images

শিক্ষা

‘কমপ্লিট শাটডাউনে’ ফাঁকা বুয়েট ক্যাম্পাস

নিজস্ব প্রতিবেদক

২৮ আগস্ট ২০২৫, ০১:১৪ পিএম

তিন দফা দাবির ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচিতে ফাঁকা বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) ক্যাম্পাস। কোনো বিভাগে শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের সেভাবে দেখা যায়নি। তবে নিরাপত্তা কর্মীরা জানান, বুয়েটের সপ্তাহিক ছুটি বৃহস্পতিবার আর কর্মসূচির কারণে কেউ ক্যাম্পাসে আসেনি। 

আজ বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) দুপুর ১২টায় সরেজমিনে বুয়েট ঘুরে দেখা যায়, কোথাও শিক্ষার্থীরা আসেননি। তবে বিভিন্ন কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা এসেছেন। 

অ্যাকসিডেন্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউটের একজন কর্মচারী বলেন, আজকে এমনিতেই ছুটির দিন। তার মধ্যে ছাত্রদের আন্দোলন চলছে। ফলে ক্যাম্পাসে কেউ আসেনি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের সোনালী ব্যাংকে দেখা হয় সিএসই বিভাগের শিক্ষার্থী নাজমুল হোসেনের সঙ্গে। তিনি বলেন, আমরা সব পরীক্ষা বয়কট করেছি। আন্দোলন চলছে। এটিকে সফল করার জন্য আমরা কাজ করে যাবো। 

13

গতকাল বুধবার রাতে এক সংবাদ সম্মেলনে কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচি ঘোষণা করে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের প্ল্যাটফর্ম প্রকৌশল অধিকার আন্দোলন। ঘোষণা অনুযায়ী, বুয়েটসহ দেশের সব প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় শাটডাউন কর্মসূচি পালন করার কথা রয়েছে। তবে বুয়েটে আজ বৃহস্পতিবার এমনিতেই সাপ্তাহিক বন্ধ।

তিন দফা দাবিতে গত মঙ্গলবার বিকেল থেকে রাজধানীর শাহবাগে অবস্থান কর্মসূচি পালন করে আসছিলেন বুয়েটের শিক্ষার্থীরা। গতকাল বেলা ১১টার দিকে পূর্বঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে শাহবাগ মোড় অবরোধ করেন শিক্ষার্থীরা।

একপর্যায়ে তারা বেলা দেড়টার দিকে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার দিকে যেতে শুরু করেন। ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলের সামনে তাদের বাধা দেয় পুলিশ। এ সময় তাদের ওপর সাউন্ড গ্রেনেড, কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ ও জলকামান ব্যবহার করে পুলিশ। তখন লাঠিপেটার ঘটনাও ঘটে। এতে অনেক শিক্ষার্থী আহত হন।

পুলিশের লাঠিপেটার পর তারা বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে আবারও শাহবাগে জড়ো হন শিক্ষার্থীরা। রাত সাড়ে ১০টার পর তারা শাহবাগ মোড় ছেড়ে যেতে থাকেন। ওই সময় বুয়েটের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী জুবায়ের আহমেদ দেশের সব ইঞ্জিনিয়ারিং বিশ্ববিদ্যালয়ে কমপ্লিট শাটডাউন অব ইঞ্জিনিয়ার্স ঘোষণা করেন।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের তিন দফা দাবি হলো নবম গ্রেড সহকারী প্রকৌশলী পদে কেবল পরীক্ষার মাধ্যমে নিয়োগ ও ন্যূনতম যোগ্যতা বিএসসি ইঞ্জিনিয়ার করা; দশম গ্রেডে শুধু ডিপ্লোমাধারীরা আবেদন করতে পারেন, সেখানে যেন উচ্চ ডিগ্রিধারীরাও আবেদন করতে পারেন, সে ব্যবস্থা করা এবং শুধু বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং যারা সম্পন্ন করবেন, তারাই যেন প্রকৌশলী (ইঞ্জিনিয়ার) লিখতে পারেন, সে বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া।

এএসএল/এএস