নিজস্ব প্রতিবেদক
২৬ জুলাই ২০২৫, ০৫:০২ পিএম
চলতি বছরের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় দায়িত্ব পালনকালে খাতা মূল্যায়নে গাফিলতির অভিযোগে আটজন পরীক্ষককে পরীক্ষা সংক্রান্ত সকল কার্যক্রম থেকে আজীবনের জন্য অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
শনিবার (২৬ জুলাই) ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক এস এম কামাল উদ্দিন হায়দার স্বক্ষরিত এক আদেশে এই সিদ্ধান্ত জানানো হয়।
আদেশে বলা হয়েছে, এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার নির্ধারিত উত্তরপত্রে পরীক্ষার্থীদের দিয়ে ওএমআর অংশের বৃত্ত ভরাট করিয়ে নেওয়ার অভিযোগে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে তদন্তে প্রমাণ মেলে।
পরে বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে বোর্ড কর্তৃপক্ষ বিষয়টি আমলে নেয় এবং অভিযুক্ত পরীক্ষকদের কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়। জবাবে সংশ্লিষ্ট শিক্ষকরা দোষ স্বীকার করে ক্ষমা প্রার্থনা করেন।
তিনি বলেন, তদন্তে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে সংশ্লিষ্ট পরীক্ষকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। এতে বোর্ড সিদ্ধান্ত নেয়, তাদের সকলকে ভবিষ্যতে আর কোনো পাবলিক পরীক্ষার কার্যক্রমে সম্পৃক্ত করা হবে না।
আজীবনের জন্য অব্যাহতি পাওয়া পরীক্ষকদের তালিকায় চারজন এসএসসি ও চারজন এইচএসসি পরীক্ষার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।
এসএসসি পরীক্ষার ক্ষেত্রে অব্যাহতি পাওয়া পরীক্ষকরা হলেন- সাভারের সেন্ট যোসেফস হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজের উচ্চতর গণিত বিষয়ের পরীক্ষক মহসীন আলামীন, ঢাকার যাত্রাবাড়ী আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা বিষয়ের পরীক্ষক মো. সাখাওয়াত হোসাইন আকন, ঢাকার নবাবগঞ্জের মুন্সীনগর উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক ও গণিত বিষয়ের পরীক্ষক আবু বকর সিদ্দিক এবং টাঙ্গাইলের বাসাইল উপজেলার সুল্লা আব্বাছিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের গণিত বিষয়ের পরীক্ষক মো. আলেকজান্ডার মিয়া।
এইচএসসি পরীক্ষার ক্ষেত্রে অব্যাহতি পাওয়া পরীক্ষকরা হলেন- নরসিংদীর বেলাব উপজেলার বারৈচা কলেজের বাংলা প্রথম পত্রের পরীক্ষক মধুছন্দা লিপি, ঢাকার ডেমরার রোকেয়া আহসান কলেজের ইংরেজি দ্বিতীয় পত্রের পরীক্ষক মুরছানা আক্তার, ঢাকার সাভারের হাজী ইউনুছ আলী কলেজের বাংলা দ্বিতীয় পত্রের প্রভাষক মো. জাকির হোসাইন এবং গাজীপুরের কালিয়াকৈরের শফিপুর এলাকার ভাষা শহীদ আব্দুল জব্বার আনসার ভিডিপি স্কুল অ্যান্ড কলেজের বাংলা দ্বিতীয় পত্রের প্রভাষক মো. রাকিবুল হাসান।
এএসএল/এএইচ