images

শিক্ষা

আন্দোলনের মুখে রাবিতে আওয়ামী লীগপন্থী ৬ ডিনের পদত্যাগ

নিজস্ব প্রতিবেদক

২১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০:৫৩ পিএম

দিনব্যাপী আন্দোলন, চেম্বারে তালা এবং রেজিস্ট্রারকে অবরুদ্ধ করে রাখার মধ্যে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছয় ডিন পদত্যাগ করেছেন।

রোববার (২১ ডিসেম্বর) রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ইফতিখারুল আলম মাসুদ সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

পদত্যাগ করা ডিনরা হলেন—আইন অনুষদের আবু নাসের মো. ওয়াহিদ, বিজ্ঞান অনুষদের অধ্যাপক নাসিমা আখতার, ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের অধ্যাপক এ এস এম কামরুজ্জামান, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের অধ্যাপক এস এম একরাম উল্লাহ, প্রকৌশল অনুষদের অধ্যাপক বিমল কুমার প্রামাণিক এবং ভূ-বিজ্ঞান অনুষদের অধ্যাপক এ এইচ এম সেলিম রেজা।

জানা যায়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু)’র সাধারণ সম্পাদক সালাহউদ্দিন আম্মার তাঁর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে গতকাল শনিবার ঘোষণা দিয়েছিলেন, রোববারের মধ্যে ‘ফ্যাসিস্টদের দোসর’ আওয়ামীপন্থী ছয় ডিনকে পদত্যাগ করতে হবে।

এরই প্রেক্ষিতে আজ রোববার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে সালাহউদ্দিন আম্মার ও তাঁর সহযোগীরা বিভিন্ন বিভাগে গিয়ে ওই ডিনদের বিষয়ে খোঁজখবর নেন এবং মুঠোফোনে তাঁদের সঙ্গে কথা বলেন। তাঁরা পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন কি না, সে বিষয়ে জানতে চান। তবে ছয়টি বিভাগের সভাপতিরা জানান, তাঁরা এখনো লিখিতভাবে পদত্যাগপত্র জমা দেননি। ডিনদের ছয়জনই আজ ক্যাম্পাসে আসবেন না বলে জানান। কেউ কেউ ছুটি নেওয়ার কথা জানালেও লিখিতভাবে তাঁরা বিভাগের সভাপতির কাছ থেকে ছুটি নেননি বলে জানান সালাহউদ্দিন আম্মার।

তিনি বলেন, আগামী তিন দিনের মধ্যে তালিকা তৈরি করে আওয়ামী লীগের দোসর শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও ছাত্রলীগ নামধারী শিক্ষার্থীদের তালিকা প্রকাশ করা হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন দেড় বছরেও তাঁদের বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় আমরাই এখন তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব। বিকেল পর্যন্ত রেজিস্ট্রারের কক্ষ তালাবদ্ধ করে রাখা হয়।

এদিকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সৈয়দ ইসমাইল হোসেন সিরাজী ভবনের সামনে রাকসু’র সাধারণ সম্পাদক সালাহউদ্দিন আম্মারের সঙ্গে দেখা করেন প্রক্টর মাহবুবুর রহমান।

পরে সাংবাদিকদের তিনি জানান, শিক্ষকদের সঙ্গে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা যেন না ঘটে, সে জন্যই তিনি সেখানে গিয়েছিলেন। যেসব ছয় ডিনের বিষয়ে আপত্তি তোলা হয়েছে, তাঁদের মেয়াদ গত ১৭ ডিসেম্বর শেষ হয়েছে। তাই বিষয়টি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক সালেহ হাসান নকীব দ্রুত কার্যকর সিদ্ধান্ত নেবেন।

এআর