বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক
০৬ মে ২০২৪, ০৩:৪৮ পিএম
ন্যায্যতা-ন্যায়-মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে স্বাধীন রাষ্ট্র ফিলিস্তিনের স্বীকৃতি এবং নিরীহ ফিলিস্তিনের ওপর পরিচালিত মানবতাবিরোধী অপরাধের বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী শিক্ষার্থী সমাজ, শিক্ষক ও সচেতন নাগরিকদের আন্দোলনের সূচনা, গাজায় গণহত্যার বিরুদ্ধে সংহতি জানিয়ে ফিলিস্তিনের পতাকা হাতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ।
সোমবার (৬ মে) বেলা ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি শুরু হয়। এসময় মিছিলের নেতৃত্ব দেন জবি ছাত্রলীগের সভাপতি ইব্রাহিম ফরাজী ও সাধারণ সম্পাদক এস এম আকতার হোসাইন।
গাজায় যুদ্ধকে গণহত্যা উল্লেখ করে ‘স্বৈরাচার নিপাত যাক, ফিলিস্তিন মুক্তি পাক’; ‘গণহত্যা বন্ধ করো, ফিলিস্তিন স্বাধীন করো’; ‘ছাত্রলীগের অ্যাকশন, ডাইরেক্ট অ্যাকশন’ স্লোগানে মুখরিত হয়ে উঠে বিক্ষোভ মিছিলটি।
মিছিলটি শহীদ মিনার প্রাঙ্গণ থেকে শুরু হয়ে কাঁঠালতলা, বিজ্ঞান অনুষদ, শাঁখারি বাজার, রায়সাহেব বাজার মোড় ঘুরে বাহাদুর শাহ পার্কের পাশ দিয়ে এসে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে এসে মিলিত হয়।
মিছিল শেষে প্রশাসনিক ভবনের চত্বরে বক্তব্য দেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক।
জবি ছাত্রলীগের সভাপতি ইব্রাহিম ফরাজী বলেন, ‘ধর্ম হচ্ছে আবেগের জায়গা, যে এখানে হাত দেবে তাকে ছাড় দেওয়া হবে না। গাজা যুদ্ধে ইন্ধনদাতা সন্ত্রাসী আমেরিকার বিরুদ্ধে দাঁড়ানোর সময় এসে গেছে।’
এসময় তিনি বলেন, ‘যার যার ধর্ম সে সে পালন করবে, কেউ ধর্ম নিয়ে খেলা করলে তাকে পুঁতে দেওয়া হবে।’
সাধারণ সম্পাদক এস এম আকতার হোসাইন বলেন, ‘যারা ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করবে তাদের বিরুদ্ধে অবস্থান করবে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ।’ ১৯৭১ সালের পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বর্বতার সাথে নিরীহ ফিলিস্তিনিদের ওপর সন্ত্রাসী ইসরায়েলের তুলনা করে গাজায় ইসরায়েলের চালানো নৃশংসতা তুলে ধরেন তিনি।
এসময় তিনি গাজায় চালানো ভয়াবহ গণহত্যার জন্য ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর অবিলম্বে দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানান।
প্রতিনিধি/জেবি