নিজস্ব প্রতিবেদক
২৫ অক্টোবর ২০২২, ০৫:০৪ পিএম
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাব পড়েছে রাজধানীর সবজি ও মাছের বাজারে। সরবরাহ কম এমন দাবি করে বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে সবধরনের সবজি ও মাছ।
মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) রাজধানীর মোহাম্মদপুর ও মিরপুরের বাজার ঘুরে এই চিত্র দেখা গেছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, ১২০ টাকা কেজির লম্বা বেগুন আজ দেড়শ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গোল বেগুনের কেজি ১০০ থেকে ১২০ টাকা।
মোহাম্মদপুরের শিয়া মসজিদ বাজার ঘুরে দেখা যায়, বাজারের সবজির দোকান প্রায় অর্ধেকই বন্ধ। যে কয়েকটি দোকান খোলা আছে, সেখানেও সবজির পরিমাণ তুলনামূলক কম। আর দাম বেশ চড়া।
বাজারে শিম বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৫০ টাকা কেজি দরে। যা গতকালের তুলনায় কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা বেশি।
এছাড়া করলা বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা কেজি দরে, চিচিঙ্গা ৮০ টাকা, পটল ৮০ টাকা, ঢেঁড়স ৮০ টাকা, কচুর লতি ৮০ টাকা, কাঁচা পেঁপের কেজি পৌঁছেছে ৫০ টাকায়।
মোহাম্মদপুরের কৃষি মার্কেট ঘুরে দেখা গেছে, তাজা সবজির পরিমাণ তুলনামূলক কম। বিক্রেতারা গতকালের সবজিই বিক্রি করছেন আজ।
বাজারটিতে বরবটি বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা কেজি দরে, দুন্দল বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকায়। আকারভেদে চাল কুমড়া বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকায়, লাউ ৬০ থেকে ৮০ টাকা, মিষ্টি কুমড়ার ফালি ৩০ থেকে ৪০ টাকা।
এছাড়া কাঁচামরিচের কেজি ৮০ থেকে ১০০ টাকা, কাঁচা কলার হালি ৪০ থেকে ৫০ টাকা, লেবুর হালি ২০ থেকে ৩০ টাকা। বাঁধাকপি ৫০ টাকা পিস, শসার কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা।
রাজধানীর মহল্লায় মহল্লায় ভ্যানগাড়িতে করে প্রতিদিন সবজি বিক্রির চিত্র দেখা যায়, তবে আজ সে চিত্র ভিন্ন। মহল্লার গলিতে গলিতে পানি জমার কারণে সবজি বিক্রেতাদের দেখা নেই।
আবার সবজি বিক্রেতাদের অনেকেই ভ্যানগাড়িতে করে মানুষজনকে পানি পারাপার করছেন।
মোহাম্মদপুর এলাকার সবজি বিক্রেতা মো. মামুন থাকেন একটি টিনশেড বাসায়। গতকালের বৃষ্টিতে তার ঘরে এখন কোমর সমান পানি। ফলে সবজি বিক্রি করতে যাননি তিনি।
সবজি বিক্রি করতে না গেলেও ভ্যানগাড়িতে করে মানুষকে পানি পারাপার করছেন মামুন। দুই গজ জায়গায় পানি পারাপারে জনপ্রতি নিচ্ছেন ৩০ টাকা।
মাছের বাজার
ঘূর্ণিঝড়ের কারণে গতকাল রাজধানীতে আসতে পারেনি মাছের ট্রাক। ফলে রাজধানীর সোয়ারিঘাটে মঙ্গলবার সকালে বাজারের পরিমাণ ছিল অনেক কম। এর ফলে নগরীর বাজারগুলোতেও মাছের পরিমাণ বেশ কম দেখা গেছে। সরবরাহ কম হওয়ায় দামও অনেকটা বেশি।
মিরপুর-১ বাজার ও মোহাম্মদপুরের কয়েকটি বাজার ঘুরে এই চিত্র দেখা যায়।
বাজারগুলোতে আকারভেদে পাঙ্গাশ মাছ বিক্রি হচ্ছে ১৮০ থেকে ২০০ টাকা কেজি দরে৷ গতকালও যা সর্বোচ্চ ১৮০ টাকা ছিল।
কেজিতে ২০ থেকে ৩০ টাকা বেড়ে তেলাপিয়া মাছ ১৮০ থেকে ২২০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হতে দেখা গেছে। রুই মাছ বিক্রি হচ্ছে ২৮০ থেকে ৩৮০ টাকা কেজি দরে। কাতল বিক্রি হচ্ছে ৩২০ থেকে ৪৫০ টাকায়।
গরিবের নলা মাছ কিনতে কেজি প্রতি ক্রেতাদের গুনতে হচ্ছে ২০০ থেকে ২৮০ টাকা টাকা পর্যন্ত৷ শিং মাছের দাম হাঁকা হচ্ছে ৬০০ থেকে হাজার টাকা। তবে ৫০০ টাকার কমে শিং মাছ বিক্রি হতে দেখা যায়নি। আকারভেদে চিংড়ি বিক্রি হচ্ছে ৫০০ থেকে ১৫০০ টাকা কেজি দরে। ছোট মাছের মধ্যে কাঁচকি ৪০০ থেকে ৬০০ টাকা ও পাবদা মাছ বিক্রি হচ্ছে ৫০০ থেকে ৭০০ টাকা দরে।
কারই/জেবি