গানম্যান প্রদানের প্রস্তাব আসবে। এই বাস্তবতার সঙ্গে নিজেকে মানিয়ে নিতে আমার দ্বিধা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: গানম্যান পেলেন নাহিদ-হাসনাত-সারজিস-জারা
দেশের ছাত্র-জনতা এখনো অনিরাপদ অবস্থায় রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, কেবল ব্যক্তিগত নিরাপত্তার জন্য গানম্যান গ্রহণ করাকে বর্তমানে আমি নিজের জন্য সঠিক মনে করছি না। নিঃসন্দেহে আমাদের সবার নিরাপত্তা প্রয়োজন। তবে সেই নিরাপত্তা যদি কেবল কিছু ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর জন্য সীমাবদ্ধ থাকে, তাহলে তা ইনসাফপূর্ণ হয় না। দেশের আপামর মানুষের জন্য একটি নিরাপদ ও ইনসাফের বাংলাদেশ বিনির্মাণই আমাদের দাবি।
এমআর/এআর