নিজস্ব প্রতিবেদক
০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০১:০৪ পিএম
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে নানা অনিয়ম ও কারচুপির অভিযোগ তুলেছেন বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থী সংসদ প্যানেলের ভিপি (সহ-সভাপতি) প্রার্থী আবদুল কাদের। তার অভিযোগ, ছাত্রদল প্যানেলের প্রার্থীরা নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করলেও নির্বাচন কমিশন (ইসি) ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কোনও কার্যকর পদক্ষেপ নেয়নি। বরং তারা নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছে।
মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি চত্বরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব অভিযোগ করেন তিনি।
আবদুল কাদের বলেন, এত ষড়যন্ত্রের পরও শিক্ষার্থীরা উৎসাহ নিয়ে ভোট দিতে এসেছে। কিন্তু তাদের সঙ্গে তামাশা করা হচ্ছে। নির্বাচন কমিশন সবসময়ই একটি গোষ্ঠীর স্বার্থ রক্ষা করছে।
তিনি জানান, বিএনপি-সমর্থিত ছাত্রদল প্যানেলের ভিপি প্রার্থী আবিদ সরাসরি ভোটকেন্দ্রে প্রবেশ করে ভোট প্রার্থনা করেছেন। এ বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে নির্বাচন কমিশনের কাছে অভিযোগ জানালেও তারা কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।
আমরা দেখেছি, প্রার্থীরা কেন্দ্রের ভেতরে ঢুকে হাসাহাসি করছে, ভোট চাইছে। এটা কি ধরনের নির্বাচন?— প্রশ্ন রাখেন কাদের। তিনি বলেন, আমি রাব্বানী স্যারকে ফোন করে জানিয়েছি। উনি বললেন ‘আমি তো আছি, আসছি’। কিন্তু আমরা কোনো পদক্ষেপ দেখতে পাইনি।
কাদের আরও অভিযোগ করেন, এমফিল ভর্তি প্রক্রিয়ার আড়ালে অনেক আগে থেকেই আঁতাত হয়েছে। তিনি বলেন, আজকে পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছে, কেন এত আগ্রহ নিয়ে এমফিল ভর্তি করা হয়েছিল। সেই সুযোগকে ব্যবহার করেই আজকের নির্বাচনে প্রভাব খাটানো হচ্ছে।
তার দাবি, যাদের এমফিলের বড় তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল, তারাই এখন ভোট নিয়ন্ত্রণ করছে। এটি একটি পরিকল্পিত চক্রান্তের অংশ।
এছাড়া, ছাত্রদল বয়সসীমা তোলার জন্য যে চাপ দিয়েছিল, সেটির পেছনেও উদ্দেশ্য ছিল বলে মন্তব্য করেন কাদের। তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন আসলে কার সঙ্গে সমন্বয় করে এসব সিদ্ধান্ত নিচ্ছে? আজ শিক্ষার্থীরা সব বুঝে গেছে।
তিনি অভিযোগ করেন, নির্বাচনের আগেই ইসি আচরণবিধি কঠোরভাবে কার্যকরের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। কিন্তু বাস্তবে তারা কোনো কিছুই বাস্তবায়ন করতে পারেনি।
আমরা বহুবার জানিয়েছি যে নির্বাচনী পরিবেশে শৃঙ্খলা নেই, আচরণবিধি লঙ্ঘিত হচ্ছে। কিন্তু কমিশন শুধু আশ্বাস দিয়েছে। আসলে তারা কার অ্যাজেন্ডা বাস্তবায়ন করছে, সেটা এখন আর ঢাকতে পারছে না— বলেন কাদের।
তিনি বলেন, আমরা চাই না ডাকসু আবার কোনো গণঅভ্যুত্থানের দিকে ধাবিত হোক। তবে এমন পরিস্থিতিতে আমরা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত জানাবো।
এএসএল/এইউ