নিজস্ব প্রতিবেদক
১৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৪:৩১ পিএম
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সাধারণ সম্পাদক (জিএস) এস এম ফরহাদ বলেছেন, আধিপত্যবাদ আমরা কখনোই মেনে নেব না। হাদীকে গুলি করে হত্যার পর খুনিরা ভারতে পালিয়ে গেছে। আধিপত্যবাদী শক্তি আমাদের সামনে দাঁড়ানোর সাহস পায় না।
শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) বিকেল ৩টা ৫০ মিনিটের দিকে রাজধানীর শাহবাগ মোড়ে ছাত্রজনতার প্রতিবাদ সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি।
এস এম ফরহাদ বলেন, দিল্লির তাবেদারি এ দেশে চলবে না এবং চলতেও পারে না। যারা ক্ষমতায় আসবে, তাদের দিল্লির বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে কথা বলতে হবে। দিল্লির আধিপত্য এ দেশের মানুষ কখনো মেনে নেবে না।
তিনি বলেন, আধিপত্যবাদী শক্তিই আবরার ফাহাদকে হত্যা করেছে, আবু সাঈদকেও হত্যা করা হয়েছে। আমরা থেমে থাকব না এবং কোনো অন্যায় মেনে নেব না।
এ সময় ছাত্রজনতা নারায়ে তাকবির, আল্লাহু আকবর; হাদী পথ ধর, সেভেন সিস্টার্স স্বাধীন কর; দিল্লির আগ্রাসন ভেঙে দাও, গুড়িয়ে দাও; আমার ভাই কবরে, খুনি কেন ভারতে; আমরা সবাই হাদী হব, গুলির মুখে কথা কইব; যেই ভারত মানুষ মারে, সেই ভারত ভেঙে দাও—এমন নানা স্লোগান দেন।
এর আগে গতকাল ১৮ ডিসেম্বর রাতে হাদীর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিউরোসার্জন ও তার চিকিৎসায় যুক্ত ডা. আব্দুল আহাদ। তিনি জানান, সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালের নিউরোসার্জিক্যাল টিম হাদীর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ৯টার দিকে তিনি মারা যান বলেও জানান তিনি।
এরপরই সারা দেশে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ মিছিল ছড়িয়ে পড়ে। গতকাল রাত থেকে এখন পর্যন্ত শাহবাগে ছাত্রজনতার ব্যাপক উপস্থিতি দেখা গেছে।
উল্লেখ্য, গত ১২ ডিসেম্বর গণসংযোগের জন্য রাজধানীর বিজয়নগর এলাকায় গেলে চলন্ত মোটরসাইকেল থেকে হাদীকে গুলি করা হয়। গুলিটি তার মাথায় লাগে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অস্ত্রোপচারের পর ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে তাকে সিঙ্গাপুরে নেওয়া হয়।
ওই দিন মোটরসাইকেলে করে আসা দুই ব্যক্তি খুব কাছ থেকে তাকে গুলি করে পালিয়ে যায়। পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে দ্রুত ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়া হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় জানা যায়, গুলি ওসমান হাদীর মাথার ডান পাশ দিয়ে ঢুকে বাম পাশ দিয়ে বের হয়ে গেছে। তবে গুলির একটি অংশ এখনো তার মস্তিষ্কে রয়ে গেছে।
এসএইচ