নিজস্ব প্রতিবেদক
১৫ জুলাই ২০২৫, ০১:৩৫ পিএম
আশুলিয়া স্কুল অ্যান্ড কলেজে অনুমোদন ছাড়া ঐচ্ছিক বিষয় পড়িয়ে ১৮৬ জন শিক্ষার্থীর একাডেমিক জীবন বিপাকে ফেলেছেন কলেজ কর্তৃপক্ষ। চলতি বছরের এইচএসসির মঙ্গলবারের (১৫ জুলাই) ঐচ্ছিক বিষয়ের পরীক্ষার ব্যাপারে তারা আগে থেকে জানতেন না। তবে এই পরিস্থিতির জন্য কলেজ কর্তৃপক্ষকে শতভাগ দায়ী করেছে শিক্ষা বোর্ড।
শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞাপ্তিতে বলে হয়, আশুলিয়া স্কুল অ্যান্ড কলেজে কর্তৃপক্ষ গত দুই বছর যাবৎ নির্দিষ্ট শিক্ষক দ্বারা যেসব ঐচ্ছিক বিষয় (যেমন— সমাজকর্ম, পৌরনীতি, ভূগোল) পড়িয়েছেন সেগুলো পড়ার অনুমোদন এই কলেজের নেই। ফলে মোট ২৮৬ জন শিক্ষার্থী এই তিনটি বিষয়কে ঐচ্ছিক বিষয় হিসেবে বাছাই করেছিল। কিন্তু তাদেরকে এখন অন্য বিষয়ের পরীক্ষা দিতে হবে। এ ব্যাপারে সাভার উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও), ঢাকা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকসহ বাকি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে কোনো ফলাফল পাওয়া যায়নি।
এদিকে, এ ঘটনায় ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. খন্দোকার এহসানুল কবির স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞাপ্তিতে বলা হয়, ঢাকা জেলার সাভার উপজেলাধীন আশুলিয়া উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়ের উচ্চমাধ্যমিক পাঠ্যক্রমে ঐচ্ছিক বিষয় হিসেবে সমাজকর্ম, পরিসংখ্যান ও ভূগোল বিষয়ে পাঠদানের কোনো অনুমোদন না থাকায় কলেজ কর্তৃপক্ষ ১৮৬ জন শিক্ষার্থীর রেজিস্ট্রেশন এবং ২০২৫ সালের এইচএসসি পরীক্ষার ফরমপূরণ করেছে কলেজের অনুমোদনপ্রাপ্ত ভিন্ন ৩টি বিষয়ে।
আরও বলা হয়, কলেজ কর্তৃপক্ষ পরীক্ষা শুরুর অনেক আগেই পরীক্ষার্থীদের প্রবেশপত্র পেয়েছে এবং তাতে সমাজকর্ম, পরিসংখ্যান ও ভূগোল বিষয়ে পরীক্ষা দানের সুযোগ না থাকা সত্ত্বেও বোর্ডের সঙ্গে তারা কোনোরূপ যোগাযোগ করেনি। আবশ্যিক ৫টি পত্রের পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর ৯ জুলাই ২০২৫ তারিখে কলেজ কর্তৃপক্ষ বোর্ডের সাথে যোগাযোগ করে ১৮৬ জন পরীক্ষার্থীর রেজিস্ট্রেশন কার্ড ও প্রবেশপত্র পরিবর্তন করে দেওয়ার জন্য মৌখিকভাবে অনুরোধ করে। কিন্তু ইতোমধ্যে পূর্ব নির্ধারিত সংখ্যক প্রশ্নপত্র সব কেন্দ্র সংশ্লিষ্ট নিরাপত্তা হেফাজতে পাঠিয়ে দেওয়ায় বোর্ডের পক্ষে কিছু করার ছিল না। এই পরিস্থিতির জন্য কলেজ কর্তৃপক্ষ শতভাগ দায়ী। এ ধরনের অনিয়ম প্রশ্রয় দিলে শিক্ষাঙ্গণে অনিয়ম ও অস্থিরতা আরও বাড়বে এবং চাপের মুখে আরেকটি অনিয়মকে প্রশ্রয় দেওয়ার উদাহরণ সৃষ্টি হবে।
আশুলিয়া উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয় ছাড়াও ঢাকা বোর্ডের আওতাধীন আরও ৬টি কলেজে অনুরূপ ঘটনা ঘটেছে। তবে তাদের সাকুল্য সংখ্যা মাত্র ২২ জন। অন্যদিকে, আশুলিয়া উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ১৮৬ জন।
এ বিষয়ে জানতে আশুলিয়া স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রিন্সিপাল মো. হাবিবুর রহমানকে একাধিক বার কল করেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
এএসএল/এমএইচটি