নিজস্ব প্রতিবেদক
১৫ অক্টোবর ২০২৫, ১০:৪০ এএম
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) নির্বাচনের প্রচারণা শেষ হয়েছে গতকাল। আর আগামীকাল অনুষ্ঠিত হবে ভোটগ্রহণ। নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, সব ধরনের প্রস্তুতি প্রায় শেষ পর্যায়ে। ইতোমধ্যে ভোটকেন্দ্রে বুথ নির্মাণের কাজও শেষ হয়েছে। নির্বাচনের নিরাপত্তা জোরদারে স্থাপন করা হচ্ছে ১০০টি সিসি ক্যামেরা।
রাকসু নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে, এবারের নির্বাচনে ২৩টি পদের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ২৪৭ জন প্রার্থী। এর মধ্যে ভিপি পদে ১৮, জিএস পদে ১৩ এবং এজিএস পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ১৬ জন প্রার্থী। ছাত্রদল ও শিবির সমর্থিতসহ মোট ১১টি প্যানেল ঘোষণা করা হয়েছে।
এছাড়া সিনেটের ছাত্র প্রতিনিধি নির্বাচনের ৫টি পদে ৫৮ জন প্রার্থী এবং ১৭টি হলে ১৫টি পদের বিপরীতে মোট ৫৯৭ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। রাকসু ও সিনেট নির্বাচনে মোট ভোটার সংখ্যা ২৮ হাজার ৯০১ জন, যার মধ্যে নারী ভোটার ১১ হাজার ৩০৫ এবং পুরুষ ভোটার ১৭ হাজার ৫৯৬ জন। পুনর্বিন্যস্ত তফসিল অনুযায়ী আগামী ১৬ অক্টোবর সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে এবং গণনা শেষে সেদিনই ফলাফল ঘোষণা করা হবে।
সরেজমিনে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ভবন ঘুরে দেখা গেছে, ইতোমধ্যে প্রায় সবগুলো কেন্দ্রে বুথ স্থাপন সম্পন্ন হয়েছে। সাদা কাপড় ও কাঠ-বাঁশ দিয়ে তৈরি এসব বুথের ভেতরে রাখা হয়েছে ভোটগ্রহণের টেবিল। বুথগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিতে লাগানো হয়েছে সিসি ক্যামেরা।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক এফ নজরুল ইসলাম বলেন, ইতমধ্যে সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। এখন শুধু ভোট গ্রহণের অপেক্ষায়। নির্বাচনের জন্য ১৭টি কেন্দ্রে প্রতিটিতে থাকবে ছয়টি ব্যালট বাক্স, প্রতিটি ভিন্ন রঙের। একজন ভোটার ছয় রঙের ছয়টি ব্যালট পেপারে ভোট দেবেন নির্দিষ্ট রঙের ব্যালট বাক্সে। সকাল ৯টায় ভোট শুরু হবে। এর আগে সকাল সাড়ে আটটায় প্রতিটি কেন্দ্রে গণমাধ্যম ও প্রার্থীদের উপস্থিতিতে ব্যালট বাক্স সিল করে তালাবদ্ধ করা হবে।
তিনি আরও বলেন, বিকেল ৪টার পাঁচ মিনিট আগে প্রিজাইডিং অফিসার বাইরে গিয়ে যারা ভোট দিতে অপেক্ষায় আছেন, তাদের ভেতরে নিয়ে আসবেন। তবে ৪টার পর আর কেউ ভোটকেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবেন না।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার জানান, একজন শিক্ষার্থীকে মোট ৪৩টি ভোট দিতে হবে, এর মধ্যে সিনেটে ৫টি, রাকসুতে ২৩টি এবং হল সংসদে ১৫টি। গোপন ভোটকক্ষে এসব ভোট দিতে যে সময় লাগবে, তা বিবেচনা করেই বুথসংখ্যা নির্ধারণ করা হয়েছে। একেক কেন্দ্রে ভোটারের সংখ্যার ওপর ভিত্তি করে বুথের সংখ্যা ভিন্ন হবে। মোট বুথ সংখ্যা ৯৯০টি এবং টেবিলের সংখ্যা ৯৪টি।
তিনি আরও বলেন, প্রতিটি ব্যালট বাক্সের সঙ্গে থাকবে একটি করে স্ক্যানিং মেশিন। আমরা আশা করি, বিকেল তিনটার পর ভিড় অনেকটাই কমে যাবে। নির্বাচনে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে ১০০টিরও বেশি সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হচ্ছে। প্রতিটি ব্যালট বাক্স থাকবে সিসি ক্যামেরার নজরদারির নিচে।
এএইচ/এইউ