images

শিক্ষা

‘হিজাব বিকৃতির’ জবাব ব্যালটের মাধ্যমে দিলেন শিক্ষার্থীরা

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৬:৪৬ পিএম

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে বিপুল ভোটে বিজয়ী হয়েছেন দুর্বৃত্তদের দ্বারা হিজাব বিকৃতির শিকার হওয়া সেই সাবিকুন নাহার তামান্না। তিনি ছাত্রশিবির সমর্থিত ‘ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোট’ প্যানেল থেকে সদস্য পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। তামান্না ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রী সংস্থার সভানেত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন। সর্বোচ্চ ভোট পেয়ে সদস্য পদে নির্বাচিত হন তিনি। তার হিজাব বিকৃতির জবাব ব্যালটের মাধ্যমে দেওয়া হয়েছে বলে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। 

বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ৮টার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে এ ফলাফল ঘোষণা করা হয়। ডাকসু নির্বাচনে সাবিকুন নাহার তামান্না সদস্য পদে সর্বোচ্চ ভোট পেয়েছেন। তার প্রাপ্ত ভোটের সংখ্যা ১০ হাজার ৮৪টি। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রী সংস্থার সভানেত্রীর দায়িত্বে আছেন। তার ভোটের সংখ্যা ঘোষণার পর ‘হিজাব হিজাব’ শ্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠে সিনেট ভবনে। এই মুহূর্তের ভিডিওটি আলোড়ন তুলছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যামেও। 

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনের প্রচারকাজের প্রথম দিনেই ঘটে বিতর্কিত ঘটনা। ভাঙচুর করা হয় ‘ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোটের’ প্রচার বোর্ড। বিকৃত করা হয় প্যানেলের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সদস্য পদপ্রার্থী সাবিকুন নাহার তামান্নার ছবি। ব্যঙ্গ করা হয় হিজাব নিয়ে। পরে সেই ছবিকেই নিজের প্রচারণার হাতিয়ার বানান তামান্না। গত ২৬ আগস্ট নিজের ফেসবুক আইডিতে ছবিটি শেয়ার করে তামান্না লেখেন, ‘স্বপ্নের ক্যাম্পাস গড়ার পথযাত্রী, আমরা থামব না।’ সে সময় তামান্নার ছবি এমনভাবে বিকৃত করাকে নারীর পোশাক স্বাধীনতা ও নারীর প্রতি বিদ্বেষী মনোভাবের প্রকাশ উল্লেখ করে প্রতিবাদ জানায় ঢাবি শিক্ষার্থীরা।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ মঙ্গলবার সকাল ৮টায় শুরু হয়ে শেষ হয় বিকেল ৪টায়। এর মধ্য দিয়ে দীর্ঘ ছয় বছর পর অনুষ্ঠিত হয় মিনি পার্লামেন্ট খ্যাত ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচন। এদিন মোট ৮টি কেন্দ্রে ৮১০টি বুথে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।

এবারের নির্বাচনে ডাকসুর ২৮টি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন মোট ৪৭১ জন প্রার্থী। এর মধ্যে নারী প্রার্থী ছিলেন ৬২ জন। সহ-সভাপতি (ভিপি) পদে ৪৫ জন, সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে ১৯ জন এবং সহ-সাধারণ সম্পাদক (এজিএস) পদে ২৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। নারী প্রার্থীদের মধ্যে ভিপি পদে ৫ জন, জিএস পদে একজন ও এজিএস পদে ৪ জন প্রার্থী ছিলেন।

এবার মোট ভোটার ছিলেন ৩৯ হাজার ৭৭৫ জন শিক্ষার্থী। এর মধ্যে ছাত্র ভোটার ২০ হাজার ৮৭৩ জন এবং ছাত্রী ভোটার ১৮ হাজার ৯০২ জন। নির্বাচনে ৮০ শতাংশের বেশি ভোটগ্রহণ করা হয়েছে।

টিএই/ক.ম