images

শিক্ষা

গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে অনাড়ম্বর ঢাবি, শিক্ষার্থীদের ক্ষোভ

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক

০৫ আগস্ট ২০২৫, ০৪:২১ পিএম

গণঅভ্যুত্থানের পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) বিভিন্ন ডিপার্টমেন্ট, ইনস্টিটিউট ও হলে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হলেও জুলাই বর্ষপূর্তিতে আবাসিক হলগুলোতে কোনো আয়োজন নেই বলে অভিযোগ। এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন শিক্ষার্থীরা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের আইন বিভাগের বিজয় একাত্তর হলের আবাসিক শিক্ষার্থী আহমেদ তানভীর। 

তিনি ঢাকা মেইলকে বলেন, ‘হল প্রশাসন কিছু ক্ষেত্রে উদ্যোগ নিয়েছে। কিন্তু ৩৬ জুলাই (৫ আগস্ট) আমাদের পূর্ণতা প্রাপ্তির একটি জায়গা। হল প্রশাসন আজকে চাইলে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও শিক্ষার্থীদের জন্য খাবার-দাবারের আয়োজন করতে পারতো। যাতে করে জুলাই এর চেতনাকে কেউ ভুলে না যেতে পারে। আমরা চাই, হল প্রশাসন শুধু কাগজে-কলমে না থেকে বিভিন্ন প্রতীকী কাজের মাধ্যমে জুলাইয়ের চেতনাকে ধরে রাখুক।’

ঢাবি শিক্ষার্থীদের প্ল্যাটফর্ম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী সংসদে (ঢাবিশিস) মোহাম্মদ হাবিব নামে এক শিক্ষার্থী উদ্বেগ প্রকাশ করে লেখেন, ‘আগামীকাল ৩৬ জুলাই (৫ আগস্ট), অথচ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের পক্ষ থেকে হলগুলোর জন্য কোনো আয়োজন নাই। প্রথম বছরেই এই অবস্থা, আগামী ৫ বছর পর কী হতে পারে!’

আরেক শিক্ষার্থী তাহসিন আহমেদ লেখেন, ‘৫ আগস্ট বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের ইতিহাসে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় ৪০ হাজার শিক্ষার্থী এই দিনটিতে রাজনৈতিক জিম্মিদশা থেকে মুক্তি পেয়েছিল। ‘গণরুম’ নামের নির্মম, জঘন্য ও মানবতাবিরোধী সিস্টেমের শিকার হওয়ার যে বাস্তবতা, সেখান থেকে মুক্তির দিন এটি। এটি  হলের শিক্ষার্থীদের দাসত্ব থেকে স্বাধীন হওয়ার দিন। আমরা এই দিনটির যথাযোগ্য উদযাপন চাই এবং করতে হবে।’

ঢাবি প্রশাসনের প্রতি প্রশ্ন তুলে তিনি লেখেন, ‘৫ আগস্ট যদি প্রসাশনের উদ্যোগে হলে হলে উৎসব না হয়, তাহলে আর কবে হবে? নাকি প্রশাসন শিক্ষার্থীদের এই মুক্তিতে অখুশি? এই দিনের উৎসব কেন শিক্ষার্থীদের নিজের টাকায় করতে হবে? এই দিনটির কারণেই তো আমরা অন্যায় ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে মুখের উপর প্রশ্ন ছুঁড়তে শিখেছি। তাহলে কি সেই সাহস দেখেই প্রশাসনের কিছু ব্যক্তিবিশেষ নাখোশ হয়ে পড়েছে? তারা এখন মুছে ফেলতে চায় ৫ আগস্টকে?’

প্রভোস্ট স্ট্যান্ডিং কমিটির আহ্বায়ক ও স্যার সলিমুল্লাহ মুসলিম হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. আব্দুল্লাহ আল মামুন ঢাকা মেইলকে বলেন, ‘আমরা জুলাইকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন সময় অনেক আয়োজন করেছি। বিশ্ববিদ্যালয়ের বাজেটে শুধু পহেলা বৈশাখের খাবারের কথা বলা হয়েছে, কিন্তু আমরা এর বাইরে গিয়েও হলে বিভিন্ন সময় হলে খাবার-দাবারের আয়োজন করি। যেমন- রমজানে, অভ্যুত্থানের পরে, এছাড়াও বিভিন্ন সময় হলের শিক্ষার্থীদের জন্য খাবারের আয়োজন করার চেষ্টা করি। এছাড়া বিভিন্ন সময়ে হলে ও মসজিদের মিলাদ মাহফিলে আমরা আগে থেকেই ভালো খাবার দিচ্ছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘গণঅভ্যুত্থানের পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোকে সংস্কারের আওতায় এনেছি। শিক্ষার্থীদের চাহিদা থাকে তা আমরাও বুঝতে পারি। তাদেরকে হলের অর্থ স্বল্পতার বিষয়টিও একটু দেখতে হবে।’

এএইচ