images

অর্থনীতি

১৫ হাজার কোটি টাকার নতুন নোট, নেই ১০০ টাকার নোট

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

১০ এপ্রিল ২০২৩, ০৬:৫৪ পিএম

ঈদ উৎসব বাড়িয়ে দেয় নতুন টাকার কড়কড়ে নোট। এবারও ইতোমধ্যেই ব্যাংকে নতুন টাকা বিনিময় শুরু হয়েছে। তবে সর্বোচ্চ ৫০ টাকার নোট পর্যন্ত পাওয়া যাচ্ছে। অনেকের আগ্রহ ১০০ টাকার নোটে থাকলেও এবার ব্যাংকে ১০০ টাকার নতুন নোট দেওয়া হয়নি বলে বিভিন্ন শাখা থেকে জানা গেছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, ঈদ উপলক্ষ্যে বাজারে ছাড়া হচ্ছে ১৫ হাজার কোটি টাকার নতুন নোট।

ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে (৯ এপ্রিল) থেকে ঢাকা, গাজিপুর ও নারায়ণগঞ্জ অঞ্চলের ৩২ ব্যাংকের ৪০ শাখার মাধ্যমে নতুন এসব নোট বিনিময় শুরু করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। শাখাগুলো থেকে একজন গ্রাহক সর্বোচ্চ সাড়ে আট হাজার টাকা সংগ্রহ করতে পারছেন। 

বাংলাদেশ ব্যাংকের সহকারী মুখপাত্র ফরেন এক্সচেঞ্জ পলিসি বিভাগের পরিচালক মো. সারওয়ার হোসেন জানিয়েছেন, এবছর মোট ১৫ হাজার কোটি টাকার নতুন নোট বাজারে ছাড়ছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এ সমপরিমাণ টাকার মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংক নতুন টাকা দিচ্ছে ব্যাংকগুলোকে। একই ব্যক্তি একাধিকবার নতুন নোট গ্রহণ করতে পারবেন না। একজন সর্বোচ্চ সাড়ে ৮ হাজার টাকার নতুন নোট নিতে পারবেন।

সরেজমিনে রাজধানীর প্রেস ক্লাবের অগ্রণী ব্যংকের শাখায় দেখা যায় সকাল সাড়ে ন'টায় ব্যাংক শুরুর সঙ্গে সঙ্গে লম্বা লাইন নতুন টাকা পেতে। লাইনে থাকা আব্দুল হালিম সচিবালয়ে চাকরি করেন। তিনি বলেন, এখানে এসে জানতে পারলাম একজন সর্বোচ্চ সাড়ে আট হাজার টাকা পাবে। কোনো বান্ডেল একটির বেশি পাবে না। আবার নাকি ১০০ টাকাও নেই। আমার একশ টাকার নোট থাকলে একটাই নিতাম। 

এই ব্যাংকের প্রিন্সিপাল অফিসার বলেন, এবার ১০০ টাকা বাংলাদেশ ব্যাংক থেকেই আসেনি। এখানে বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিনিধির উপস্থিতিতে প্রত্যেক দিন নতুন টাকা বিনিময় করা হয়। পাশে আব্দুল গণি রোডে জনতা ব্যাংকে সকাল ১১ টায় গিয়ে দেখা যায় লম্বা লাইন নতুন টাকা নিতে। টাকা বিনিময় করা কর্মকর্তার কাউন্টারে গেলে আগেই জানিয়ে দিচ্ছেন সর্বোচ্চ ৫০ টাকা পর্যন্ত পাওয়া যাবে। সোনালি ব্যাংক রমনা শাখা অবস্থিত পল্টন মোড়ে। সেখানেও নতুন টাকা নেওয়ার একই দৃশ্য দেখা যায়। তবে এবার ১০০ টাকার নতুন নোট না পাওয়াতে অনেকের মধ্যেই আফসোস দেখা যায়।

গ্রাহকদের সাড়ে আট হাজার টাকার মধ্যে ৫ টাকার এক বান্ডেল, ১০ টাকার এক বান্ডেল, ২০ টাকার এক বান্ডেল এবং ৫০ টাকার এক বান্ডেলসহ মোট সাড়ে আট হাজার টাকা বিনিময় করতে পারছেন। তবে বেশির ভাগ মানুষের ১০ ও বিশ টাকার বান্ডেলের প্রতি আকর্ষণ বেশি। 

আগামী ১৭ এপ্রিল পর্যন্ত (সাপ্তাহিক ও সরকারি ছুটির দিন ব্যতীত) ৩২ ব্যাংকের ৪০ শাখার মাধ্যমে নতুন টাকা পাওয়া যাবে। বাংলাদেশ ব্যাংকের বিভিন্ন অফিসের মাধ্যমে চার ধরনের নতুন নোট (৫, ১০, ২০ ও ৫০ টাকা মূল্যমানের নোট) বিশেষ ব্যবস্থায় বিনিময় করা হবে। একই ব্যক্তি একাধিকবার নতুন নোট গ্রহণ করতে পারবেন না। তবে নোট উত্তোলনকালে কেউ ইচ্ছা করলে কাউন্টার থেকে মূল্যমান নির্বিশেষে যেকোনো পরিমাণ ধাতব মুদ্রা গ্রহণ করতে পারবেন। লম্বা লাইনে দাড়ানোর ভোগান্তি এড়াতে অনেকেই খোলা বাজার থেকে নতুন টাকা কিনছেন বাড়তি অর্থ খরচ করে। এতে গুলিস্তান ও মতিঝিল সেনা কল্যাণ ভবনের সামনের অস্থায়ী নতুন টাকার বাজারও জমে উঠেছে। এসব বাজার থেকে প্রতি এক বান্ডেল নতুন টাকার জন্য ১২০ টাকা থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত বাড়তি গুনতে হচ্ছে। ১০ টাকা ও ২০ টাকার বান্ডেলে খরচ বেশি হয় খোলা বাজারে কিনতে। তবে খোলা বাজারে সব ধরনের টাকাই মিলছে। বিশেষ করে যাদের ১০০ টাকার নোটের প্রয়োজন তাদের এক বান্ডেলে (১০ হাজার) অতিরিক্ত দুইশত টাকা খরচ করতে হচ্ছে।

ডব্লিউএইচ/এমএইচএম