images

শিক্ষা

রাবিপ্রবিতে মাদকবিরোধী সচেতনতামূলক বির্তক প্রতিযোগিতা

ঢাকা মেইল ডেস্ক

১৮ মার্চ ২০২৫, ১১:৪৭ এএম

images

‘মাদকের বিরুদ্ধে হই সচেতন, বাঁচাই প্রজন্ম বাঁচাই জীবন’- এই স্লোগানকে সামনে রেখে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, রাঙ্গামাটি কার্যালয় ও রাঙ্গামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ডিবেটিং সোসাইটির যৌথ আয়োজনে মাদকবিরোধী সচেতনতামূলক বির্তক প্রতিযোগিতা হয়েছে।

সোমবার (১৭ মার্চ) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবন-১ এর কনফারেন্স রুমে এ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো. আতিয়ার রহমান।

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয়ের অতিরিক্ত পরিচালক মো. জাহিদ হোসেন মোল্লার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন— মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের রাঙ্গামাটি জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক এম সাইফুল ইসলাম, পরিদর্শক মনিরুজ্জামান, চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয়ের রাসায়নিক পরীক্ষক মো. শফিকুল ইসলাম সরকার, রাঙ্গামাটি মেডিকেল কলেজ এর সহযোগী অধ্যাপক ডা. ফরিদ উদ্দিন আহমেদ ও সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. মাহফুজুল হক, রাঙ্গামটি সরকারি কলেজের প্রভাষক সঞ্জয় দে ও প্রভাষক এরফান শাহরিয়ার প্রমুখ।

এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল ডিন, চেয়ারম্যান, শিক্ষক, কর্মকর্তা ও শিক্ষার্থীগণ উপস্থিত ছিলেন। সকলের উপস্থিতি অনুষ্ঠানটিকে প্রাণবন্ত করে তোলে ও শিক্ষার্থীদের উজ্জীবিত ও উৎফুল্ল করে তোলে।

বিতর্ক প্রতিযোগিতার নির্ধারিত বিষয় ছিল ‘পারিবারিক ও সামাজিক সচেতনতা মাদক প্রতিরোধে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ’। রাঙ্গামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এ বিষয়ের পক্ষে এবং রাঙ্গামাটি মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরা বিপক্ষে যুক্তি উপস্থাপন করেন। শিক্ষার্থীরা এই বিষয়ে প্রাণবন্ত ও যুক্তিনির্ভর তথ্য উপস্থাপনা করেন।

2

ভাইস-চ্যান্সেলর বিতার্কিকদের চমৎকার উপস্থাপনার প্রশংসা করেন এবং বির্তক প্রতিযোগিতার আয়োজক ও পৃষ্ঠপোষকদের ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, বিতার্কিক হওয়ার জন্য পরিশীলিত মননকে ধারণ করার শক্তি ও মন থাকতে হবে।

মাদকবিরোধী সচেতনতা সৃষ্টিতে ছাত্রসমাজের দায়বদ্ধতা রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, যারা বিতার্কিক হন তাদের ছাত্রসমাজের প্রতিনিধিত্ব করার মানসিকতা থাকতে হবে। তারা তরুণ সমাজকে স্বপ্ন দেখাবে, আলো দেখাবে।

তিনি আরও বলেন, মাদক নির্মূলে পারিবারিক সচেতনতা ও আইন এর প্রয়োগ দুটোই দরকার আছে । আমরা মনে করি এ দুই জায়গায় সমন্বয় দরকার এবং কোনটি একক ভাবে কার্যকর হতে পারে না।

জাহিদ হোসেন মোল্লা বলেন, মাদক নিয়ন্ত্রণে আইনের যেমন ভূমিকা রয়েছে তেমনই ব্যক্তি, পরিবার ও সমাজেরও ভূমিকা রয়েছে। সকল সামাজিক শক্তি ও আইনের সঠিক প্রয়োগ ছাড়া এ সমস্যা সমাধান অসম্ভব প্রায়।

বির্তক প্রতিযোগিতায় রাঙ্গামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিতার্কিক দল বিজয়ী হয় এবং রাঙ্গামাটি মেডিকেল কলেজ বিজিত দল হিসেবে নির্ধারিত হয়। বির্তক প্রতিযোগিতায় উপস্থাপনা, ভাষার ব্যবহার ও উচ্চারণ, তত্ত্ব ও তথ্য পরিবেশনা এবং যুক্তির প্রয়োগ ও যুক্তিখন্ডন- এই সূচকগুলোর ভিত্তিতে ফলাফল নির্ধারণ করা হয়।

শ্রেষ্ঠ বক্তার পুরস্কার পান রাঙ্গামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় দলের দলনেতা মো. নুরুল আলম। রাঙ্গামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে বির্তক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেন মো. নুরুল আলম, মায়মূনা মুসাররাত তাসফিয়া এবং আমাতুল্লাহ ফারাবী ঈশা। রাঙ্গামাটি মেডিকেল কলেজ এর দলনেতা পুষ্পিতা দাশ, সাফায়েত হোসেন এবং শাকিন আহমেদ বির্তক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেন।

অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ডিবেটিং সোসাইটির সভাপতি মো. আয়নুল ইসলাম ও সহ-সভাপতি সঞ্চিতা চক্রবর্তী। বির্তক প্রতিযোগিতায় ভাইস-চ্যান্সেলর বিজয়ী দল এবং বিজিত দলের বিতার্কিকদের পুরস্কার প্রদান করেন।

/এএস