জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
২৬ জুন ২০২৫, ০৯:৩৪ এএম
একযোগে সারাদেশে শুরু হচ্ছে উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও সমমানের পরীক্ষা। বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) ১২ লাখ ৫১ হাজার ১১১ পরীক্ষার্থীর কেন্দ্রে বসার কথা। সন্তানদের উচ্চশিক্ষার স্তরে প্রবেশের আগে এই পরীক্ষা যাতে ভালোভাবে শেষ হয় সেজন্য উদ্বেগ আছে অভিভাবকদের মধ্যেও। তাই তো সাত সকালে কেউ সন্তান, কেউ বা ছোট ভাই বোনকে নিয়ে সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রে উপস্থিত হয়েছেন। তবে অনেক শিক্ষার্থী একাই কেন্দ্রে এসেছেন।
সকাল আটটার দিকে পুরান ঢাকার বড় তিনটি পরীক্ষা কেন্দ্র মহানগর মহিলা কলেজ, কবি নজরুল ও সোহরাওয়ার্দী কলেজ কেন্দ্রের সামনে এমন দৃশ্য দেখা গেছে।
অনেককে সন্তানদের রিকশায় করে নিয়ে এসে কেন্দ্রের বাইরে নাস্তা মুখে তুলে দিতেও দেখা গেছে। আবার শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার হলে প্রবেশের আগে এতদিন পড়ে আসা প্রশ্নের উত্তরে শেষ মুহূর্তের চোখ বুলাতে দেখা গেছে।
অভিভাবক ও পরীক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, পরীক্ষার সময় যানজটের আশঙ্কা থাকে। বিশেষ করে রাজধানীর কেন্দ্রের আশপাশের এলাকায় যানজট বেশি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই সকাল দশটায় পরীক্ষা হলেও অনেকেই আগেভাবে কেন্দ্রে এসেছেন।

সেন্ট্রাল উইমেন্স কলেজের পরীক্ষার্থী শারমিন জাহানকে নিয়ে এসেছেন তার বাবা জহিরুল ইসলাম। মহানগর মহিলা কলেজ কেন্দ্রের সামনে কথা হয় তাদের সঙ্গে।
জহিরুল ইসলাম বলেন, যানজটে যদি আটকে থাকতে হয় এই কারণে মেয়েকে আগেভাগে নিয়ে আসলাম। কারণ কোনো কারণে লেট হলে পরীক্ষা তো ঝুঁকিতে পড়বে। এখন কেন্দ্রের সামনে নিরিবিলি জায়গায় বসে পড়তেছে।
কবি নজরুল কলেজ কেন্দ্রের সামনে কথা হয় পরীক্ষার্থী সোহেল মিয়ার সঙ্গে। বই খুলে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে পড়ছিলেন এই শিক্ষার্থী। তিনি বললেন, সিলেবাস অনুযায়ী সব প্রস্তুতি নিয়েছি। কিন্তু পরীক্ষার হলে ঢোকার আগে গুরুত্বপূর্ণ পড়াগুলো একটু দেখে যাচ্ছি। যাতে প্রশ্ন আসলে সহজে লিখতে পারি।
তবে সারাদেশে করোনাভাইরাস ও ডেঙ্গু রোগের সংক্রমণ হারের ঊর্ধ্বগতি বিবেচনায় পরীক্ষাকেন্দ্রে কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার নির্দেশনা দিয়েছে সরকার।
স্বাস্থ্যবিধি রক্ষার পাশাপাশি প্রশ্নফাঁস রোধে এক ডজনের বেশি নতুন পদক্ষেপ, কেন্দ্রে নকল ঠেকাতে ব্যাপক রদবদল এবং ভেন্যু কেন্দ্র বাতিল করা হয়েছে। ফলে পরীক্ষা সুষ্ঠু ও নির্বিঘ্ন করতে পারবেন-এমনটা আশা করছেন শিক্ষা বোর্ড সংশ্লিষ্টরা।
বিইউ/এএস