বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক
২০ মে ২০২৫, ০৫:৪২ পিএম
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে জুতা চুরির অভিযোগে এক যুবককে আটক করে মারধর করা হয়েছে। এরপর তাকে পুলিশে সোপর্দ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
বুধবার (২০ মে) মসজিদের মুয়াজ্জিন মো. শফিকের নজরে এলে শিক্ষার্থীদের সহায়তায় ওই যুবককে আটক করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
আটক যুবক নিজের নাম বলেছেন মো. জাহাঙ্গীর। তবে তার মোবাইল ফোন তল্লাশি করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক আইডিতে নাম পাওয়া যায় ইউনূস মিয়া। বাড়ি কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার কদুরি গ্রামে।
আটককৃত যুবক স্বীকার করেছেন, তিনি জুতা চুরি করে সদরঘাট এলাকায় জুতা ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করে দেন।
প্রত্যক্ষদর্শী এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘আমরা জোহরের নামাজ আদায় করছিলাম। দ্বিতীয় রাকায়াতের সময় একজন সন্দেহভাজন ব্যক্তি মসজিদে প্রবেশ করেন। নামাজ শেষে অজুখানার পাশে গিয়ে একটি ব্যাগে আট জোড়া জুতা পাওয়া খুঁজে পাই। এরপর তাকে মুয়াজ্জিনের সহায়তায় ধরা হয়।’
মুয়াজ্জিন মো. শফিক বলেন, কয়েক মাস ধরে জুতা, সাইকেল চুরির ঘটনা বেড়ে গেছে। কোনোভাবেই নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছিল না। এরপরে বিশ্ববিদ্যালয়ের মসজিদের সামনে সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানো হয়। সেটির ফুটেজে এর আগেও তাকে (আটককৃত যুবক) দেখা যায়।’
তিনি বলেন, ‘আজ একটু আগে নামাজ পড়ে বাইরে দাঁড়িয়ে পাহারা দিচ্ছিলাম। তখনই তাকে দেখে মোবাইল ক্যামেরা চালু করে জানালার পাশে দাঁড়িয়ে ভিডিও করা শুরু করি। সে দ্বিতীয় রাকায়াত চলাকালীন সময়ে ৭ থেকে ৮ জোড়া জুতা একত্র করে একটি বস্তায় ভরে অজুখানার পাশে লুকিয়ে রাখে। নামাজ শেষে শিক্ষার্থীদের নিয়ে আমরা তাকে আটক করি।’
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে মসজিদে জুতা চুরির ঘটনা ঘটছে। কিন্তু এত দিন কেউ ধরা না পড়ায় শিক্ষার্থীদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছিল। আজ তাকে হাতেনাতে ধরা হয়েছে। এর আগেও ধরা পড়েছিল। বিচার না করায় দিন দিন এর পরিমাণ বেড়েই যাচ্ছে। দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না দিলে এমন ঘটনা আবার ঘটবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক তাজাম্মুল হক বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের জুতা চুরির অভিযোগ দীর্ঘদিনের। চোর ধরার জন্য আমরা সিসিটিভি ক্যামেরা লাগিয়েছিলাম। আজকে একজনকে ধরা হয়েছে।’
তিনি জানান, ‘প্রাথমিকভাবে তাকে (যুবককে) প্রক্টর অফিসে রাখা হয়েছিল। তার পরিবারের সঙ্গে এবং স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেছি। পরবর্তীতে আমরা তাকে কোতোয়ালি থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করি।’
এএইচ