images

শিক্ষা

খন্দকার মোশতাকের প্রতি ঢাবি শিক্ষক সমিতির সভাপতির শ্রদ্ধা

নিজস্ব প্রতিবেদক

১৮ এপ্রিল ২০২২, ০৯:৫৩ এএম

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের খুনি খন্দকার মোশতাক আহমেদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. রহমত উল্লাহ।

রোববার (১৭ এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রে (টিএসসি) মুজিবনগর দিবসের আলোচনা সভায় তিনি ভুল বশত এ শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেন তিনি। তবে খন্দকার মোশতাকের নাম নিলেও তাকে শ্রদ্ধা জানানোর বিষয়টি অস্বীকার করেছেন ঢাবির এই অধ্যাপক।

এ বিষয়ে অধ্যাপক রহমত উল্লাহ বলেন, মুজিবনগর সরকারে কে কোন মন্ত্রণালয় বা বিভাগে ছিলেন, তা নিয়ে আমি আলোচনা করেছি। বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতা ঘোষণা, ১০ এপ্রিলে স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রসহ সার্বিক বিষয়ে আমি আলোচনা করি। মুজিবনগর সরকার সম্পর্কে বলতে গিয়ে যদি ‘স্লিপ অব টাং’ কিছু বলে থাকি, তাহলে আমি দুঃখিত। 

তিনি আরও বলেন, ইতিহাস তো আমি তৈরি করিনি। মোশতাক বাংলাদেশের ইতিহাসে একজন ঘৃণিত ব্যক্তি। এই জাতির ভাগ্যের জন্য কলঙ্ক। তার প্রতি সম্মান জানানোর প্রশ্নই আসে না। ওই বক্তব্যে খন্দকার মোশতাকের প্রতি বরং আমি ঘৃণা জানাইছি। যারা বলছে আমি শ্রদ্ধা জানায়ছি, তারা কেন এমনটি বলছে আমি জানি না। তবে আমি সজ্ঞানে বলতেছি আমি তার প্রতি শ্রদ্ধা জানায়নি। তারপরও আমি দুঃখ প্রকাশ করছি।

অধ্যাপক রহমত উল্লাহর বক্তব্যের বিষয়ে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক মুহাম্মদ সামাদ বলেন, মুজিবনগর দিবসের আলোচনা সভায় মুজিবনগর সরকারের সব মন্ত্রীকে তাদের অবদানের জন্য শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে অধ্যাপক রহমত উল্লাহ খন্দকার মোশতাকের নাম উল্লেখ করেও শ্রদ্ধা জানান। এরপর আমি আমার বক্তব্যে বলেছি, মুক্তিযুদ্ধের পুরোটা সময় মোশতাক মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ছিল এবং তাকে চোখে-চোখে রাখতে হয়েছে। তিনি পাকিস্তানের সঙ্গে কনফেডারেশন করার প্রস্তাবেও যুক্ত ছিলেন। কাজেই শিক্ষক সমিতির সভাপতি যে বক্তব্য রেখেছেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তা গ্রহণ করতে পারবে না। তার এই বক্তব্য এক্সপাঞ্জ করার জন্য উপাচার্যকে অনুরোধ জানাই। পরে উপাচার্য তার বক্তব্য প্রদা‌নের সময় এই বক্তব্য এক্সপাঞ্জ করেন।

এ বিষয়ে উপাচার্য আখতারুজ্জামান বলেন, অধ্যাপক রহমত উল্লাহর বক্তব্যে খন্দকার মোশতাক আহমদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর অংশটুকু প্রত্যাহার করা হয়েছে। (মোশতাকের নাম) এককভাবে নয়, আরও কয়েকটা নামের সঙ্গে বোধ হয় তিনি উচ্চারণ করেছিলেন। সভায় একজন আলোচক নিজের বক্তব্যে বিষয়টি নজরে আনেন। পরে অধ্যাপক রহমত উল্লাহর বক্তব্যের ওই অংশটুকু প্রত্যাহার করা হয়।

তার এই বক্তব্যের প্রতিকার প্রত্যাহার এবং আনুষ্ঠানিক ক্ষমা প্রার্থনার দাবিতে আজ (১৮ এপ্রিল) সকাল ১১টায় বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কাছে একটি স্মারকলিপি প্রদান করবে।

/এএস