images

শিক্ষা

ঢাবির হলে হলে ডিমের উত্তাপ!

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক

১১ অক্টোবর ২০২৪, ০৯:০৬ এএম

লাগামহীন ডিমের বাজার। উচ্চমূল্যে ডিম ক্রয়-বিক্রয়ের কারণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ক্যান্টিন এবং এক্সটেনশনের দোকানগুলোতে খাবারের দাম ৫ থেকে ১০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। খুব বেশি দাম বৃদ্ধি মনে না হলেও সংকুচিত অর্থে সারা মাস চলা শিক্ষার্থীদের জন্য বিষয়টি উদ্বেগজনক।

ঢাবির হলে বসবাসরত অন্তত ১৫ হাজার শিক্ষার্থীর খাবারের জন্য ভরসা ক্যান্টিনগুলো। কেউ কেউ ১০ থেকে ২০ টাকা বাড়তি দাম দিয়ে হলের ভেতরের বা প্রচলিত অর্থে ‘এক্সটেনশনে’র খাবারের উপর নির্ভর করেন।

মুরগি, গরু, মাছ-মাংসের মত খাবারের স্বাদ-মান কম হওয়ায় এতে অনেকের অনীহা। তাই অনেক শিক্ষার্থী ডিমের উপর নির্ভর করে। এছাড়াও এসব ক্যান্টিন ও এক্সটেনশনগুলোতে সব খাবারে কমবেশি ডিমের ব্যবহার রয়েছে।

ভাত-ভর্তা ও ডিমের প্যাকেজ, ডিম-খিচুড়ি ও নুডুলস মূলত ঢাবি শিক্ষার্থীদের রোজকার খাবার। সকালের খাবার হিসেবে সব হলেই পাওয়া যায় ভাত-ভর্তা এবং ডিমের প্যাকেজ। খিচুড়িও পাওয়া যায় সবসময়। এক্সটেনশনগুলোতে সারাদিনই নুডলস বিক্রি হয়। এছাড়াও অনেকে বাড়তি পুষ্টির জন্য সিদ্ধ ডিম খেয়ে থাকেন, যা আগে ১৫ টাকায় বিক্রি হলেও বর্তমানে ১৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

সরেজমিনে ঢাবির হল পাড়ার ক্যান্টিন এবং এক্সটেনশনের দোকানগুলোতে ঘুরে দেখা গেছে, ভাত-ভর্তা ও ডিম প্যাকেজ আগে ৩০ টাকা থাকলেও বর্তমানে জিয়া এবং বিজয় ৭১ হলে তা ৩৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। খিচুড়ি কিছুদিন আগে ৪০ টাকায় বিক্রি হলেও এখন তা ৪৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এরপরও দাম বৃদ্ধির কথা ভাবছেন বিক্রেতারা।

নুডুলস সব দোকানে বিক্রি হয় ৪০ টাকা। ডিমের দাম বাড়ায় পোষাতে না পেরে দাম বাড়ানোর কথা ভাবছেন বিক্রেতারা। তবে নারীদের অনেক হলে এখনও খাবারের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।

বঙ্গবন্ধু হলের আবাসিক শিক্ষার্থী বোরহান উদ্দিন জানান, এমনিতেই হল ও মেসের শিক্ষার্থীদের খাবারের অবস্থা ও জীবনমান খুবই নিম্ন ও সাধারণ। হলে ডিম-খিচুড়ির দামও বৃদ্ধি পেয়েছে, যা একজন শিক্ষার্থীর পুরো মাসের ব্যয়কে প্রভাবিত করে। এরপর দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধিতে শিক্ষার্থীরা তাদের খরচ চালাতে হিমসিম খাচ্ছে। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণে সিন্ডিকেট ভেঙে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে অতিদ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে।

সুফিয়া কামাল হলের আবাসিক শিক্ষার্থী রুবাইয়া সুলতানা বলেন, দাম বেড়েছে, কিন্তু খাবারের মান বৃদ্ধির কোনো খবর নেই।

জসীমউদ্দীন হলের এক্সটেনশনের দোকান ব্যবসায়ী মোহাম্মদ কবির ঢাকা মেইলকে জানান, সাড়ে ১৫ টাকা করে ডিম কিনেছি। প্রতিদিনই দাম বাড়ছে। খিচুড়ির দাম তাই বাড়াতে বাধ্য হয়েছি। অন্যগুলো বাড়ানো দরকার। কিন্তু ছাত্রদের কথা ভেবে খুবই সীমিত লাভে খাবার সরবরাহ করছি। জানিনা আর কতদিন পারা সম্ভব হবে।

প্রতিনিধি/এমএইচটি