images

শিক্ষা

উচ্চ শিক্ষার মানোন্নয়নে ইউজিসির অবদান কতটুকু?

সেলিম আহমেদ

২৭ মে ২০২২, ০৯:০৫ এএম

দেশের উচ্চ শিক্ষার মানোন্নয়ন, গবেষণা কার্যক্রমের বিস্তার, বাস্তব অবস্থা পর্যালোচনা, নীতি নির্ধারণ এবং সকল সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি)। উচ্চশিক্ষার নীতিমালা এবং আন্তর্জাতিক মানে পৌঁছানোর লক্ষ্যে মান নিশ্চিতকরণ সংক্রান্ত নীতিমালা প্রণয়ন এবং সে অনুযায়ী সরকারকে পরামর্শ প্রদান করাও সংস্থাটির অন্যতম কাজ। তবে এই কাজগুলো ইউজিসি কতটুকু সুষ্ঠুভাবে করতে পারছে তা নিয়ে রয়েছে নানা প্রশ্ন।

শিক্ষাবিদরা মনে করেন, ইউজিসি ‘ঠুঁটো জগন্নাথ’। জনবল ও স্ট্যাটাসের কারণে ইউজিসি অনেক ক্ষেত্রেই শক্ত ভূমিকা রাখতে পারে না। তাই ইউজিসির দায়দায়িত্ব আরও স্পষ্ট করা উচিত। প্রতিষ্ঠানকে আরও মানসম্পন্ন করার পাশাপাশি ইউজিসিকে জাতীয় শিক্ষা কমিশনের রূপান্তরিত করা উচিত। 

খোদ ইউসিজির ২০২০ সালের প্রতিবেদনেও বলা হয়েছে, উচ্চশিক্ষার কমবর্ধমান চাহিদার ওপর গুরুত্বারোপ করে বর্তমান সরকার দেশের প্রতি জেলায় সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে একটি করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করে যাচ্ছে। এসকল বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্ধিত কলেবর ও উদ্ভূত নানাবিধ চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে বিশ্ববিদ্যালয়সমূহে উচ্চশিক্ষা ও গবেষণার অনুকূল পরিবেশ নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের দায়িত্ব ও কর্তব্য অতীতের যেকোনো সময়ের তুলনায় বহুলাংশে বৃদ্ধি পেয়েছে। এমতাবস্থায় বিদ্যমান অবকাঠামো ও আনুষঙ্গিক সুবিধাদি দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের সামগ্রিক কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে তদারকি করা কমিশনের পক্ষে দুরূহ হয়ে পড়েছে। উপরন্তু, বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের তদারকি প্রতিষ্ঠান হিসেবে কমিশনের আইনি ক্ষমতার সীমাবদ্ধতা প্রতিনিয়ত অনুভূত হচ্ছে। কাজেই আর্থিক বরাদ্দ ও অবকাঠামোগত সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধিসহ কমিশনকে আইনগতভাবে অধিকতর কার্যকর ও শক্তিশালী করা অতীব জরুরি।

ইউজিসির বিগত বছরগুলোর প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে দেখা যায়, প্রতি বছরই প্রতিবেদনে উচ্চশিক্ষার মান নিয়ে হতাশা প্রকাশ করা হয়। বিশেষ করে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কলেজ থেকে পাস করা স্নাতকদের শিক্ষার মান কাঙ্খিত নয় বলে উল্লেখ করা হয়। এ থেকে উত্তোরণের জন্য একইভাবে কারিকুলাম যুগোপযোগী ও বাস্তবসম্মত করা, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিভিত্তিক দক্ষ জনশক্তি সৃষ্টি, আধুনিক গবেষণাগার, শিক্ষার্থীদের ইংরেজি ভাষা, লিখিত ও মৌখিকভাবে চিন্তা উপস্থাপনে দক্ষতা অর্জনের পরামর্শ দেওয়া হয়। উচ্চশিক্ষার সার্বিক কার্যক্রম ইউজিসি’র তদারকিতে হওয়ার কথা থাকলেও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে কি পদ্ধতিতে পরীক্ষা গ্রহণ করা হয় সেটি সম্পর্কেই স্পষ্ট কিছু জানে না প্রতিষ্ঠানটি।

