তানভীর আহমেদ
০৫ অক্টোবর ২০২২, ০৩:৫৩ পিএম
চলতি বছরের দেশের ডিমের দাম নিয়ে বেশ খানিকটা অস্বস্তিতে ক্রেতারা। কখনো কখনো হঠাৎ করেই বেড়েছে ২০ থেকে ৩০ টাকা। সপ্তাহখানেকের ব্যবধান ১০ টাকা কমলেও আবার এক লাফে বেড়েছে ২০ টাকা। বাজারের এমন অস্থির পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে হিমসিম খাচ্ছে সরকার। পাইকারি ও খুচরা বিক্রেতার দুষছেন একে অন্যকে। এমন পরিস্থিতির জাতাকলে পিষ্ঠ হচ্ছেন সাধারণ ক্রেতারা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ডিমের মোকামে সিন্ডিকেটের আধিপত্য পাইকারি থেকে খুচরা সর্বত্র। মোবাইলে কথা বলেই পাইকারি বাজারে দাম বাড়িয়ে নেওয়া হচ্ছে। তাই বাড়তি দরে ডিম কিনতে বাধ্য হচ্ছেন ক্রেতারা। তাদের অভিযোগ, কারসাজি রোধে বেচাকেনার প্রতিটি স্তরেই নজরদারি প্রয়োজন। তবে এই দাম বাড়ানোর দায় নিতে রাজি নন পাইকার বা খুচরা ব্যবসায়ীরা।
আগস্টের শুরুতে লাফিয়ে লাফিয়ে দাম বেড়ে এক ডজন গিয়ে ঠেকে ১৫৫ টাকায়। বাজার তদারকি আর আমদানির হুমকি আসায় তা নেমে আসে ১২০ টাকায়। তবে সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝিতে আবারও মোকামে অস্থিরতা দেখা দেয়। তাতে প্রতি ডজন ডিম এখন বিক্রি হচ্ছে ১৪০-১৫০ টাকায়।
লাগামহীনভাবে দাম উঠা-নামায় বিপাকে সাধারণ ক্রেতারা। তারা বলছেন, প্রোটিনের মধ্যে ডিমটাই ভালো। কিন্তু সাধারণত যারা ডিম খায়, তারা এখন খেতে পারছে না। হয়তো লাগবে ৫টা, কিনছে ২টা।
খুচরা বিক্রেতাদের অভিযোগ, দাম উঠানামার নেপথ্যে কাজ করছে বড় বড় ব্যবসায়ীরা। আর পাইকাররা বলছেন, গত ৩ দিন বাজার কিছুটা স্থিতিশীল ছিল। তবে দাম বাড়ানোর পায়তারা চলছে। মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করে বাড়ানো হচ্ছে দাম। একটি কোম্পানি দাম বাড়ালে অন্য কোম্পানিও দাম বাড়ায়।
বাজারে দেশি মুরগীর ডিমের ডজনের দাম ২১০ আর হাঁসের ডিম ১৮০ টাকা। চলতি অর্থবছরে ডিম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ২ হাজার ২৬৬ কোটি পিস।
টিএ/এএস