images

শিক্ষা

‘মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান হয়েও আমি কোটা চাই না’

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক

০৩ জুলাই ২০২৪, ০৭:২৫ পিএম

কোটা পুনর্বহালের প্রতিবাদে আয়োজিত পদযাত্রা ও বিক্ষোভ মিছিলে যোগ দিয়ে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হয়েও এই কোটা চান না বলে জানিয়েছেন এক বীর মুক্তিযোদ্ধার দৌহিত্র।

বুধবার (৩ জুলাই) বিকেলে রাজধানীর শাহবাগে কোটাবিরোধী সমাবেশে ফারাবী আলম শ্রাবণ নামের এক শিক্ষার্থী এই কথা বলেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যলয়ের গণিত বিভাগের ২০-২১ সেশনের শিক্ষার্থী।

শ্রাবণ বলেন, ‘আমি মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান। আমার কোটার প্রয়োজন নেই। আমাদের কারোরই কোটার দরকার নেই। ৩০% শতাংশ কোটা দেওয়াটা অন্যায্য, জনগণের ওপর সরাসরি জুলুম৷ আমি নিজে মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান হয়ে আমার ব্যক্তিগত জায়গা থেকে মুক্তিযোদ্ধাদের পরিবারকে আহ্বান করছি- আপনারা দেশের মানুষের পাশে দাঁড়ান। আপনাদের দেশের মানুষ চায়। নিজের বিবেককে প্রশ্ন করুন। বিজয় আমাদের আসবেই।’

আরও পড়ুন

ফের কোটা আন্দোলনকারীদের শাহবাগ অবরোধ

বুধবার (৩ জুলাই) দুপুর আড়াইটায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে থেকে ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’ ব্যানারে মিছিল শুরু হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন দিক প্রদক্ষিণ করে ভিসি চত্বর-টিএসসি ও দোয়েল চত্বর হয়ে হাইকোর্টের সামনে দিয়ে বিকেল তিনটা ৫০ মিনিটে শাহবাগ মোড়ে এসে অবস্থান নেন আন্দোলনকারীরা। এসময় বিভিন্ন স্লোগান দিতে দেখা যায় তাদের।

BB

কয়েক হাজার শিক্ষার্থী এই আন্দোলনে যোগ দিয়েছেন। তারা 'কোটা না মেধা?' 'মেধা মেধা, হাইকোর্টের রায় মানি না মানবো না', 'কোটা বাতিল করো, বাতিল করো', 'ছাত্রসমাজ গড়বে দেশ, মেধাভিত্তিক বাংলাদেশ' 'মুক্তিযুদ্ধের বাংলায় বৈষম্যের ঠাঁই নাই' এমন স্লোগান দেন।

আরও পড়ুন

কোটাবিরোধী আন্দোলন: তাঁতিবাজারে সড়ক অবরোধ জবি শিক্ষার্থীদের

দেশজুড়ে শিক্ষার্থীদের তুমুল আন্দোলনের মুখে ২০১৮ সালের ৪ অক্টোবর সরকারি চাকরিতে নারী কোটা ১০ শতাংশ, মুক্তিযোদ্ধা কোটা ৩০ শতাংশ এবং জেলা কোটা ১০ শতাংশ বাতিল করে পরিপত্র জারি করে সরকার। সেখানে বলা হয়েছিল, ৯ম থেকে ১৩তম গ্রেডের পদে সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ দিতে হবে। ওইসব গ্রেডের পদে সরাসরি নিয়োগে বিদ্যমান কোটা বাতিল করা হয়।

তবে গত ৫ জুন ২০১৮ সালের জারিকৃত পরিপত্রটি এক আদেশে বাতিল করেন হাইকোর্ট। এরপর আবারো ক্যাম্পাসগুলোতে আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে।

জেবি