images

অর্থনীতি

মুরগি-ডিমের সিন্ডিকেট ভাঙতে পোল্ট্রি বোর্ড চান প্রান্তিক খামারিরা

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

০৪ নভেম্বর ২০২২, ০৯:৩৩ এএম

মুরগি আর ডিমের সিন্ডিকেট ভাঙতে পোল্ট্রি বোর্ড গঠনসহ ৬ দফা দাবি জানিয়েছেন প্রান্তিক খামারিরা।

বুধবার (২ নভেম্বর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ পোল্ট্রি অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে এ দাবি জানান।

অ্যাসোসিয়শনের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়, করপোরেট কিছু প্রতিষ্ঠান ও সিন্ডিকেটের লোকজনের  কারণে ডিম ও মুরগির দাম বাড়ছে। অন্যদিকে মুরগির খাবারসহ অন্যান্য জিনিসের দাম বেড়ে যাওয়ায় প্রান্তিক খামারিরা ঋণে জর্জরিত হয়ে পড়ছেন। অনেকে ব্যবসা বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়েছেন।

পোল্ট্রি ব্যবসায়ীদের ব্যাংক থেকে ঋণ পেতেও সমস্যা হয় বলেও অভিযোগ করেন খামারিরা। 

এসময় ডিম ও মুরগির বাজারের সিন্ডিকেট ভাঙতে পোল্ট্রি বোর্ড গঠনসহ এক গুচ্ছ পরামর্শ দেন।

পরামর্শগুলো হলো-
১. পোল্ট্রি বোর্ড গঠন। এই বোর্ড গঠিত হবে সরকার ও সকল উদ্যোক্তাদের প্রতিনিধিত্বের মাধ্যমে, যারা ডিম/মাংস/পোল্ট্রি খাদ্য/বাচ্চা/ঔষধ/ভ্যাক্সিন ইত্যাদির ন্যায্য মূল্য নির্ধারণ করে দেবে।

২. ক্ষতিগ্রস্ত খামারিদের প্রণোদনা প্রদান। 

৩। সহজ শর্তে খামারিদের মধ্যে ঋণ প্রদান।

৪। সরকারিভাবে সকল প্রকার ভ্যাক্সিনের সরবরাহ নিশ্চিত করা।

৫। প্রান্তিক খামারিদের প্রশিক্ষণ প্রদান ও সহজ শর্তে প্রাণী সম্পদ অধিদফতরে নিবন্ধনের আওতায় নিয়ে আসতে হবে। 

৬। পোল্ট্রি জোন নামে খ্যাত এলাকায় উপজেলা প্রাণী সম্পদ কার্যালয়ে পোল্ট্রি বিষয়ে অভিজ্ঞ কনসাল্টেন্ট নিয়োগ প্রদান। 

এসময় বাংলাদেশ পোল্ট্রি অ্যাসোসিশনের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়। 

কমিটিতে সুমন হাওলাদারকে সভাপতি ও ইলিয়াস খন্দকারকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়।
 
সংগঠনের নেতারা বলেন, বর্তমানে পোল্ট্রি সেক্টরে অসাধু সিন্ডিকেট প্রতিষ্ঠিত। যারা পোল্ট্রি সেক্টর ধ্বংসের জন্য দায়ী।

পোল্ট্রিতে অসাধু সিন্ডিকেট নিয়ে বিস্তারিত তুলে ধরে তারা বলেন, এই খাতের সিন্ডিকেটের মধ্যে ডিম ও মাংস আড়তদার ব্যবসায়ী, বাচ্চা উৎপাদনকারী লোকজন আছে। যারা বাচ্চার সংকট তৈরি করে দাম বাড়িয়ে অধিক মুনাফা হাতিয়ে নেয়। খাদ্য উৎপাদনকারী সিন্ডিকেট খাদ্য তৈরির কাঁচামালের দাম বৃদ্ধির অযুহাতে খাদ্যের দাম অযৌক্তিক ভাবে বাড়িয়ে দেয়।

তারা গণমাধ্যমকেও দোষারোপ করেন। এটাকে তারা মিডিয়া সিন্ডিকেট আখ্যা দিয়ে বলেন, অনেকসময় তারা মিডিয়াকেও ব্যবহার করে থাকেন। যদিও এখানে মিডিয়ার সরাসরি দায় নেই। এছাড়া অর্থায়নকারী সিন্ডিকেটও রয়েছে এই খাতে অস্থিরতা তৈরির জন্য।

সংগঠনের নেতারা বলেন, এসব অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠান শুধুমাত্র বড় বড় কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানকে ঋণ সুবিধা দিয়ে থাকে। অথচ প্রান্তিক খামারিরা এই সুবিধা থেকে বঞ্চিত উল্লেখিত অসাধু সিন্ডিকেট বাজার মূল্য নিয়ন্ত্রণ করে থাকে ।

অনুষ্ঠানে ডিম, মুরগিসহ নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধির জন্য একটা গোষ্ঠীকে দায়ী করেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের মহাপরিচালক এ. এইচ. এম. সফিকুজ্জামান।

বিইউ/এএস