বাড়ছে সিগারেটের দাম, আগের দামেই থাকছে বিড়ি

বাড়তি ছয় হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্য নিয়ে দেশের ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরের বাজেটে সবধরনের সিগারেটের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। তবে এবারের বাজেটে বিড়ির দাম বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়নি।

বৃহস্পতিবার (১ জুন) বিকেলে জাতীয় সংসদে প্রস্তাবিত বাজেট পেশ করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মোস্তফা কামাল।

প্রস্তাবিত বাজেটে সবধরনের সিগারেটের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। তবে নিম্ন স্তরের সিগারেটের দাম সবচেয়ে বেশি বাড়ানো হয়েছে।

বাজেট প্রস্তাবে সিগারেটে কর বাড়িয়ে বাড়তি ছয় হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে।

সিগারেটের স্তর মোট চারটি। এরমধ্যে নিম্ন স্তরে দাম ৪০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৪৫ টাকা করার প্রস্তাব করা হয়েছে। মধ্যম স্তরের দাম ৬৫ থেকে বাড়িয়ে ৬৭ টাকা, উচ্চ স্তরের দাম ১১১ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১১৩ করার প্রস্তাব করা হয়েছে। এছাড়া অতি উচ্চ স্তরের সিগারেটের দাম ১৪২ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১৫০ টাকা করার প্রস্তাব করা হয়েছে।

শুধু নিম্ন স্তরে সম্পূরক শুল্ক ১ শতাংশ বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। এতে নিম্ন স্তরের সিগারেটের দাম বেশি বাড়তে পারে।

এদিকে ২০২০–২১ অর্থবছরে বিড়ির দাম ২৫ শতাংশ বাড়ানো হয়েছিল। তাই এবারের বাজেটে বিড়ির দাম বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়নি।

তামাকজাতীয় পণ্যের মধ্যে তরল নিকোটিন, ট্রান্সডার্মাল ইউজ নিকোটিন ইত্যাদি পণ্যের ক্ষেত্রে ১৫০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপের প্রস্তাব করা হয়েছে। ফলে ইলেকট্রনিক সিগারেট ও সমজাতীয় ইলেকট্রিক ভ্যাপোরাইজার ডিভাইসের (ভ্যাপ) দাম বাড়তে পারে।

কারই/জেবি