একই সঙ্গে সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বিরুদ্ধে প্রতি বছরই কর্তব্যে অবহেলার অভিযোগ করে নিয়ন্ত্রণ সংস্থাটি। অধিকাংশ সময় কর্মস্থলে (ক্লাস ও গবেষণা) অনুপস্থিত থাকা, দুপুরের পর শ্রেণিকক্ষ ও শিক্ষকদের অফিস কক্ষ তালাবদ্ধ থাকে বলে অভিযোগ করা হয়। এছাড়া নিজের কর্মস্থলের পরিবর্তে একাধিক বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে খণ্ডকালীন শিক্ষক হিসেবে সময় ব্যয় করার কথাও বলা হয়। এতে শিক্ষার্থী ও সাধারণের মধ্যে শিক্ষকদের সম্পর্কে নেতিবাচক ধারণা, উত্তরপত্র মূল্যায়ন ও ফল প্রকাশে বিলম্ব হয়। শিক্ষকদের দায়িত্ব পালন এবং সার্বিক আচরণের উপর সুনির্দিষ্ট নীতিমালা প্রণয়ন এবং যথাযথ বাস্তবায়নের জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করারও সুপারিশ করা হয়। 

উচ্চশিক্ষার অবিচ্ছেদ্য অংশ গবেষণা কার্যক্রম হলেও বিশ্ববিদ্যালয়গুলো এই ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ কোনো অবদানই রাখতে পারছে না। শিক্ষকদের পদোন্নতিতেও এই বিষয়টিকে প্রাধান্য না দিয়ে রাজনৈতিক বিবেচনা অগ্রাধিকার দেওয়া হয়। মেধা, দক্ষতা ও যোগ্যতাকে প্রাধান্য দিয়ে স্বচ্ছ এবং গ্রহণযোগ্য লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষার পাশাপাশি ক্লাস ডেমোনেস্ট্রেশন ব্যবস্থার মাধ্যমে শিক্ষক নিয়োগ করা। মেধাবীদের শিক্ষকতা পেশায় আকৃষ্ট করা এবং সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধির পাশাপাশি আকর্ষণীয় বেতন কাঠামো প্রবর্তন করার কথা বলা হয়। শিক্ষকদের দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য প্রশিক্ষণ ব্যবস্থা জরুরি। কিন্তু এর প্রতিকার করতে ইউজিসি কার্যকর কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ বা এ বিষয়ে তেমন কোনো উদ্যোগই নিতে পারেনি।

মাস্টার্স পর্যায়ে উচ্চশিক্ষার কাঙ্খিত মান নিশ্চিত করা সম্ভব হচ্ছে না বলেও মনে করছে ইউজিসি। সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় এবং বিশ্ববিদ্যালয় কলেজসমূহে স্নাতক পর্যায়ে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার জন্য পর্যাপ্ত অবকাঠামোগত সুযোগ-সুবিধা এবং যোগ্যতাসম্পন্ন শিক্ষক না থাকা সত্ত্বেও মাস্টার্স ডিগ্রি প্রোগ্রাম চালু করা হয়েছে। ফলে এসব প্রতিষ্ঠানে মাস্টার্স পর্যায়ে মানসম্মত শিক্ষাদান সম্ভব হচ্ছে না। এই পর্যায়ের ডিগ্রি কেবলমাত্র উপযুক্ত সুযোগ-সুবিধা সমন্বিত প্রতিষ্ঠানে মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্য সীমিত রাখতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে আহ্বান জানানো হয়। 

