images

শিক্ষা

‘যুক্তিবাদ ও নৈতিকতার চর্চাই দর্শনের প্রাণ’

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক

১০ জুলাই ২০২৫, ১০:২৫ পিএম

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিম বলেছেন, যুক্তিবাদ ও নৈতিকতার চর্চাই দর্শনের প্রাণ; এমন মূল্যবোধই তরুণ প্রজন্মকে আলোকিত ভবিষ্যতের পথে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে।

বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) দর্শন বিভাগের ফিলোসফি কালচারাল ক্লাব আয়োজিত চারদিনব্যাপী ‘ফিলো কার্নিভ্যাল ১.০’-এর সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

উপাচার্য বলেন, এই ধরনের উদ্যোগ শিক্ষার্থীদের চিন্তাশীলতা, যুক্তি বিশ্লেষণ এবং মানবিকতা চর্চার পথ প্রশস্ত করে। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়কে আমাদের হৃদয়ে ধারণ করতে হবে একান্ত ভালোবাসা ও দায়বদ্ধতায়। তাহলেই আমরা আমাদের প্রতিষ্ঠানকে এগিয়ে নিতে পারব, কেউ আর এর অগ্রগতিতে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারবে না।

তিনি আরও বলেন, জীবনে নৈতিকতা যেমন অপরিহার্য, তেমনি যুক্তির মাধ্যমেই জ্ঞানের জগতে সঠিক সিদ্ধান্তে পৌঁছানো সম্ভব। দর্শন সেই আলোই দেখায়।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. রইছ উদ্দীন। তিনি বলেন, দর্শন মানেই চিন্তা ও মূল্যবোধের চর্চা। পরস্পরের সহযোগিতা ও ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টাই বিশ্ববিদ্যালয়ের কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য অর্জনের অন্যতম হাতিয়ার।

অনুষ্ঠানের শুরুতে জাতীয় সংগীত পরিবেশন এবং জুলাই বিপ্লবে শহীদ ও আহতদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।

দর্শন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ হাফিজুল ইসলামের সভাপতিত্বে আয়োজনে স্বাগত বক্তব্য দেন ফিলোসফি কালচারাল ক্লাবের মডারেটর অধ্যাপক মো. জসিম খান। তিনি বলেন, এই কার্নিভালের মাধ্যমে আমরা দর্শনের মূল দর্শন— মানবিকতা, যুক্তিবাদ ও নৈতিকতাকে শিক্ষার্থীদের মাঝে ছড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছি।

চারদিনব্যাপী কার্নিভালে বিতর্ক, উপস্থিত বক্তৃতা, প্রবন্ধ লেখা, কুইজসহ নানা প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। শেষ দিনে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন অতিথিরা।

ফিলো কার্নিভালের একজন অংশগ্রহণকারী দর্শন বিভাগের শিক্ষার্থী সাফা আক্তার নোলক বলেন, এই আয়োজন আমাদের শুধু দর্শনের বইগত জ্ঞান নয়, বাস্তব জীবনে দর্শন কীভাবে প্রাসঙ্গিক— তা ভাবতে শিখিয়েছে। যুক্তির চর্চা কীভাবে সমাজ বদলের হাতিয়ার হতে পারে, তা নতুনভাবে বুঝতে পেরেছি।

উল্লেখ্য, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে এই প্রথমবারের মতো দর্শন বিভাগ এমন ব্যতিক্রমী ও চিন্তনধর্মী আয়োজন করে, যা শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের মাঝে দারুণ সাড়া ফেলে। আয়োজকেরা জানিয়েছেন, এটি নিয়মিত আয়োজন হিসেবে চালিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে।