images

শিক্ষা

ব্যালট বাক্স বহনকালে নির্বাচন কর্মকর্তাদের পাশে দুই ছাত্রদল নেতা

নিজস্ব প্রতিবেদক

১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৮:১৫ এএম

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের জাকসু নির্বাচনের সময় আচরণবিধি ভেঙে ক্যাম্পাসে প্রবেশ ও দায়িত্বপ্রাপ্ত নির্বাচন কর্মকর্তাদের পাশে অবস্থান করার অভিযোগ উঠেছে ছাত্রদলের দুই সাবেক নেতার বিরুদ্ধে। শুধু তাই নয়, এ ঘটনার ছবি তোলায় এক সাংবাদিকের মোবাইল ফোন কেড়ে নিয়ে ভিডিও মুছে ফেলার অভিযোগও উঠেছে তাদের একজনের বিরুদ্ধে।

বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে এই ঘটনা ঘটে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনের নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ের সামনে। প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, ওই সময় নির্বাচন কর্মকর্তারা ব্যালট বাক্স বহন করে কমিশনের কার্যালয় থেকে বের হচ্ছিলেন। তাদের পাশেই হেঁটে যাচ্ছিলেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক জহির উদ্দিন মুহাম্মদ বাবর এবং যুগ্ম আহ্বায়ক মশিউর রহমান রোজেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মরত সাংবাদিক ওসমান সরদার, দৈনিক যায়যায়দিন পত্রিকার জাবি প্রতিনিধি, ওই দৃশ্য মোবাইল ফোনে ধারণ করলে তাকে বাধা দেওয়া হয়। অভিযোগ রয়েছে, ছাত্রদল নেতা মশিউর রহমান রোজেন তার কাছ থেকে মোবাইল ফোন কেড়ে নিয়ে ভিডিও ডিলিট করে দেন। এরপর সাংবাদিক পরিচয় দেওয়ার পর তিনি ভিডিও ধারণ না করতে নিষেধ করেন।

সাংবাদিক ওসমান সরদার বলেন, আমি ব্যালট বাক্স বহনের ভিডিও করছিলাম। ভিডিওতে দেখা যায়, কর্মকর্তা ও ব্যালট বাক্সের সঙ্গে ছাত্রদলের বাবর ভাই ও রোজেনও হেঁটে যাচ্ছেন। রোজেন ভাই এসে আমার হাত থেকে ফোন নিয়ে ভিডিও ডিলিট করে দেন।

তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অভিযুক্ত ছাত্রদল নেতা জহির উদ্দিন মুহাম্মদ বাবর। তিনি বলেন, এমন কোনো ঘটনা ঘটেনি। আমি তো ওইখানেই ছিলাম, কিন্তু ভিডিও ডিলিট করিনি। এরপরও বিষয়টি তদন্ত করে দেখবো।

এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের সদস্য অধ্যাপক মোহাম্মদ মাফরুহী সাত্তার বলেন, আমরা এখনও লিখিত কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে নিয়ম অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

উল্লেখ্য, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ৯ সেপ্টেম্বর একটি বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানায়— ১০ সেপ্টেম্বর দুপুর ১২টা থেকে ১২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ক্যাম্পাসে কোনো প্রাক্তন শিক্ষার্থী বা বহিরাগত প্রবেশ করতে পারবে না।

এদিকে অভিযোগ উঠা বাবর বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩৯তম আবর্তনের (২০০৯-১০) রসায়ন বিভাগের এবং রোজেন ৪০তম আবর্তনের (২০১০-১১) অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী ছিলেন। প্রশাসনের নির্দেশনা অনুযায়ী, তারা দু’জনই এই সময়কালে ক্যাম্পাসে অবস্থান করতে পারেন না।

তবে প্রশাসনের কড়া নিষেধাজ্ঞা ও নির্বাচনকালীন নিয়ম থাকার পরও প্রাক্তন এই দুই ছাত্রদল নেতার ক্যাম্পাসে অবস্থান ও দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের পাশে উপস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন শিক্ষার্থীরা। অনেকের মতে, এটি নির্বাচনকে প্রভাবিত করার চেষ্টা এবং সার্বিক পরিবেশের স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতা নিয়ে সন্দেহ তৈরি করছে।

এইউ