images

অর্থনীতি

মুদ্রানীতিকে শুধু কাগজে-কলমে রাখলে হবে না: ডিসিসিআই

নিজস্ব প্রতিবেদক

২১ জানুয়ারি ২০২৩, ০৮:৪৩ পিএম

মুদ্রানীতি কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করার আহ্বান জানিয়েছেন ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) সভাপতি ব্যারিস্টার সামির সাত্তার। তিনি বলেন, মনিটরি পলিসি (মুদ্রানীতি) ভালো হয়েছে। তবে এটাকে শুধু কাগজে-কলমে রাখলে হবে না। এটাকে কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে। খেলাপি ঋণ এখন ১ দশমিক ৩৪ ট্রিলিয়নে (১ লাখ ৩৪ হাজার কোটি টাকা) গিয়ে হিট করেছে। আমার মনে হয় খেলাপি ঋণের ওপর সব থেকে বেশি ফোকাস দেওয়া দরকার।

শনিবার (২১ জানুয়ারি) এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। দেশের সমসাময়িক অর্থনীতির সার্বিক পরিস্থিতি এবং ২০২৩ সালে ডিসিসিআই’র কর্ম-পরিকল্পনা তুলে ধরতে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

ডিসিসিআই সভাপতি বলেন, খবরের কাগজে দেখলাম মাইক্রোসফটের মতো বড় কোম্পানি বৃহস্পতিবার ১০ হাজার কর্মী ছাঁটাই করেছে। গুগলের মতো বড় কোম্পানি ১২ হাজার কর্মী ছাঁটাই করেছে। এরা কর্মী ছাঁটাই করছে পরিবর্তিত অর্থনৈতিক বাস্তবতার পরিপ্রেক্ষিতে। আমি মনে করি আমাদের এখানে কর্মী ছাঁটাই না করে, প্রফিট মার্জিন কমিয়ে হলেও ব্যবসা সচল রাখাই হবে ২০২৩ সালে ব্যবসায়ীদের সব থেকে বড় চাওয়া-পাওয়া।

এই ব্যবসায়ী নেতা বলেন, অর্থনৈতিক বাস্তবতার পরিপ্রেক্ষিতে আমাদের সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। সেটা শুধু প্রাইভেট সেক্টর না, সরকারি বলেন, বেসরকারি বলেন, সবাইকে অর্থনৈতিক বাস্তবতাকে মাথায় রাখতে হবে।

সামির সাত্তার আরও বলেন, ২০২২ সালে আমরা প্রথমবারের মতো ৫০ বিলিয়ন ডলার রফতানি আয় করতে পেরেছি। ২০২৩ সালে রফতানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ৬৭ বিলিয়ন ডলার নির্ধারণ করা হয়েছে। বৈশ্বিক সংকটের কারণে আমাদের রফতানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন নাও হতে পারে। রফতানি আয় বাড়াতে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন ও ইউএসএর পাশাপাশি দক্ষিণ এশিয়া এবং আফ্রিকার বাজারে আমাদের পণ্য নিয়ে যাওয়ার পদক্ষেপ নিতে হবে।

ডিসিসিআই সভাপতি বলেন, মুদ্রানীতি ছয় মাস পরপর হচ্ছে। আমরা চাইবো তিন মাস পরপর পলিসি করা। কারণ মনিটরি পলিসির বাস্তবতা কিন্তু বার বার পরিবর্তন হচ্ছে। প্রতি সপ্তাহে, প্রতি মাসে পরিবর্তন হচ্ছে। সেটাকে অ্যাড্রেস করার জন্য যদি তিন মাস পর পর মুদ্রানীতি হয়, তাহলে তা প্রাইভেট সেক্টরের জন্য সহায়ক হবে।

টিএই/জেবি