বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক
২৩ অক্টোবর ২০২৫, ০৮:৩৫ এএম
রাজধানীর সরকারি বাঙলা কলেজে পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় বাঙলা কলেজ সাংবাদিক সমিতি (বাকসাস)–এর সভাপতি ও দৈনিক কালবেলার প্রতিনিধি সাইফুল ইসলাম সাব্বিরের ওপর ছাত্রদল নেতার ন্যক্কারজনক ও সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি (ডুজা) গভীর উদ্বেগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছে।
বুধবার (২২ অক্টোবর) ডুজার দপ্তর সম্পাদক তাওসিফুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়। ডুজা এই বর্বরোচিত, কাপুরুষোচিত হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানায়।
বিবৃতিতে বলা হয়, ডুজা মনে করে এই হামলা শুধু একজন সাংবাদিককে শারীরিকভাবে আঘাত করার ঘটনা নয়, এটি দেশের স্বাধীন গণমাধ্যম ও সাংবাদিকতার পেশাগত অধিকারকে সরাসরি চ্যালেঞ্জ করার জঘন্যতম প্রয়াস। এটি মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের ওপর নগ্ন আঘাত।
‘প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে জানা যায়, বুধবার (২২ অক্টোবর) দুপুরে কলেজ ক্যাম্পাসে ছাত্রদল ও গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের মধ্যে চলমান সংঘর্ষের সময় সাংবাদিক সাব্বির তার পেশাগত দায়িত্ব পালনের অংশ হিসেবে ভিডিও ধারণ করছিলেন। তখন কলেজ শাখা ছাত্রদলের এক শীর্ষ নেতা ভিডিও ধারণে ক্ষুব্ধ হয়ে তার ওপর হামলা চালায়। এতে তিনি আহত হন এবং বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এই ঘটনা ক্যাম্পাস সাংবাদিকতার ইতিহাসে এক গভীর কলঙ্ক হিসেবে চিহ্নিত হয়ে থাকবে।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সভাপতি মহিউদ্দিন মুজাহিদ মাহি ও সাধারণ সম্পাদক মাহাদী হাসান এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন, সাংবাদিক সাব্বিরের ওপর হামলা শুধু একজন সংবাদকর্মীর ওপর হামলা নয়, এটি সমগ্র সাংবাদিক সমাজের ওপর কাপুরুষোচিত আঘাত। আমরা এ ঘটনায় তীব্র ধিক্কার ও ক্ষোভ প্রকাশ করছি।
বিবৃতিতে ডুজা নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, এই ধরনের হামলা আমাদেরকে পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের সময় ফ্যাসিবাদী দমননীতির অধীনে স্বাধীন সাংবাদিকতার ওপর বারবার হওয়া নিপীড়নের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। সাংবাদিকদের প্রতি সহিংসতা, সত্যের ওপর হামলা, এসবই গণতন্ত্রবিরোধী মনোভাবের বহিঃপ্রকাশ। এটি ২০২৪ সালের জুলাই গণঅভ্যুত্থানের চেতনাকেও প্রশ্নবিদ্ধ করে।
বিবৃতিতে আরও উল্লেখ করা হয়, ডুজা অবিলম্বে হামলাকারীদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানায় এবং আহ্বান জানায়, দেশের সব রাজনৈতিক দল ও ছাত্রসংগঠন যেন সাংবাদিকদের নিরাপত্তা, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা এবং পেশাগত দায়িত্ব পালনের অধিকারকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়। সহিংসতা নয়, শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানই হোক গণতন্ত্রের পথে অগ্রযাত্রার অনিবার্য সহচর।
আইএসএস/এএস