images

শিক্ষা

পাঁচ শতাধিক শিক্ষক-কর্মকর্তা নিয়ে ঢাবি উপাচার্যের মেট্রোরেল ভ্রমণ

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক

২৫ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৩:০১ পিএম

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) পাঁচ শতাধিক শিক্ষক-কর্মকর্তা নিয়ে মেট্রোরেলের ঢাবি স্টেশন থেকে উত্তরা উত্তর (দিয়াবাড়ি) স্টেশন পর্যন্ত  ভ্রমণ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল। 

সোমবার (২৫ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় উপাচার্যের নেতৃত্বে এ ভ্রমন করেন শিক্ষক-কর্মকর্তারা। পরে সকাল ১০টায় ভ্রমণ অভিজ্ঞতা নিয়ে দিয়াবাড়িতে একটি সংক্ষিপ্ত অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। 

সমাবেশে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল বলেন, প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার গতিশীল ও দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ যোগাযোগ, অবকাঠামোসহ সর্বক্ষেত্রে অনন্য উচ্চতায় পৌঁছেছে। শেখ হাসিনার সরকার হচ্ছে উন্নয়নের সরকার। বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন আজ সারাবিশ্বের কাছে বিস্ময় ও রোল মডেল। 

উপাচার্য আরও বলেন, মেট্রোরেল রাজধানীবাসীর দ্রুত ও আরামদায়ক যোগাযোগের ক্ষেত্রে এক মাইলফলক। কর্মজীবী মানুষের যাতায়াত সহজ হওয়ায় শ্রম ও সময় সাশ্রয় হচ্ছে। ফলে কর্মক্ষেত্রে তারা সর্বাধিক সেবা প্রদান করতে পারছেন। এছাড়া, মেট্রোরেলে যাতায়াতের ফলে ব্যক্তিগত গাড়ি ব্যবহারের প্রবণতা কমছে এবং এতে করে জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহারও কমার ফলে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা হচ্ছে।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে ডিজিটাল থেকে স্মার্ট বাংলাদেশে পরিণত করার জন্য নানাবিধ যুগান্তকারী পদক্ষেপ গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করে চলেছেন। দেশে পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল, কর্ণফুলী টানেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েসহ বড় বড় মেগা প্রকল্প ইতোমধ্যে বাস্তবায়িত হয়েছে। যা বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি বহুলাংশে বাড়িয়ে উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে সহায়ক ভূমিকা রাখবে। উন্নয়নের এই অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তিকে আবারও ক্ষমতায় আনতে হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মেট্রোরেলে ভাড়া কমানোর জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে উপাচার্য আরও বলেন, আমাদের শিক্ষার্থীরা সচরাচর মেট্রোরেলে ভ্রমণ করতে পারলে মেট্রোরেল ব্যবহারের সুযোগ-সুবিধা, সরকারের উন্নয়ন এবং উন্নত বিশ্বের সুযোগ-সুবিধা সম্পর্কে ধারণা পাবে। ফলে তাদের মনস্তাত্বিক পরিবর্তন ঘটবে এবং বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা নিয়ে গর্ববোধ করবে। এতে করে শিক্ষার্থীদের মধ্যে দেশ ও জাতির কল্যাণে কাজ করার প্রত্যয় আরও দৃঢ়তর হবে বলে উপাচার্য আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

মেট্রোরেলে নিজের অভিজ্ঞতা বলতে গিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্জেন্ট জহুরুল হক হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. আবদুর রহিম বলেন, আজকের জার্নিটা একসঙ্গে গর্ব আর অহঙ্কারের ছিল। সমস্ত প্রতিকূলতা অতিক্রম করে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে এটা গর্বের, জাতির পিতার কন্যা আধুনিক বাংলাদেশ বিনির্মাণে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। মেট্রোরেল বাংলাদেশের সক্ষমতার পরিচায়ক এবং মর্যাদার প্রতীক। পৃথিবীর অনেক দেশে মেট্রোরেল রেল নেই, নিজস্ব স্যাটেলাইট নেই, পরমাণু শক্তি ব্যবহার করে বিদ্যুৎ উৎপাদনের সক্ষমতা নেই, এসব আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর উন্নয়ন আমাদের হয়েছে এবং হচ্ছে। সে কারণে জাতি হিসেবে আমাদের মনোবল বেড়ে গেছে। নিকট ভবিষ্যতে আমরা উন্নত দেশের কাতারে অন্তর্ভুক্ত হব, সেটি আর স্বপ্ন নয় বাস্তবতা।  

আরও পড়ুন

মেট্রোরেলে শিক্ষার্থীদের ভাড়া কমাতে ঢাবি উপাচার্যের আহ্বান

তিনি বলেন, আমি আশা করব আমাদের শিক্ষার্থীদের একটা বড় অংশ সরাসরি মেট্রোরেলের সুবিধাভোগী হবে। তাদের সময় বাঁচবে, পড়ালেখায় আরও বেশি মনোযোগী হতে পারবে। শিক্ষার্থীদের জন্য কন্সেশনাল রেট টিকেটের দাবি জানাচ্ছি। আশা করি আমাদের মানবিক প্রধানমন্ত্রী বিষয়টি বিবেচনা করবেন।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ, ফার্মেসি অনুষদের ডিন ও ঢাবি নীল দলের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. সীতেশ চন্দ্র বাছার। অনুষ্ঠান সঞ্চালন করেন শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. আবদুর রহিম।

এমএইচএম