নিজস্ব প্রতিবেদক
০২ জুন ২০২৩, ০৭:৪৪ পিএম
চলমান সংকটময় পরিস্থিতি বিবেচনায় আগামী পাঁচ বছর পর্যন্ত উৎসে কর দশমিক ৫ শতাংশ করার দাবি জানিয়েছেন বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রফতানিকারক সমিতির সভাপতি ফারুক হাসান।
বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটে পোশাক খাতে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সহায়তা খুবই জরুরি। পোশাক শিল্পের উন্নয়নের মাধ্যমে অর্থনীতিকে বেগবান করে দেশের উন্নয়ন করা সম্ভব। চলমান সংকটময় পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে উৎসে কর ২০২১-২২ অর্থবছরের মতো দশমিক ৫ শতাংশ ধার্য করার দাবি জানাচ্ছি। এটি আগামী ৫ বছর পর্যন্ত কার্যকর করার জন্য পুনরায় সরকারের সদয় দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
শুক্রবার (২ জুন) রাজধানীর তেজগাঁওয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বাজেট পরবর্তী প্রতিক্রিয়ায় এসব কথা বলেন তিনি।
বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, নগদ সহায়তার ওপর আরোপ করা ১০ শতাংশ কর প্রত্যাহারের অনুরোধ জানিয়েছিলাম। যেহেতু নগদ সহায়তা কোনো ব্যবসায়িক আয় নয়, তাই নগদ সহায়তার অর্থকে করের আওতার বাইরে রাখাই যুক্তিসঙ্গত। আমরা মনে করি, এ সংকটময় সময়ে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ সহায়তা হবে।
প্রস্তাবিত বাজেটে রফতানিমুখী শিল্পের জন্য ইতিবাচক দিক রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমদানি ও রফতানিতে ব্যবহৃত কনটেইনারের আমদানি করভার কমিয়ে ১৫ শতাংশ করার প্রস্তাব করা হয়েছে। কৃত্রিম আঁশের তৈরি কাটা ফেব্রিক্স ও নষ্ট টুকরা (এক মিটারের বেশি দীর্ঘ নয়); বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশনের কাছে নমুনা হিসেবে বিনামূল্যে সরবরাহ করা ফেব্রিক্স (তিন বর্গমিটারের নিচের আকৃতির) এবং ট্যাপস অ্যান্ড ব্রাইডসের উৎপাদনপর্যায়ে মূসক অব্যাহতির প্রস্তাব করা হয়েছে। স্থানীয় টেক্সটাইল শিল্পকে সহায়তার লক্ষ্যে প্রযুক্তির উন্নয়নের কারণে নতুন এইচ এস কোড সংশ্লিষ্ট কতিপয় যন্ত্রাংশ সংযোজন এবং কিছু পণ্যের বর্ণনা সংশোধন করা হয়েছে।
পোশাক প্রস্তুতকারক ও রফতানিকারক সমিতির এই নেতা জানান, প্রস্তাবিত বাজেটে রফতানিমুখী শিল্প খাতের বিকাশের জন্য রফতানি প্রণোদনা, কর অব্যাহতি, বন্ডেড ওয়্যারহাউজ সুবিধা দেওয়ার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। বিভিন্ন রফতানিমুখী তথ্যপ্রযুক্তি নির্ভর ও পরিবেশবান্ধব শিল্পস্থাপনকে উৎসাহিত করার কথা বলা হয়েছে। নবায়নযাগ্য জ্বালানির ওপরও গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। এছাড়াও বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণের জন্য স্থানীয়ভাবে বিদেশি বাণিজ্যিক অফিস স্থাপন, বিদেশি কর্মীদের ভিসা সুপারিশ ও কর্মের অনুমতি দেওয়ার কর্মপদ্ধতি ২০২৩ অনুমোদন করা হয়েছে।
টিএই/আইএইচ