images

শিক্ষা

ছাত্রদলকে ‘চাচা’ ও ‘চান্দাভাই’ আখ্যা দিয়ে রাকসু জিএসের হুঁশিয়ারি

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক

২২ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৮:২২ পিএম

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) সাধারণ সম্পাদকের (জিএস) নেতৃত্বে আওয়ামীপন্থী শিক্ষকদের কক্ষে তালা ঝুলিয়ে দেওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে ছাত্রদল ও জিএস সালাউদ্দীন আম্মারের মধ্যে বাকবিতণ্ডা শুরু হয়েছে।

সম্প্রতি ছাত্রদলের এক মিছিল শেষে সংগঠনটির সিনিয়র সহ-সভাপতি শফিকুল ইসলাম তার বক্তব্যে বলেন, ‘রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদল আপনার মতো ‘ফুটেজখোর’ সালাউদ্দিন আম্মারকে মাত্র ৩০ মিনিটের ব্যবধানে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বের করে দিতে সক্ষম।’

এর পাল্টা জবাবে এক ফেসবুক পোস্টে বিএনপি ও ছাত্রদল ক্ষিপ্ত হয়ে গেছে বলে অভিযোগ করেছেন রাকসু জিএস সালাহউদ্দিন আম্মার। একই সঙ্গে তিনি ছাত্রদলকে ‘চাচা’ ও ‘চান্দাভাই’ বলেও আখ্যা দিয়েছেন।

তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘কোনো মেয়াদোত্তীর্ণ অছাত্রকে রাকসুর আশেপাশেও যেন না দেখি। তাদের জন্য ‘রুয়া’ (রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন) আছে, রাকসুতে তাদের কোনো কাজ নেই।’

সোমবার (২২ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৫টা ৩৭ মিনিটে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এক পোস্টে এসব মন্তব্য করেন আম্মার।

সালাহউদ্দিন আম্মার বলেন, ‘আমি আল্টিমেটাম দিয়েছিলাম আওয়ামী ফ্যাসিবাদ ও ভারতীয় আধিপত্যবাদের পক্ষে থাকা শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা যদি ক্যাম্পাসে ঢোকে, তবে তাদের জোহা চত্বরে বেঁধে রাখব। এতে রেগে গেল ক্যাম্পাসের ছাত্রদল আর বিএনপি! ছাত্রদল ও ছাত্রলীগ একই ভাষায় বিবৃতি দিল। এমনকি বিএনপিপন্থী শিক্ষকরা ভিসি’র কাছে নালিশ দিলেন যে, তারা নাকি ক্যাম্পাসে আসতে ভয় পাচ্ছেন। আমি বললাম আওয়ামী লীগের কথা, আর ভয় পাচ্ছে বিএনপির শিক্ষকরা!’

তিনি আরও লেখেন, ‘আরেকটি বিষয়ে আসি ছাত্রদলের আহ্বায়ক ভিসি’র চেয়ারসহ তাকে পদ্মা নদীতে ফেলে দিতে চেয়েছিলেন; আমার কথার চেয়ে কি সেটি বেশি বড় ছিল? তখন বিএনপির ‘চেতনাবাজদের’ বিবৃতি কোথায় ছিল? ছাত্রদলের এক ‘চাচা’ আজ ঘোষণা দিলেন ৩০ মিনিটে তালা মেরে দেবেন। বলি চাচা শোনেন, মন দিয়ে শুনবেন! ২০০৭ থেকে ২০২৫ পর্যন্ত কুকুর-বিড়ালের মতো এই ক্যাম্পাসে পড়ে থেকে ক্যাম্পাসের বোঝা হব না। একদিন থাকলেও থাকার মতোই থাকব। একেকজন ১০-১২ বছর ক্যাম্পাসে থেকে কী জনকল্যাণ করছেন, তা একটু ভেবে দেখবেন।’

রাকসু জিএস আরও উল্লেখ করেন, ‘গঠনতন্ত্র অনুযায়ী রাকসু সাধারণ সম্পাদকের যা কাজ, আমি তার সবটুকুই করছি কি না তা একবার দেখে যান। কাজ করার পরেও যদি ডিস্টার্ব করতে আসেন, তবে ১, ২, ৩, ৪ করে দেব। সবচেয়ে বড় কথা, কোনো মেয়াদোত্তীর্ণ অছাত্রকে যেন রাকসুর আশেপাশে না দেখি। তাদের জন্য ‘রুয়া’ আছে, রাকসুতে কাজ নেই। আমি আওয়ামী ফ্যাসিস্টদের উৎখাতে কাজ করব, সাহস থাকলে এসো চান্দাভাই।’

প্রতিনিধি/একেবি