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়সমূহে ভর্তি ফি, টিউশন ফি, শিক্ষকদের বেতন-ভাতা ইত্যাদি বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ভেদে ভিন্নতা তথা অসামঞ্জস্যতা রয়েছে বলে উঠে এসছে বার্ষিক প্রতিবেদনে। এতে বলা হয়েছে, শিক্ষার্থীদের ট্রান্সক্রিপ্ট, সার্টিফিকেট, প্রশংসাপত্র ইত্যাদি সরবরাহ করার ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়সমূহ উচ্চহারে ফি নিয়ে থাকে। এমনকি কোনো যৌক্তিক কারণ ব্যতিরেকেই প্রতি বছর টিউশন ফি ও ভর্তি ফিসহ অন্যান্য ফি বৃদ্ধি করে থাকে বলে অভিযোগ রয়েছে। যেহেতু দেশের সকল অঞ্চলের আর্থ-সামাজিক অবস্থা সমান নয়, সেহেতু শিক্ষার্থীদের প্রদেয় বিভিন্ন প্রকার ফি ও চার্জ একটি যৌক্তিক পর্যায়ে নির্ধারণ করা প্রয়োজন। এ বিষয়ে সরকার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়সমূহকে নির্দেশনা দিতে পারে।

এ প্রসঙ্গে ইউজিসি চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত দায়িত্ব) প্রফেসর ড. দিল আফরোজা বেগম ঢাকা মেইলকে বলেন, আমরা আপ্রাণ চেষ্টা করছি। সব বিষয়েই শতভাগ ভূমিকা রাখছি।

ইউজিসির সাবেক চেয়ারম্যান প্রফেসর আবদুল মান্নান ঢাকা মেইলকে বলেন, আমাদের মঞ্জুরি কমিশন হচ্ছে সবচেয়ে দুর্বল কমিশন। আইন যতটুকু আছে কমিশনের ক্ষমতা ততটুকু। শিক্ষায় মান উন্নয়ন হয়নি তা বলা যাবে না। তবে যতটুকু হওয়ার কথা ছিল তার থেকে আমরা অনেক দূরে আছি। এর অনেকগুলো কারণের মধ্যে কয়েকটি হলো-আমরা মেধাবীদের শিক্ষকতায় আকৃষ্ট করতে পারিনি। সিলেবাসে আপডেট নেই। গবেষণায় বরাদ্দ নেই। 

তিনি বলেন, ১৯৭২ সালের ইউজিসি যখন গঠন করা হয়েছিল তখন সেখানে তার করণীয় ব্যাখা করা হয়েছে। ইউজিসি কিন্তু একটা আইনের বলে প্রতিষ্ঠিত। এটা কোনো মন্ত্রণালয়ের অধীনে নয়। তবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগসূত্র আছে। ইউজিসির প্রতিষ্ঠকালে ৬টি বিশ্ববিদ্যালয় ছিল। এরমধ্যে সাধারণ ৪টি বিশেষায়িত আর ২টি সাধারণ। ৪টি বিশেষায়িত বিশ্ববিদ্যালয়কে ১৯৭৩ সালের রাষ্ট্রপতির আদেশের বলে সার্বভৌমত্ব দেওয়া হয়েছিল। সেগুলো ইউজিসি একাডেমিক কার্যক্রমে হস্তক্ষেপ করতে পারবে না তবে পরামর্শ দিতে পারবে। এই ১৭৭৩ থেকে ২০২২। এখন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় অর্ধশতাধিক আর প্রাইভেট শতাধিক। কিন্তু ওই মঞ্জুরি কমিশনের আইনে কোনো সদস্যপদ ৩ থেকে ৫ ছাড়া কোনো পরিবর্তন করা হয়নি। আমি চেয়ারম্যান থাকাকালে প্রধানমন্ত্রীর খুব স্বদিচ্ছা ছিল আইনের পরিবর্তন করা। কিন্তু নানা কারণে তা হয়নি। 

ইতিহাসবিদ ও বাংলা একাডেমির সাবেক মহাপরিচালক সৈয়দ আনোয়ার হোসেন ঢাকা মেইলকে বলেন, ইউজিসির নানা ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখার মতো সক্ষমতা নেই। কারণ ইউজিসি ‘ঠুঁটো জগন্নাথ’। সরকার ইউজিসিকে কৌশলে ক্ষমতাহীন রেখে উচ্চ শিক্ষা কেন গোটা দেশের শিক্ষা ব্যবস্থার উপর ছড়ি ঘুরিয়ে রাজনীতি করে শেষ করে দিচ্ছে।

