images

অর্থনীতি

মাছ-মাংসের বাজারেও নেই স্বস্তি

নিজস্ব প্রতিবেদক

০৩ মার্চ ২০২৩, ০১:৪০ পিএম

দেশের বাজার ক্রমাগত ঊর্ধ্বমুখী। দফায় দফায় বাড়ছে নিত্যপণ্যের দাম। সেই ধারাবাহিকতায় মাছ-মাংসের বাজারেও স্বস্তি নেই। মাংসের বাজার বহু আগেই নাগালের বাইরে চলে গেছে। অন্যদিকে মাছেও মিলছে না স্বস্তি। বিক্রি তুলনামূলক কম থাকায় বিক্রেতারা বলছেন- বাজারে ক্রেতার চেয়ে দেখতে আসাদের সংখ্যাই যেন বেশি। অন্যদিকে ক্রেতারা বলছেন, নূন্যতম প্রয়োজনের বেশি ক্রয় করছেন না তারা। 

শুক্রবার (৩ মার্চ) নিউমার্কেট কাঁচা বাজার ও নবাবগঞ্জ বাজার ঘুরে দেখা গেছে এমন চিত্র। 

murgi

বাজার ঘুরে দেখা যায়, বাজারে মুরগি বিক্রি হচ্ছে চড়া দামে। মুরগির তুলনায় কিছুটা কমে মাছ মিললেও গত সপ্তাহের তুলনায় বেশি। এসময় ক্রেতাদের কম দামে ছোট মাছের দিকে ঝুঁকতে দেখা গেছে। 

নিউমার্কেটের মাছ ব্যবসায়ী রোকন বলেন, মাছের দাম গত সপ্তাহের মতোই আছে। বড় মাছ বিক্রি কম হচ্ছে। তেলাপিয়া, পাঙ্গাস সহ দামে কিছুটা কম এমন মাছের চাহিদা বেশি। 

বাজারে মলা মাছ প্রতি কেজি ৩০০ টাকা, কাতল মাছের কেজি ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা, তেলাপিয়া ২০০ থেকে ২২০ টাকা, পাবদা মাছ ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়াও শিং মাছ বিক্রি হচ্ছে ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা, পাঙাস ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা, কৈ মাছ ২৬০ টাকায় এবং গুলসা মাছ বিক্রি হচ্ছে ৬০০ টাকা কেজি দরে। 

অন্যদিকে বাজারটিতে প্রতি কেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৫০ টাকা দরে। খাসির মাংসের দাম প্রতি কেজি ১১শ' টাকা। আর বকরির মাংস ৯০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতি কেজি ব্রয়লার ২৪০-২৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া হালিপ্রতি ডিমের দাম ৪৮-৫০ টাকা।

mas

অন্যদিকে নবাবগঞ্জ বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতি কেজি পাঙ্গাস (মাঝারি) ১৮০-২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। যা আগে বিক্রি হতো ১৫০-১৬০ টাকায়। অন্যদিকে তেলাপিয়া মাছের কেজি হয়েছে ২২০-২৫০ টাকা। যা আগে ১৮০-২০০ টাকায় কেনা যেত।

নিউমার্কেটে বাজার করতে আসা জয়নাল আবেদিন ঢাকা মেইলকে বলেন, মাছ বাজারে দুই চক্কর দিয়েছি। মাংসের বাজারে তো যাওয়াই যায় না। মাছ কিনলে সবজি নেওয়ার টাকা থাকে না। সবজি নিলে মাছ কিনতে পারব না। এক কেজির কম কিনতে গেলে আবার বিক্রিও করতে চায়না তারা, করলেও দাম রাখে বেশি। 

এই ক্রেতা আরও বলেন, বাজারে সব কিছুর দাম বাড়তি। হাজার টাকার নোট নিয়ে আসলেও প্রয়োজন মেটে না। নিমিষেই শেষ। সামনে রোজা। যেন রোজা উপলক্ষেই দাম বাড়াচ্ছে। এটা হয়তো নতুন কায়দা- রোজার সময় বাড়াবে না, আগেই বাড়িয়ে নিল। 

ডিএইচডি/এমএইচএম