জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
১৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৭:৩৫ এএম
বাংলাদেশের ইতিহাসে ১৯৪৭, ১৯৭১ ও ২০২৪— এই তিনটি সময়ই মানুষের আবেগ, অস্তিত্ব ও মুক্তির আকাঙ্ক্ষার সঙ্গে গভীরভাবে যুক্ত বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) ভিপি আবু সাদিক কায়েম। তিনি বলেন, প্রতিটি আন্দোলন-সংগ্রামই দেশের ভবিষ্যৎ নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।
মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) জাতীয় স্মৃতিসৌধে ডাকসু নেতৃবৃন্দের সঙ্গে বীর শহীদদের প্রতি ফুলেল শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
বিজয় দিবসের ‘প্রতিজ্ঞা’ প্রসঙ্গে সাদিক কায়েম বলেন, একাত্তরের পর যারা রাষ্ট্রকে অকার্যকর করার চেষ্টা করেছে, তাদের বিচারের আওতায় এনে ‘ইনসাফ’ প্রতিষ্ঠাই আজকের অঙ্গীকার।
তিনি বলেন, বিজয় দিবসে আমাদের প্রতিজ্ঞা হলো—গত ১৬ বছর ও গত ৫৪ বছরে যারা বাংলাদেশকে একটি অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত করতে চেয়েছে, দেশের অবারিত সম্ভাবনাকে নষ্ট করেছে; গুম, খুন, আয়নাঘর প্রকল্প এবং সর্বশেষ ২০২৪-এর জুলাই বিপ্লবে গণহত্যা ও শিশুহত্যায় জড়িত—সেই শেখ হাসিনা ও তার দোসরদের বিচারের আওতায় এনে ইনসাফ প্রতিষ্ঠা করা।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাসে যত আন্দোলন-সংগ্রাম ও আজাদির লড়াই হয়েছে, সবই দেশের অস্তিত্বের সঙ্গে সম্পর্কিত।
‘১৯৭১ সাল আমাদের জাতীয় অর্জন। এই সংগ্রামের মধ্য দিয়ে আমরা মানচিত্র ও পতাকা পেয়েছি, আর ১৬ ডিসেম্বর বিজয় অর্জন করেছি। কিন্তু একটি ইনসাফভিত্তিক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার যে আকাঙ্ক্ষা, স্বাধীনতার ৫৪ বছরেও তা পূর্ণতা পায়নি,’ বলেন তিনি।
গত ১৬ বছরের শাসনামলকে ‘ফ্যাসিবাদী কাঠামো’ আখ্যা দিয়ে ডাকসু ভিপি বলেন, এই সময় দেশের সম্ভাবনাকে পরিকল্পিতভাবে নষ্ট করা হয়েছে।
‘জুলাই বিপ্লবের মাধ্যমে আমাদের সামনে নতুন করে একটি ঐতিহাসিক সুযোগ এসেছে,’ যোগ করেন তিনি।
ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার বিষয়ে সাদিক কায়েম বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে তাদের অনুরোধ—দিল্লিতে অবস্থানরত শেখ হাসিনাকে দ্রুত বাংলাদেশে ফিরিয়ে এনে রায় কার্যকর করতে হবে। একইসঙ্গে যেসব অপরাধী, গণহত্যাকারী ও শিশুহত্যাকারী বিদেশে আশ্রয় নিয়েছে, তাদের সবাইকে দেশে ফিরিয়ে এনে বিচার নিশ্চিত করার দাবি জানান তিনি।
এছাড়া তিনি বলেন, জুলাই-পরবর্তী নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে সক্রিয় সহযোদ্ধা শরীফ ওসমান হাদিকে সন্ত্রাসীরা গুলি করে গুরুতর আহত করেছে। এই হামলায় জড়িত সন্ত্রাসীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে বিচারের আওতায় আনতে হবে।
টিএই/এএস