images

শিক্ষা

ছাত্রলীগ নেতাকে আটক করে পুলিশে দিল ছাত্রদল

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক

০৩ জুলাই ২০২৫, ০৭:১৮ পিএম

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের এক নেতাকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা।

বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস (এআইএস) বিভাগ থেকে তাকে আটক করা হয়। আটককৃত ছাত্রলীগ নেতার নাম শরিফুল ইসলাম সাজিদ। তিনি ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী এবং এআইএস বিভাগের ছাত্রলীগ শাখার বর্তমান সেক্রেটারি।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সাজিদ রিটেক পরীক্ষার আবেদন করতে ক্যাম্পাসে আসেন। বিষয়টি জানতে পেরে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা বিভাগে গিয়ে তাকে আটক করেন। এসময় উভয় পক্ষের মধ্যে ধস্তাধস্তির ঘটনা ঘটে। পরে সাজিদকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর কার্যালয়ে নেওয়া হয় এবং সেখান থেকে তাকে পুলিশে হস্তান্তর করা হয়।

এ বিষয়ে ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক শাহরিয়ার হোসেন বলেন, শরিফুল ইসলাম সাজিদ নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের একজন সক্রিয় কর্মী। তিনি জুলাই আন্দোলনের সময় সাধারণ শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছিলেন। তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। তাই আমরা তাকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছি। আশা করছি প্রশাসন যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

ছাত্রদলের আরেক যুগ্ম আহ্বায়ক মাহমুদুল হাসান বলেন, বিগত ফ্যাসিস্ট শাসনামলে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা আমাদের ওপর নির্মম নির্যাতন চালিয়েছে। বিল্ডিংয়ের আন্ডারগ্রাউন্ডে আটকে রেখে ঘণ্টার পর ঘণ্টা শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করা হয়েছে। আমরা এসব ঘটনার বিচার চাই।

বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের আহ্বায়ক মেহেদী হাসান হিমেল বলেন, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল বরাবরই স্বৈরাচার ও তাদের দোসরদের বিরুদ্ধে সোচ্চার থেকেছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে। সাজিদ পরিকল্পিতভাবে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করেছিলেন। আমরা তাকে আটক করে প্রশাসনের হাতে তুলে দিয়েছি। আশা করছি প্রশাসন আইন অনুযায়ী পদক্ষেপ নেবে।

তিনি আরও বলেন, গত বুধবার ‘সাজিদ ইসলাম’ নামের একটি ফেসবুক আইডি থেকে একটি উস্কানিমূলক পোস্ট দেওয়া হয়। পোস্টে লেখা ছিল: ‘কাল থেকে একদল তরুণের প্রবেশ হবে যাদের হারানোর কিছুই নেই; না একটা গোছানো রুম, না সম্মান, না বন্ধু, না কোনো আপনজন, না সার্টিফিকেট। কিছুই নেই, নেই ভয়, নেই লজ্জা, নেই আবেগ, নেই দরদ। তারা হবে নির্ভীক, তারা হবে ভয়ংকর সুন্দর!’

তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন শরিফুল ইসলাম সাজিদ। তিনি বলেন, ফেসবুক পোস্টটি আমি করিনি, আইডিটিও আমার নয়। আগামীকাল আমার বিয়ে, তাই আগামী সপ্তাহে আসতে পারব না বলে আজ রিটেক পরীক্ষার আবেদন করতে এসেছিলাম। কোনো রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে আসিনি।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. তাজাম্মুল হক বলেন, ছাত্রদলের নেতারা দাবি করেছেন যে সাজিদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। তারা তাকে পুলিশের কাছে হস্তান্তরের দাবি জানিয়েছে। সে অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাকে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে।

কোতোয়ালি থানার তদন্ত কর্মকর্তা নাসির উদ্দীন বলেন, তার বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে।

তবে তার বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে কি না জানতে চাইলে তিনি ফোন কেটে দেন।