নিজস্ব প্রতিবেদক
০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১১:০৭ এএম
রাইসুল ইসলাম। তিনি বিজয় একাত্তর হলের দৃষ্টি প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী এবং ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোটের একজন সদস্য প্রার্থী। সকাল ১০টার দিকে তিনি ১৪৯ নম্বর ব্যালট হাতে নিয়ে ভোট কেন্দ্রে ঢুকেছেন। ক্যাম্পাসের সেই একই পথ, সেই একই লাইনে দাঁড়ানো শিক্ষার্থীরা, তবু আজ তাঁর চোখে সবকিছু ভিন্ন। ২০১৯ সালের নির্বাচনকে তিনি মনে করেন ভয়ের, অনিশ্চয়তার আর সীমাবদ্ধতার সময় ছিল। আর ২০২৫ সালের এই সকাল? স্বাধীনতার আলো, স্বচ্ছতার আশা আর অংশগ্রহণের নিশ্চয়তা যেন পুরো ক্যাম্পাসকে আলোকিত করেছে।
ভোটকেন্দ্রগুলোর হলের বাইরে অবস্থান, বেল্ট সিস্টেম—সবকিছু রাইসুলের কাছে অন্যরকম অনুভূতি। নিজে যাচাই-বাছাই করে ভোট দেওয়ার অভিজ্ঞতা তাঁর জন্য নতুন। চোখে না দেখলে হাতের টান, প্রতিটি পদক্ষেপ যেন গল্প বলে—অদম্য শিক্ষার্থীদের স্বপ্নের, সমান অধিকার ও মানবিক ক্যাম্পাস গড়ার। ভোট দিয়ে বেরিয়ে এসে তিনি বললেন, ২০১৯ আর ২০২৫—আকাশ-পাতাল পার্থক্য।

তিনি মনে করালেন, ২০১৯ সালের নির্বাচন ছিল সম্পূর্ণ ভিন্ন এক অভিজ্ঞতা। স্বাধীনভাবে ভোট দেওয়া তখন প্রায় অসম্ভব ছিল। অনিশ্চয়তা, চাপ এবং নিয়মের অভাব সেই সময়কার নির্বাচনের ছায়া হয়ে ছিল। আর আজ, তিনি স্বচ্ছন্দে বলতে পারছেন। ভোটকেন্দ্রগুলোর হলের বাইরে অবস্থান স্বচ্ছতার সম্ভাবনা বাড়িয়েছে। বেল্ট সিস্টেমের প্রবর্তনও নিশ্চিত করেছে যে ভোটার নিজেই যাচাই-বাছাই করে ভোট দিতে পারছেন। রাইসুল ইসলাম বলেন, এবার আমি নিজেই যাচাই-বাছাই করে ভোট দিয়েছি। এই অভিজ্ঞতা আমার কাছে নতুন।
রাইসুল ইসলামের যাত্রা শুধু নির্বাচনী নয়। তিনি একজন অদম্য শিক্ষার্থীর প্রতিচ্ছবি, যিনি প্রতিদিন সংগ্রামী ও বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিক্ষার্থীদের অধিকার নিশ্চিত করতে কাজ করছেন।
ভোটের দিন সকাল থেকেই ক্যাম্পাসে ছড়িয়েছিল শান্তি আর প্রত্যাশার মিশ্রণ। শিক্ষার্থীরা দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে ভোট দিচ্ছিলেন। রাইসুল মনে করেন, এই স্বাধীন পরিবেশই গণতন্ত্রের প্রকৃত সৌন্দর্য। তার মতে, স্বচ্ছ নির্বাচনের সম্ভাবনা এবার বেশি।
রাইসুল ইসলামের কণ্ঠে শোনা যায় দৃঢ় আশাবাদ, ইনশাআল্লাহ, আমি ব্যক্তিগতভাবে আশাবাদী, জয়লাভ করব। তবে
এএইচ/এআর