নিজস্ব প্রতিবেদক
২৯ জানুয়ারি ২০২৩, ০৫:৪৩ পিএম
দেশে ব্যবসা-বাণিজ্যে দুর্নীতি বড় বাধা বলে মন্তব্য করেছে বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)। সংস্থাটি বলছে, অর্থনীতির জন্য সবচেয়ে বড় ঝুঁকি হিসেবে দেখা হচ্ছে মূল্যস্ফীতি ও ঋণ সমস্যাকে।
রোববার (২৯ জানুয়ারি) রাজধানীর নিজস্ব কার্যালয়ে ‘বাংলাদেশ ব্যবসায় পরিবেশ ২০২২ উদ্যোক্তা ফলাফল’ শীর্ষক এক জরিপের ফল প্রকাশ করে সিপিডি। বাংলাদেশে ব্যবসার পরিবেশ বিষয়ক জরিপের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন সংস্থাটির গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন।
সিপিডি জানায়, দেশে ব্যবসার পরিবেশ আরও অবনতি হয়েছে। মোটাদাগে দুর্নীতি, মূল্যস্ফীতি, ডলার সংকটসহ নানা কারণে ব্যবসা-বাণিজ্য জটিলতর হয়েছে। বর্তমান বৈশ্বিক পরিস্থিতিতে জ্বালানির মূল্য একবারে না বাড়িয়ে ধাপে ধাপে বাড়ানোর উচিত বলে মনে করে গবেষণা সংস্থাটি।
বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরাম বিশ্বজুড়ে এই জরিপ পরিচালনা করে। গত দুই দশকের মতো এবারও সংস্থাটির পক্ষ থেকে বাংলাদেশে জরিপটি পরিচালনা করে সিপিডি। ব্যবসায় পরিবেশ জরিপের সময়কাল ছিল গত বছরের এপ্রিল থেকে জুলাই পর্যন্ত। ঢাকা, চট্টগ্রাম, নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুর এলাকায় অবস্থিত ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে মতামত নিয়ে জরিপ তৈরি করা হয়েছে।
সিপিডির সমীক্ষায় দেখা গেছে, জরিপে অংশ নেওয়া ৬৪ দশমিক ৬ শতাংশ ব্যবসায়ী বলেছেন, তাদের ব্যবসায় প্রধান প্রতিবন্ধকতা হলো দুর্নীতি। লাইসেন্স নিতে গিয়ে, কর দিতে গিয়ে এবং বিভিন্ন পরিষেবার জন্য গেলে সেখানে আর্থিক লেনদেন করতে হয়। অন্যান্য প্রধান সমস্যার মধ্যে রয়েছে, অপর্যাপ্ত অবকাঠামো, ব্যাংক থেকে ঋণ পাওয়া এবং অদক্ষ আমলাতন্ত্র। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে মূল্যস্ফীতি, বৈদেশিক মুদ্রার অস্থিতিশীলতা এবং নীতি ধারাবাহিকতার অভাব। এসব কারণে দেশের ব্যবসায়িক পরিবেশের উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়নি বলে জরিপে জানিয়েছে সিপিডি।
সংস্থাটি বলছে, দেশে প্রতিযোগিতামূলক ব্যবসার পরিবেশ আরও খারাপ হয়েছে। করপোরেট গভর্নেন্সের অভাব, দুর্বল নিয়ন্ত্রক তদারকি এবং করপোরেট নীতিশাস্ত্রের অভাব প্রতিযোগিতামূলক পরিবেশ খারাপ হওয়ার কারণ।
সিপিডির গবেষণা পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, ২০২১ সালের তুলনায় ২০২২ সালে ব্যবসার পরিবেশ দুর্বল ছিল। কর কাঠামোতে এখনো ভারসাম্য আনা যায়নি।
ডিএইচডি/টিএই/এমআর