images

শিক্ষা

জবি শিক্ষককে অপমানের অভিযোগে রেজিস্ট্রারের পদত্যাগ দাবি

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক

০৩ আগস্ট ২০২৫, ০৫:২২ পিএম

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) রেজিস্ট্রার কর্তৃক শিক্ষককে অপমান ও তার সঙ্গে অসদাচরণের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ও মানববন্ধন করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। পাশাপাশি ওই রেজিস্ট্রারের পদত্যাগও চাওয়া হয়েছে।

রোববার (৩ আগস্ট) দুপুর ২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষা শহিদ রফিক ভবনের নিচে এ প্রতিবাদ জানান তারা।

এসময় শিক্ষার্থীরা ‘স্বৈরাচারের ঠিকানা, জগন্নাথে হবে না’, ‘এক দুই তিন চার, রেজিস্ট্রার গদি ছাড়’, ‘স্বৈরাচারের গদিতে, আগুন জ্বালো একসাথে’, ‘শিক্ষককে হেনস্তা, মানি না মানব না’- ইত্যাদি স্লোগান দেন। 

এসময় গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ইব্রাহিম খলিল বলেন, ‘অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে বলতে হয়, ‘আমরা যখন কোনো যৌক্তিক প্রশ্ন বা সমস্যা নিয়ে তার দফতরে যাই, তখন তিনি আমাদের সঙ্গে সহানুভূতির পরিবর্তে বিরূপ এবং অপমানজনক ভাষায় প্রতিক্রিয়া জানান।’

তিনি বলেন, ‘একজন প্রশাসনিক কর্মকর্তার এমন আচরণ শুধু একজন শিক্ষার্থী নয়, পুরো বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ ও ভাবমূর্তিকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। তিনি শুধু সাধারণ শিক্ষার্থীর সঙ্গে নয়, আমাদের বিভাগের স্যারের সঙ্গে একই ব্যবহার করেছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনকে বলতে চাই, জুলাই পরবর্তী সময়ে এ রকম স্বৈরাচারি আচরণ মেনে হওয়া হবে না। তিনি যদি স্বৈরাচার হয়ে উঠতে চান, তাহলে তার অবস্থা ভালো হবে না।’  

‎একই বিভাগের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী জোবায়ের হোসেন বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন কর্মকর্তা এখন ক্ষেপে যাওয়া বাছুরের মতো আচরণ করছেন। তিনি যদি ক্ষেপতেই চান তাহলে মাঠে যাক। বদমেজাজী ও অযোগ্য ব্যক্তিদের এমন গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকার কোনো অধিকার নেই। এটা বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য অপমানজনক।’

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আবু রায়হান সিদ্দিক ইউজিসি ফান্ডেড স্কলারশিপ পাওয়ার পর ইউজিসি প্রদত্ত শর্ত অনুযায়ী একটি ত্রিপক্ষীয় চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর নিতে গিয়ে রেজিস্ট্রারের কাছে বাজে আচরণের শিকার হন। ওই শিক্ষককে বারবার অবজ্ঞা করা, দ্রুত করতে গেলে আরও দেরি হবে, লাঞ্চের অজুহাত দিয়ে কক্ষ থেকে চলে যেতে বলা, স্বাক্ষর করার জন্য এখানে বসে নেই, এমন নানাভাবে হেনস্তা করেন রেজিস্ট্রার গিয়াসউদ্দিন আহমদ। 

ভুক্তভোগী ওই শিক্ষক বলেন, ইউজিসি থেকে আমাকে দ্রুত সময়ে ত্রিপক্ষীয় চুক্তিপত্রের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে বলা হয়। আশা করেছিলাম এ বিষয়ে রেজিস্ট্রার মহোদয়ের কাছে গেলে তিনি আন্তরিকতার সঙ্গে স্বাক্ষর করে দেবেন। এরপরও কয়েক দফায় সারাদিন ঘুরে যখন ওনার স্বাক্ষরের জন্য শেষবার যাই, আবার কেন গিয়েছি জানতে চেয়ে তিনি লাঞ্চ করবেন বলে কক্ষ থেকে চলে যেতে বলেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হিসেবে তার এমন ব্যবহারে খুবই হতবাক ও মর্মাহত হয়েছি। এমন দায়িত্বশীল পদে থেকে কারও সঙ্গে এমন ব্যবহার করা সমীচীন নয়।’

এর আগে রেজিস্ট্রার গিয়াসউদ্দিন আহমদের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থী ও সাংবাদিক হেনস্তা, রুম থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। সম্প্রতি সংবাদের জন্য রেজিস্ট্রারের কাছে মন্তব্য নিতে গেলে কয়েকজন সাংবাদিকের সঙ্গে অশোভন আচারণ করেন তিনি।

এএইচ