জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
০২ জুন ২০২৩, ০৬:৪০ পিএম
১০ শতাংশ হারে কর দেওয়ার শর্তে ২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেটে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দিয়েছিল সরকার। এই সুযোগ থাকা সত্ত্বেও গত এক বছরে একজনও কালো টাকা সাদা করেননি। এ কারণে আসন্ন ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ রাখা হয়নি বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
শুক্রবার (২ জুন) বিকেলে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটোত্তর সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
অর্থমন্ত্রী বলেন, আমি গত বছরের বাজেট বক্তৃতায় বলেছিলাম, কেউ যদি অপ্রত্যাশিত টাকা দেশে নিয়ে আসে, তাহলে সেই টাকার কোনো কর দিতে হবে না। গত বাজেটে এই সুযোগটি দেওয়ার পরও এখন পর্যন্ত কোনো অপ্রত্যাশিত টাকা বাংলাদেশে আসেনি। সুযোগ দেওয়া সত্ত্বেও গত এক বছরে একজনও কালো টাকা সাদা করেননি। তাই এবার বাজেটে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ রাখা হয়নি।
পুরো বাজেটই গরিব মানুষের জন্য উপহার উল্লেখ করে তিনি বলেন, এ দেশে অনেক মধ্যআয়ের মানুষ আছে, সময় এসেছে তাদের ট্যাক্স পেমেন্ট করতে হবে। যারা আয় করেন ট্যাক্স দেওয়ার সক্ষমতা আছে, তাদের ট্যাক্স দিতে হবে।
আড়াই কোটি বেকারের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে
গত বাজেটে যেসব কমিটমেন্ট বা অঙ্গীকার করেছিলেন তার সবগুলো পূরণ করেছেন দাবি করে অর্থমন্ত্রী বলেন, ২ কোটি ৪৫ লাখ চাকরির ব্যবস্থা করেছি। ধীরে ধীরে কর্মসংস্থান বাড়ছে। কর্মসংস্থানের জন্য নানা ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছি। দেশের জনসংখ্যা বাড়ছে, চাকরিপ্রার্থীও বেড়েছে। তবে এখন কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য নানা পদক্ষেপ নিয়েছি।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেট বাস্তবায়ন সম্ভব। আমরা যখন দেশ পরিচালনা শুরু করি, তখন ৫৯ হাজার ৪০০ কোটি টাকা রাজস্ব আয় করতাম, সেটি দুই লাখ ৯৫ হাজার কোটি টাকায় উন্নীত করতে পেরেছি। সুতরাং এবারও আমরা বাজেট বাস্তবায়ন করতে পারব।
এর আগে বাজেটোত্তর সংবাদ সম্মেলনের শুরুতে অর্থমন্ত্রী বলেন, আমরা ফেল করিনি, আগামীতেও ফেল করব না। এদেশের মানুষ আমাদের সবকিছু, ইনশাআল্লাহ আমরা বিজয়ী হবোই হবো।
রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন নিয়ে অনেকে সন্দেহ প্রকাশ করেন। তবে অর্থমন্ত্রী দৃঢ়তার সঙ্গে জানান, এবারের বাজেটে রাজস্ব আদায়ের যে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে তা অর্জিত হবে।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে কৃষিমন্ত্রী ড.আব্দুর রাজ্জাক, পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান, স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় (এলজিআরডি) মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম, শিক্ষামন্ত্রী ড. দীপু মনি, বাজিণ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অর্থনীতিবিষয়ক উপদেষ্টা ড. মশিউর রহমান, পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার, অর্থ সচিব ফাতেমা ইয়াসমিনসহ উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এমআইকে/আইএইচ