images

শিক্ষা

আন্দোলনের জেরে ‘কপাল পুড়ছে’ প্রাথমিকের শিক্ষকদের

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

০৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২:২৮ এএম

সরকারের নির্দেশনা অমান্য করে তিন দফা দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ায় কপাল পুড়ছে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের। ইতোমধ্যে অনেক শিক্ষককে স্ট্যান্ড রিলিজ করে ভিন্ন জেলায় বদলি করেছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর। প্রশাসনিক কারণ দেখিয়ে এ বদলি করা হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের পলিসি অ্যান্ড অপারেশন বিভাগের সহকারী পরিচালক মাহফুজা খাতুনের সই করা অফিস আদেশে তাদের বদলি করা হয়।

চলমান আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের নেতারাও ভিন্ন জেলায় বদলির এ তালিকায় রয়েছেন।

প্রাথমিকের দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের অন্যতম আহ্বায়ক মোহাম্মদ শামছুদ্দিন মাসুদকে নোয়াখালী থেকে লক্ষ্মীপুরে বদলি করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

শামছুদ্দিন মাসুদ বলেন, সারাদেশে ৫০০ থেকে ৫৫০ জন শিক্ষককে ভিন্ন জেলায় বদলি করা হয়েছে। শুধু আমার জেলা নোয়াখালীতেই ৪০ জনকে বদলি করা হয়েছে। আমরা খোঁজখবর নিচ্ছি। ঠিক কতজনকে স্ট্যান্ড রিলিজ বা ভিন্ন জেলায় এমন বদলি করা হয়েছে, তার বিস্তারিত জানাতে পারব।

সাধারণত প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা নিজ জেলায় পদায়ন পান। এক জেলা থেকে আরেক জেলায় বদলি করার রেওয়াজ নেই। তবে শাস্তিমূলক বদলির ক্ষেত্রে অনেক সময় ভিন্ন জেলায় বদলি করা হয়। সেক্ষেত্রে ‘প্রশাসনিক কারণ’ দেখানো হয়।

বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের পলিসি অ্যান্ড অপারেশন বিভাগের সহকারী পরিচালক মাহফুজা খাতুন বলেন, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে প্রশাসনিক কারণে বদলি করা হয়েছে। তবে ঠিক কতজনকে বদলি করা হয়েছে তা নিশ্চিত করে বলতে পারেননি তিনি।

বিইউ/এমআর