নিজস্ব প্রতিবেদক
০৮ জুলাই ২০২৫, ১২:৪৪ পিএম
চলতি বছরের এইচএসসির তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি- ২৭৫) পরীক্ষার প্রশ্নপত্রে দুটি ভুল এমসিকিউ থাকার দাবি করেছে শিক্ষার্থীরা। গতকাল সোমবার (৭ জুলাই) অনুষ্ঠিত হওয়া ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের প্রশ্নপত্রে এ ঘটনা ঘটে। এছাড়া প্রশ্নপত্র স্বাভাবিকের চেয়ে কঠিন করা হয়েছে বলেও অভিযোগ রয়েছে। প্রশ্নপত্রের এমন ভুলে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
শিক্ষার্থীদের দাবি, অন্য সব বছরের তুলনায় প্রশ্ন জটিল করা হয়েছে। তারমধ্যে আবার দুটো প্রশ্নের সঠিক উত্তরের অপশন নেই। আমরা এমন ভুলের প্রশ্ন চাই না। একই সঙ্গে দুটি ভুল প্রশ্নের নম্বর যাতে সবাইকে দেওয়া হয়।
প্রশ্নপত্র বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (২৭৫) বিষয়ের বহুনির্বাচনি পরীক্ষার প্রশ্ন পত্র ‘ক’ সেটের ২২ নম্বর প্রশ্নের সঠিক উত্তর নেই। প্রশ্নে বলা হয়েছে উদ্দীপকে Y এর মান ০, যখন- i. A = 1 B = 0, ii. A = 0 B = 1, iii. A = 1 B = 1
নিচের কোনটি সঠিক?
(ক) i ও ii (খ) i ও iii (গ) ii ও iii (ঘ) i, ii ও iii
শুধু তিন নম্বর অপশনেই সঠিক উত্তর রয়েছে। উত্তরের ব্যাখ্যা হলো- XOR gate এর Output ০ হয় যখন দুটি ইনপুট একই হয়। সে হিসেবে তিন নম্বর অপশন শুধু সঠিক। যেটা অপশনে নেই।
আর ২৪ নম্বর প্রশ্ন বলা হয়েছে, নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং ১১ নং প্রশ্নের উত্তর দাও:
void main ()
} int i = 15, j j =j++ Printf ("%d %d", i, j);
উদ্দীপকের প্রোগ্রামটি রান করলে i ও j এর মান কত হবে?
(ক) 15,15 (গ) 16,16 (খ) 15,16 (ঘ) 16,17
এই প্রশ্নের উত্তর হবে 16 ও 15 যেটা অপশনে নেই।
মিরপুরে বাসিন্দা ও এইচএসসি পরীক্ষার্থী মামুন হোসেন বলেন, প্রশ্নপত্র হাতে নেওয়ার পর থেকে কঠিন মনে হচ্ছিল। বিগত কয়েক বছরের তুলনায় প্রশ্ন কঠিন হয়েছে। তারমধ্যে জানা দুটো প্রশ্নের সঠিক উত্তরের অপশন ছিল না। এসব নিয়ে পরীক্ষার হলে অনেক টেনশন কাজ করছিল। আমি চাই ওই দুই প্রশ্নের নম্বর যেনো সবাইকে দেওয়া হয়।
একজন অভিভাবক বলেন, এইচএসসি পরীক্ষা অন্য সব বোর্ড পরীক্ষার তুলনায় কঠিন হয়। সেদিক থেকে আসসিটির প্রশ্ন যেমন কঠিন হয়েছে তেমনি ভুলও ছিল। তাই ভুল প্রশ্নপত্রের জন্য শিক্ষার্থীরা যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয় এমন সিদ্ধান্ত আশা করছি। এছাড়া আগামীতে প্রশ্নপত্র তৈরিতে বোর্ড আরো সচেতন হবে।
প্রশ্নপত্রে ভুলের বিষয়ে জানতে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি ও ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. খন্দোকার এহসানুল কবিরকে একাঠিক বার মুঠোফোনে কল করেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
এএসএল/এএস