জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৯:১৫ এএম
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে ১৯৯০ সালে পূর্ণ প্যানেলে জয় পেয়েছিল জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল। এবার জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পর ভিন্ন প্রেক্ষাপটে আসা ডাকসু নির্বাচনেও নব্বইয়ের মতো ‘গণজোয়ারের’ আশা করছে ছাত্রদল। প্রার্থী মনোনয়নের ক্ষেত্রে তরুণদের বেছে নিলেও বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোতে সাংগঠনিক অবস্থা বিবেচনায় নব্বইয়ের সেই স্মৃতি ফেরাতে পারবে কিনা, এখন সেটা দেখার অপেক্ষা।
যেসব ছাত্র সংগঠনের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে অংশ নিয়েছিল ছাত্রদল। ওই আন্দোলনের পর ক্যাম্পাসে সাধারণ শিক্ষার্থীদের অবস্থান সংহত হওয়ার প্রেক্ষাপটে ঊধ্বর্তন নেতৃত্বকে বাদ রেখে অপেক্ষাকৃত তরুণ নেতৃত্বকে প্রার্থী করা হয়েছে। এমন মুখ আনা হয়েছে, যারা জুলাই আন্দোলনে ছিলেন সক্রিয় ভূমিকায়।
এবারের ছাত্রদল প্যানেলের ভিপি পদপ্রার্থী আবিদুল ইসলাম খান সংগঠনের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, জিএস পদপ্রার্থী শেখ তানভীর বারী হামীম কবি জসীমউদ্দীন হল শাখার নতুন কমিটির আহ্বায়ক এবং এজিএস প্রার্থী তানভীর আল হাদী মায়েদ বিজয় একাত্তর হল শাখার আহ্বায়ক।
১৯৯০ সালের ডাকসু নির্বাচনে ছাত্রদল থেকে নির্বাচিত ভিপি আমান উল্লাহ আমান বর্তমানে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা, নির্বাচিত জিএস খায়রুল কবীর খোকন দলের যুগ্ম মহাসচিব আর এজিএস পদে জয়ী নাজিমউদ্দিন আলম কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য।
ছাত্রদল এবারের নির্বাচনে ২৭টি পদে প্রার্থী দিয়ে প্যানেল ঘোষণা করেছে। ১৯৯০-এর ডাকসুর পুনরাবৃত্তি দেখতে চায় তারা। প্রচারণায় তারা ডাকসুর অতীত ইতিহাস তুলে ধরে নানাবিধ সমস্যা সমাধানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। শিক্ষার্থীদের গণরুম ও গেস্টরুমে না ফেরানোর প্রতিজ্ঞা করেছে তারা।
ভিপি প্রার্থী আবিদুল ইসলাম খান বলেন, নব্বইয়ের গণঅভ্যুত্থানে ছাত্রদলের ভূমিকা যেমন গুরুত্বপূর্ণ ছিল, ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানেও আমরা শিক্ষার্থীদের পাশে ছিলাম। এবারের নির্বাচনে শিক্ষার্থীরা আবারও ছাত্রদলকে ভোট দেবে।
শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ছাত্রদলের প্যানেলের প্রতিশ্রুতি তাদের ভালো লেগেছে। বিশেষ করে গণরুম ও গেস্টরুম সংস্কৃতি ফিরিয়ে না আনার বিষয়ে ছাত্রদল যে কথা দিয়েছে তাতে তারা খুশি। তবে অনেক শিক্ষার্থী এতে কিছুটা সংশয় প্রকাশ করেছেন। তারা বলছেন, ছাত্রদলের হাতেই ক্যাম্পাসে প্রথম গেস্টরুম সংস্কৃতি চালু হয়েছিল। তারা এটি ফিরিয়ে আনবে না, তা দেখে তবেই বিশ্বাস করতে হবে।
টিএই/এফএ