নিজস্ব প্রতিবেদক
২৯ অক্টোবর ২০২৫, ০৪:১৮ পিএম
দরিদ্র ও সুবিধাবঞ্চিত শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে ইউনিফর্ম, বই, খাতা, পেন্সিল ও সামগ্রিক শিক্ষা উপকরণ সরবরাহের মাধ্যমে সকল শিশুকে শিক্ষার সুযোগ করে দিচ্ছে শিশুকানন প্রাক- প্রাথমিক বিদ্যালয়।
১৯৭৪ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে মানবিক সাহায্য সংস্থা (এমএসএস) বাংলাদেশের প্রান্তিক ও সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীর টেকসই উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
সংগঠনের বিভিন্ন মানবিক উদ্যোগের মধ্যে অন্যতম একটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ হলো, ‘শিশুকানন প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা কর্মসূচি’, যা ২০২১ সালে শুরু হয়ে উত্তরাঞ্চলের দরিদ্র ও প্রান্তিক পরিবারের শিশুদের জন্য শিক্ষা ও বিকাশের নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে।
বর্তমানে শিশুকানন কর্মসূচির আওতায় মোট ২৯টি স্কুল পরিচালিত হচ্ছে, যার মধ্যে ঠাকুরগাঁও জেলায় ১০টি, সৈয়দপুরে ৯টি এবং রাজশাহীতে ১০টি স্কুল রয়েছে। বর্তমানে শিশুকাননের ১৯টি বিদ্যালয় নিয়মিত কার্যক্রম চলছে, যেখানে প্রান্তিক পরিবারের শিশুদের বিনামূল্যে শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা ও পুষ্টি সহায়তা দেওয়া হচ্ছে।
এ পর্যন্ত শিশুকাননের মাধ্যমে ১,৫০০ জনেরও বেশি শিশু প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা ও পুষ্টি সহায়তা পেয়েছে। বর্তমানে ৩ থেকে ৫ বছর বয়সি ৩৬৪ জন শিশু নিয়মিতভাবে শ্রেণিকক্ষে পাঠ গ্রহণ করছে।
শিশুকানন বিদ্যালয়গুলোতে শিশুদের জীবনমুখী শিক্ষা দেওয়া হচ্ছে ও শিশুরা খেলাধুলার মাধ্যমে শেখার আনন্দ উপভোগ করে, যা তাদের মানসিক বিকাশে সহায়ক ভূমিকা রাখছে।
প্রতিটি শিশুকানন বিদ্যালয়ে স্থানীয় নারীরা প্রশিক্ষিত শিক্ষিকা হিসেবে কাজ করছেন, যা শুধু শিশু শিক্ষায় নয়, নারী কর্মসংস্থান সৃষ্টিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। পাশাপাশি এমএসএস নিয়মিতভাবে শিক্ষিকা প্রশিক্ষণ, অভিভাবক সচেতনতা সভা এবং কমিউনিটি অংশগ্রহণমূলক কার্যক্রম আয়োজন করে থাকে, যাতে শিশুদের সর্বাঙ্গীণ বিকাশ নিশ্চিত করা যায়।
এমএসএস বিশ্বাস করে, শৈশবেই সঠিক শিক্ষা, পুষ্টি ও যতœ নিশ্চিত করা গেলে দারিদ্র্যের চক্র ভেঙে একটি শিশুর সুন্দর ভবিষ্যৎ গড়া সম্ভব।
এমএসএসের এক প্রতিনিধি বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য প্রতিটি শিশুকে তার সামাজিক ও অর্থনৈতিক অবস্থান নির্বিশেষে শেখার সুযোগ করে দেওয়া। শিশুকাননের মাধ্যমে আমরা এমন একটি প্রজন্ম গড়ে তুলতে চাই, যারা আত্মবিশ্বাসী, সৃজনশীল এবং সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে সক্ষম হবে।’
এএইচ