নিজস্ব প্রতিবেদক
০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:২০ পিএম
কোটা সংস্কার আন্দোলনে সহিংসতার পর অধ্যাপক আলমগীর দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করে দেন। সম্প্রতি, তিনি বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) থেকে পদত্যাগ করেছেন।
অধ্যাপক আলমগীর ইউজিসির সদস্য ছিলেন এবং চেয়ারম্যানের অনুপস্থিতিতে শীর্ষ পদে অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করছিলেন। তবে তিনি ‘অলিখিতভাবে’ ইউজিসির চেয়ারম্যান হিসেবে কাজ করছিলেন।
রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) সকালে তিনি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব ড. শেখ আব্দুর রশীদের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন। নিজেই জাগো নিউজকে তিনি এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
পদত্যাগপত্রে তিনি উল্লেখ করেছেন, ‘২০২৩ সালের ১৬ জুন থেকে আমি ইউজিসির পূর্ণকালীন সদস্য পদে দ্বিতীয় মেয়াদে কাজ করছি। ব্যক্তিগত কারণে এই পদে দায়িত্ব পালন আমার পক্ষে সম্ভব হচ্ছে না। তাই আমি ৮ সেপ্টেম্বর পদত্যাগ করছি।’
এছাড়া, তিনি খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে অধ্যাপক (গ্রেড-১) পদে আগামী ৯ সেপ্টেম্বর পুনরায় যোগদান করতে চান। এজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন।
গত ১৬ জুলাই রাতে হঠাৎ করে দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়, যা নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা সৃষ্টি হয়। ইউজিসি তদারককারী সংস্থা হওয়া সত্ত্বেও এমন ঘোষণা দেওয়ার বিষয়টি ঠিক নয় বলে মনে হয়। ইউজিসির কর্মকর্তারাও এই বিষয়টি স্বীকার করেছেন।
অধ্যাপক আলমগীর সাবেক শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরীকে দোষারোপ করেছেন। তিনি বলেন, ‘শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কোনো লিখিত নির্দেশনা আমাদের কাছে ছিল না। মন্ত্রী ফোন করে বললেন, বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ করে দিতে হবে। আমরা বাধ্য হয়ে তা মেনে নিয়েছি। যদিও আইন লঙ্ঘন হয়েছে, তবে আমাদের কিছু করার ছিল না।’
এইউ