তিনি বলেন, উচ্চ শিক্ষার মান নির্ভর করে দুটি বিষয়ের উপরে। এর একটি হলো-উচ্চ শিক্ষায় যারা প্রশাসক হিসেবে আসেন তাদের যোগ্যতা, মেধা, পারমঙ্গতা ও গুণমানের উপর। অপরটি হলো-শিক্ষার মানোন্নয়নে শিক্ষকের গুরুত্ব অনেক বেশি। এই দুটিদিকে বাংলাদেশের পরিস্থিতি ধ্বংস হয়ে গেছে, যার ফলে বাংলাদেশে শিক্ষার কোনো মান আমরা পাচ্ছি না।  

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের সাবেক অধ্যাপক শিক্ষাবিদ সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম ঢাকা মেইলকে বলেন, ইউজিসির জনবল ও স্ট্যাটাসের কারণে সব ক্ষেত্রে শক্তভাবে তদারকি করতে পারে না। ইউজিসির নানা সীমাবদ্ধতা রয়েছে। তাই আমার মনে হয় ইউজিসির যে দায়দায়িত্ব আছে তা আরও স্পষ্ট করা উচিত। প্রতিষ্ঠানকে আরও মানসম্পন্ন করার পাশাপাশি ইউজিসিকে জাতীয় শিক্ষা কমিশনের রূপান্তরিত করা উচিত। 

তিনি বলেন, শিক্ষার মানোন্নয়ের কাজ ইউজিসির নয়। তারা শুধু, পরামর্শ দিবে। মানোন্নয়ন নিশ্চিত করবে বিশ্ববিদ্যালয়। আমাদের দেশে শিক্ষায় মানোন্নয়ন না হওয়ার পেছনের কারণ হলো বিশ্ববিদ্যালয়ে যে কয়কজন শিক্ষক থাকার কথা তা নেই। যারা ছুটি যান, তাদের বদলে কাউকে নেয়া হয় না, মানসম্মত শিক্ষকও নেই। আর সর্বোচ্চ পর্যায়ের স্বদিচ্ছা থাকলে মানোন্নয়ন নিশ্চিত হয়। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষানীতি, উচ্চ শিক্ষার কৌশলপত্র থাকলে হবে-সেগুলো দেখে মানোন্নয়নের কর্মসূচি শুরু হবে। দ্বিতীয়ত, গবেষণায় বাজেট থাকতে হবে। গবেষণায় ভালো বরাদ্ধ না থাকলে কিভাবে গবেষক তৈরি হবে।

প্রবীণ এই শিক্ষাবিদ আরও বলেন, অনেক প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় আছে যেগুলো কোনোভাবে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তুভূক্ত হতে পারে না। খুব নিম্নমানের শিক্ষা কর্মসূচি চলে সেখানে। অনেক প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে যেনতেনভাবে সার্টিফিকেট দিয়ে দেয়। এগুলোতে ইউজিসির পক্ষে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়। ইউজিসি নিয়ন্ত্রণ করতে গেলে রাজনৈতিকভাবে তারা নিয়ন্ত্রিত হয়ে যাবে। এখন বাংলাদেশে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় দেওয়া আর প্রাইভেট ব্যাংকের মালিক হওয়া একই সূত্রে গাতা। একজন রাজনৈতিক কোনো ব্যক্তি যদি প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান তাহলে সেই বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা কারো পক্ষে সম্ভব নয়। ইউজিসি নাকও গলাতে পারবে না। ইউজিসির তো হাতপা সেখানে বেঁধে দেওয়া হয়েছে সেইখানে। কী ভাবে সে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ন্ত্রণ করবে? আমার মনে হয় ইউজিসির যে দায়দায়িত্ব আছে তা আরও স্পষ্ট করা উচিত। প্রতিষ্ঠানকে আরও মানসম্পন্ন করা উচিত। ইউজিসির চেয়ারম্যানকে মন্ত্রীর সমমর্যাদা দেওয়া উচিত। চেয়ারম্যান যদি মন্ত্রীর সমমর্যাদার হন তাহলে কোনো বাঁধা আটকাতে পারবেওনা। ইউজিসিকে জাতীয় শিক্ষা কমিশন করা উচিত। শিক্ষায় বাজেট আরও বাড়ানো উচিত। এসব ক্ষেত্রে রাজনৈতিক স্বদিচ্ছার অভাব।

এসএএস/এএস