জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৯:৪৫ এএম
বাংলাদেশের সব গণতান্ত্রিক আন্দোলনের সূতিকাগার হিসেবে পরিচিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শুধু শিক্ষার ক্ষেত্রেই নয়, রাজনৈতিক নেতৃত্ব তৈরির ক্ষেত্রেও অগ্রণী ভূমিকা রেখেছে। দেশের প্রাচীনতম এই বিদ্যাপীঠ থেকে উঠে আসা ডাকসুর (ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ) নেতৃত্ব পরবর্তীতে জাতীয় রাজনীতিতে রেখেছে গুরুত্বপূর্ণ ছাপ।
১৯২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে প্রথমবারের মতো গঠিত হয় ডাকসু। সেই সময় সহ-সভাপতি (ভিপি) নির্বাচিত হন মমতাজ উদ্দিন আহমেদ এবং সাধারণ সম্পাদক (জিএস) হন যোগেন্দ্রনাথ সেনগুপ্ত। প্রতিষ্ঠার পর থেকে এ পর্যন্ত ডাকসুতে নির্বাচন হয়েছে ৩৭ বার।
প্রথমদিকের নির্বাচিতদের মধ্যে রয়েছেন— এ এম আজহারুল ইসলাম ও এস চক্রবর্তী, রমণী কান্ত ভট্টাচার্য, কাজী রহমত আলী ও আতাউর রহমান। ১৯৪৭-৪৮ শিক্ষাবর্ষে ভিপি হন অরবিন্দ বোস এবং জিএস হন গোলাম আযম। ১৯৫৩-৫৪ সালে দায়িত্ব পালন করেন এস এ বারী, জুলমত আলী খান ও ফরিদ আহমেদ।
পরবর্তী সময়ে ডাকসুর ভিপি-জিএস ছিলেন— নিরোদ বিহারী নাগ ও আব্দুর রব চৌধুরী, বদরুল আলম ও মো. ফজলে হোসেন, আবুল হোসেন ও এ টি এম মেহেদী, আমিনুল ইসলাম তুলা ও আশরাফ উদ্দিন মকবুল, বেগম জাহানারা আখতার ও অমূল্য কুমার, এস এম রফিকুল হক ও এনায়েতুর রহমান, রাশেদ খান মেনন ও মতিয়া চৌধুরী, তোফায়েল আহমেদ ও নাজিম কামরান চৌধুরী, আসম আব্দুর রব ও আব্দুল কুদ্দুস মাখন প্রমুখ।
স্বাধীনতার পর ১৯৭২-৭৯ সময়কালে ছাত্র ইউনিয়নের মোজাহিদুল ইসলাম সেলিম (ভিপি) ও মাহবুব জামান (জিএস) দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭৯ ও ১৯৮০ সালের নির্বাচনে ভিপি হন মাহমুদুর রহমান মান্না এবং জিএস হন আখতারুজ্জামান টানা দুটি মেয়াদে তারা নেতৃত্ব দেন। ১৯৮২ সালের নির্বাচনে ভিপি হন আখতারুজ্জামান এবং জিএস হন জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু। এরপর ১৯৮৯-৯০ মেয়াদে দায়িত্ব পান সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমেদ ও মুশতাক আহমেদ।
১৯৯০ সালে ডাকসুর নেতৃত্বে আসেন ছাত্রদলের আমানউল্লাহ আমান (ভিপি) ও খায়রুল কবির খোকন (জিএস)।
এরপর দীর্ঘ ২৮ বছর কোনো নির্বাচন হয়নি। অবশেষে ২০১৯ সালের মার্চে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে ভিপি হন নুরুল হক নুর এবং জিএস হন গোলাম রাব্বানী।
দীর্ঘ বিরতির পর আজ আবারও ডাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। শিক্ষার্থীরা অধীর আগ্রহে জানার জন্য অপেক্ষা করছে, কে হচ্ছেন ডাকসুর পরবর্তী কাণ্ডারি।
টিএই/এফএ