নিজস্ব প্রতিবেদক
০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৮:২৩ এএম
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে ভোট শুরুর আগেই ভোটকেন্দ্রে পৌঁছেছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের ভিপি (সহ-সভাপতি) পদপ্রার্থী আবিদুল ইসলাম খান। মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে সাতটার দিকে তিনি কেন্দ্র এলাকায় আসেন। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছিরসহ সংগঠনের অন্যান্য নেতাকর্মীরা।
ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে সকাল ৮টা থেকে। চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। সকাল থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ভোটকেন্দ্রে শিক্ষার্থীদের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। অনেকেই ভোট শুরু হওয়ার আগেই কেন্দ্রের সামনে লাইন ধরেছেন।
ভোট শুরুর আগে, সকাল ৭টা ৪০ মিনিটে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন আবিদুল ইসলাম খান। তিনি বলেন, এখনও ভোট শুরু হয়নি। ভোটগ্রহণ শুরুর পর বোঝা যাবে পরিবেশ কেমন থাকে। তবে আমি মনে করি, আজ বাংলাদেশের গণতন্ত্র চর্চায় একটি নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হচ্ছে।
আবিদ আরও বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাসে আমরা বহুদিন ধরে ভোটাধিকার ফিরে পাওয়ার আন্দোলন করে এসেছি। আজ শিক্ষার্থীরা সেই ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন। আমি সবাইকে অনুরোধ করবো, নির্ভয়ে কেন্দ্রে আসুন, ভোট দিন।
তিনি বলেন, ভোরবেলা থেকেই শিক্ষার্থীরা কেন্দ্রে আসছেন। এটা গণতন্ত্রের জন্য একটি ভালো বার্তা। ভোটের মাধ্যমে যোগ্য নেতৃত্ব নির্বাচিত হবে বলেই আমরা আশাবাদী।
এবারের ডাকসু নির্বাচনে ২৮টি পদের বিপরীতে প্রার্থী হয়েছেন ৪৭১ জন। কেন্দ্রীয় সংসদের পাশাপাশি ১৮টি হল সংসদেও ভোট হচ্ছে। হল সংসদে ২৩৪টি পদের বিপরীতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ১ হাজার ৩৫ জন প্রার্থী।
ভোটারদের তালিকায় নাম রয়েছে মোট ৩৯ হাজার ৮৭৪ জন শিক্ষার্থীর। এর মধ্যে ১৮ হাজার ৯৫৯ জন ছাত্রী এবং ২০ হাজার ৯১৫ জন ছাত্র। প্রতিটি ভোটারকেই ৪১টি করে ভোট দিতে হবে, কেন্দ্রীয় সংসদের ২৮টি ও নিজ নিজ হল সংসদের ১৩টি পদের জন্য।
ভোটগ্রহণ হচ্ছে মোট ৮টি কেন্দ্রে। চিফ রিটার্নিং কর্মকর্তা অধ্যাপক জসীম উদ্দীন জানিয়েছেন, ভোটগ্রহণ নির্বিঘ্ন করতে বুথ সংখ্যা ৭১০ থেকে বাড়িয়ে ৮১০ করা হয়েছে।
নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিতে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের পক্ষ থেকে ২ হাজার ৯৬ জন পুলিশ সদস্য, সোয়াট, ডগ স্কোয়াড, স্পেশাল টিম এবং ডিবি সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।
এসএইচ/এইউ